This Article is From Nov 07, 2019

রাজনীতিই পশ্চিমবাংলার সবচেয়ে বড় দূষক পদার্থ: রাজ্যকে ফের আক্রমণ বাবুল সুপ্রিয়র

IISF: বাবুলের কথায়, “পশ্চিমবঙ্গ আইআইএসএফ-এর পঞ্চম সংস্করণের আয়োজক রাজ্য, আর আপনাদের মন্ত্রীরাই আসবেন না। এটা কী ধরণের আচরণ? রাজনীতিই হ'ল কলকাতার সবচেয়ে বড় দূষক পদার্থ।”

রাজনীতিই পশ্চিমবাংলার সবচেয়ে বড় দূষক পদার্থ: রাজ্যকে ফের আক্রমণ বাবুল সুপ্রিয়র

বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগ, রাজ্যের আমলাদের কেন্দ্রের অধিবেশন সভায় যোগ দিতে “অনুমতি দেওয়া হয়নি।”

কলকাতা:

কলকাতায় চলছে ভারতের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উত্সব (India International Science Festival)। অথচ আয়োজক রাজ্য হয়েও এই উৎসবে সামিল হননি রাজ্যের কোনও মন্ত্রী। রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি না পাঠানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (West Bengal government) প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারকে ফের আক্রমণ করলেন বাবুল সুপ্রিয় (Union Minister Babul Supriyo)। বাবুল জানিয়েছেন, রাজনীতিই এই রাজ্যের সবচেয়ে বড় দূষণকারী পদার্থ।” বাবুল সুপ্রিয় আরও অভিযোগ করেন যে, রাজ্যের আমলাদের কেন্দ্রের অধিবেশন সভায় যোগ দিতে “অনুমতি দেওয়া হয়নি।” যদিও বাবুল সুপ্রিয়র অভিযোগের পাল্টা জবাবে তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, বিজেপি দেশে যে ধরনের “সাম্প্রদায়িক বিষ” ছড়াচ্ছে তা পুরো দেশই জানে।

“আইআইএসএফের (IISF) পঞ্চম সংস্করণটি পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং রাজ্যের মন্ত্রীরাই এই অধিবেশনে অনুপস্থিত। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি,” বলেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা কোনও সভাতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকেন না।

আরও পড়ুনঃ বহিরাগতদের তাড়াতে বাংলায় এনআরসি প্রয়োজন, বললেন বাবুল সুপ্রিয়

বাবুলের কথায়, “আমাদের একটি ফেডারেল কাঠামো রয়েছে যাকে সম্মান করা দরকার। আমরা এখানে অনেক আশা নিয়ে এসেছি। পশ্চিমবঙ্গ আইআইএসএফ-এর পঞ্চম সংস্করণের আয়োজক রাজ্য, আর আপনাদের মন্ত্রীরাই আসবেন না। এটা কী ধরণের আচরণ? রাজনীতিই হ'ল কলকাতার সবচেয়ে বড় দূষক পদার্থ।”

বাবুল সুপ্রিয় “স্টেটস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মিনিস্টার্স কনক্লেভ” শীর্ষক এক অধিবেশন শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “আমি আশা করি শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং অন্যান্য রাজ্যের সামনে এমন উদাহরণ স্থাপন করা হবে না। একজন বাঙালি হিসাবে আমি লজ্জা বোধ করছি। পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীদের বাদ দিয়ে আরও প্রায় অনেক রাজ্যের মন্ত্রীরাই মঞ্চে ছিলেন।”

“আমি নিশ্চিত যে কলকাতা যেহেতু আয়োজক শহর তাই আমন্ত্রণটি নিশ্চয়ই পশ্চিমবঙ্গের (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) মন্ত্রীর কাছে গিয়েছে। হয় তাঁরা আমন্ত্রণটির কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি বা আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই,” বলেন বাবুল সুপ্রিয়।

আইআইএসএফের (IISF) অধীনে “স্টেটস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মিনিস্টার্স কনক্লেভ” অধিবেশনে আসামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কেশব মোহন্ত, মধ্য প্রদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী পিসি শর্মা, ওড়িশা ও পুদুচেরির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে অশোক চন্দ্র পান্ডা এবং এম কান্দস্বামী উপস্থিত ছিলেন।

বাবুলে প্রশ্ন, “যদি এখানে তাঁদের কোনও প্রতিনিধিত্বই না থাকে, তবে আমরা কীভাবে দিল্লি গিয়ে তাঁদের সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রত্যাশা করব? Compensatory Afforestation Fund Management and Planning Authority (CAMPA) তহবিল দেওয়া হয়েছিল তখনও কেউ উপস্থিত ছিলেন না।”

আরও পড়ুনঃ বিতর্ক এড়াতে অনুষ্ঠান আয়োজনে কড়া নিয়ম আনতে চলেছে যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়

বাবুল সুপ্রিয় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কোনও সভায় যান না এবং হঠাৎ করে তাঁর একদিন মনে হয় যে একদিন তিনি যাবেন আর ফুল দিয়ে আসবেন। এতে রাজ্যের সমস্যাগুলির সমাধান হবে না।" প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

কলকাতা শহরের বায়ুদূষণ প্রতিরোধে কেন্দ্রের কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বাবুল বলেন, “আমরা কলকাতাকে অনেক চিঠি লিখি তবে সেগুলির বেশিরভাগ উত্তরই দেওয়া হয় না... কলকাতায় খড় পোড়ানো অবশ্যই সমস্যা নয় এবং সমস্যাটা আসলে কী তা জানতে হবে। সেটা জানতে কলকাতার সুনির্দিষ্ট সমস্যা বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা হওয়া উচিৎ। সেটা কি হয়? এখানকার আমলাদের কেন্দ্রের আলোচনাসভাতে যাওয়ার অনুমতিই দেওয়া হয় না।"

তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, বৃক্ষরোপণের জন্য CAMPA তহবিল বিতরণের সময় পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী বাদে সমস্ত রাজ্যের মন্ত্রীরাই সেখানে ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী না আসার পরেও, তহবিলের চেকটি রাজ্য কর্মকর্তাদের হাতে দেওয়া হয়েছিল বলেই জানিয়েছেন বাবুল।

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, বিজেপি দেশে যে কী ধরণের সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়াচ্ছে তা পুরো দেশই জানে।"

.