This Article is From Jun 07, 2020

স্পেনকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম সংক্রমিত দেশ ভারত! মৃতের সংখ্যা ছাড়াল সাড়ে ৬ হাজার

স্পেনকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম সংক্রমিত দেশ হিসেবে উঠে এল ভারত। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত ২ লক্ষ ৪১ হাজার। 

স্পেনকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম সংক্রমিত দেশ ভারত! মৃতের সংখ্যা ছাড়াল সাড়ে ৬ হাজার

স্পেনকে টপকে পঞ্চম সংক্রমিত দেশ ভারত। সংক্রমিত ছাড়াল ২ লক্ষ ৪০ হাজার!

হাইলাইটস

  • আএপ্নকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম সংক্রমিত দেশ হল ভারত
  • সংক্রমিতের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪১ হাজার। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ৬ হাজার
  • দেশে চলছে লকডাউন ৫। কিন্তু ৮ জুন থেকে ধাপে ধাপে আনলক করতে উদ্যোগ
নয়া দিল্লি:

স্পেনকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম সংক্রমিত দেশ হিসেবে উঠে এল ভারত (5th Country in the World)। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত ২ লক্ষ ৪১ হাজার ৯৭০ জন। স্পেনে (Spain) আক্রান্ত ২ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৭৮ জন। ইতিমধ্যে স্পেন, ইতালি, জার্মানি-সহ একদা করোনার ভরকেন্দ্র থাকা দেশগুলোতে লকডাউন তোলা হয়েছে। এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত ৯,৮৮৭ জন, একদিনে ২৯৪ জনের প্রাণ (Coronavirus cases in India) কাড়ল কোভিড- ১৯। সরকারি তথ্য অনুসারে শুক্রবারের তুলনায় করোনা (COVID -19) থেকে পুনরুদ্ধারের হারের সামান্য অবনতি হয়েছে। শুক্রবার যেখানে দেশে ৪৮.২৭ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েও পরে সুস্থ হয়েছেন দেখা যাচ্ছিল সেখানে শনিবার সেই পুনরুদ্ধারের হার কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৪৮.২০ শতাংশে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৯৪ জনের মৃত্যু হওয়ায় ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনা প্রাণ কাড়ল ৬,৬৪২ জনের। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল পর্যন্ত সংক্রমণের বিচারে ইতালিকে টপকে ৬ নম্বরে ছিল ভারত। সে সময় দেশে করোনা আক্রান্ত ছিলেন ২.৩৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ। কিন্তু বেলা গড়াতেই চিত্র বদলাতে শুরু করে। ফের ৬ হাজারের বেশি মানুষের দেহে সংক্রমণের চিহ্ন মেলে। ফলে একধাক্কায় সংক্রমিত দেশের তালিকায় ৬ নম্বর থেকে ৫ নম্বরে উঠ আসে। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই ভারত, চিনকে টপকে ৯ নম্বরে ছিল, আর এই কদিনেই দেশ পৌঁছে গেল ৫ নম্বরে। জানা গিয়েছে, দেশে মোট এক লক্ষ সক্রিয় সংক্রমণ। গত একসপ্তাহ ধরেই গড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার সংক্রমণের খবর মিলছে। 

ইডির ৬ আধিকারিক করোনা পজিটিভ, 'সিল' করা হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রধান কার্যালয়

স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, ১ মে থেকেই দেশে অত্যন্ত দ্রুতহারে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ওই দিন থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন রাজ্য থেকে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে চালু হয়েছে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। মনে করা হচ্ছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের মাধ্যমেই লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে কপালে ভাঁজ পড়ছে সকলের। ইতিমধ্যেই দিল্লি এবং গুজরাটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ অঙ্কের ঘর ছুঁয়ে ফেলেছে। ওদিকে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশেও মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯,০০০ পেরিয়ে গেছে।

করোনায় মৃতদের হেলাফেলা করে শেষকৃত্য করা হচ্ছে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা

দেশে সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মহারাষ্ট্রের মানুষ। ওদিকে সক্রিয় করোনা রোগীর হিসাবে এখন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। যদিও মোট করোনা আক্রান্তের বিচারে দিল্লির আগে রয়েছে দেশের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ু। আর মৃত্যুর পরিসংখ্য়ানের হিসাবে গুজরাট রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। তবে মোট করোনা আক্রান্ত, সক্রিয় করোনা রোগী এবং করোনায় ভুগে মৃত্যু, সবদিক থেকে বিচার করেই সব রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্রই।

এদিকে করোনাকে রুখতে দেশে ২৫ মার্চ থেকে টানা লকডাউন জারি করায় মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। তাই এবার ধীরে ধীরে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করে করোনাকে সঙ্গে নিয়েই জীবন শুরু করার ভাবনা ভেবেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

.