This Article is From Jun 25, 2019

কলকাতায় এসটিএফের হাতে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশি সহ ৪ জঙ্গি

নিজেদের দেশে গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে ৩ বাংলাদেশি জঙ্গি (Terrorists) কলকাতায় আত্মগোপন করেছিল, পশ্চিমবঙ্গেও জাল বিছানোর চেষ্টা

কলকাতায় এসটিএফের হাতে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশি সহ ৪ জঙ্গি

গ্রেফতার ১ ভারতীয় জঙ্গিও যে জামাত-উল-মুজাহিদ্দিনের সঙ্গে যুক্ত ছিল

কলকাতা:

কলকাতা:মঙ্গলবার কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (STF) হাতে গ্রেফতার(arrested) নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী নিও-জেএমবি বা জামাত-উল-মুজাহিদ্দিন বাংলাদেশ (Jamaat-ul-Mujahideen Bangladesh)-এর ৪ জঙ্গি (Terrorists) ।পুলিশ সূত্রে খবর,গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিয়ালদহ রেল স্টেশনের পার্কিং লটের কাছে হানা দিয়ে ২ বাংলাদেশিকে সোমবারই গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের এসটিএফের আধিকারিকরা। “৪৪ বছরের মহম্মদ জিয়া-উর-রহমান এবং ৩৩ বছরের মামন-উর-রশিদ নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-উল-মুজাহিদ্দিন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত। গ্রেফতার হওয়া ওই ২ বাংলাদেশি জঙ্গির কাছ থেকে বেশ কিছু ফটো, ভিডিও, জেহাদি কথাবার্তা সম্বলিত কিছু বইও বাজেয়াপ্ত হয়েছে”, জানিয়েছেন এসটিএফের এক আধিকারিক।তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে বাকি ২ জঙ্গিদের সম্বন্ধে তথ্যও, তারপরেই অন্য ২ জঙ্গিকেও গ্রেফতার করা হয়। 

দেশে চলছে ‘সুপার এমার্জেন্সি', মোদিকে আক্রমণ করে জানালেন মমতা

“অন্য ২ জঙ্গি (terrorists) বছর তেইশের মহম্মদ সাহিন আলম এবং ৩৫ বছরের রবি-উল-ইসলাম, যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার একটি বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল, তাঁদের হাওড়া রেল স্টেশনের কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয়।ওই দুই জঙ্গির কাছ থেকেও জেহাদি কথাবার্তা সম্বলিত বেশ কিছু বই বাজেয়াপ্ত হয়েছে”, জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক।  

বাংলাদেশে গ্রেফতার  হওয়া থেকে বাঁচতে ওই ৪ জঙ্গির মধ্যে ৩ জন ভারতে এসে আত্মগোপন করেছিল। এ দেশে থেকে তাঁরা গোপনে জঙ্গি দলের সদস্য বৃদ্ধির কাজে হাত লাগিয়েছিল। পাশাপাশি জঙ্গি দলের জন্যে পুঁজিও জোগাড় করছিল তাঁরা।

গ্রেফতার হওয়া ৪ জঙ্গির (terrorists)  মধ্যে ১ ভারতীয়ও আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।সে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর হয়েই কাজ করছিল এবং ওই ৩ বাংলাদেশি জঙ্গিকে এ দেশে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে সাহায্য করেছিল। এছাড়াও জঙ্গি দলের সদস্য বৃদ্ধি করা ও আর্থিক পুঁজি সংগ্রহ করাতেও সাহায্য করত সে।  

লোকসভায় সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান

কলকাতা পুলিশের এসটিএফের (STF) ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন যে, “এই জঙ্গিরা সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিল এবং নিজেদের জঙ্গি গোষ্ঠীর বিষয়ে নানান প্রচার চালাচ্ছিল। তাঁদের কাছ থেকে বেশ কিছু ডিজিটাল নথি মিলেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অনেক ভিডিও ও অডিও ফাইলও। এছাড়াও জেহাদি কথাবার্তা সম্বলিত অনেকগুলি বইও বাজেয়াপ্তও হয়েছে ওই জঙ্গিদের কাছ থেকে।

.