This Article is From Aug 23, 2019

FATF-এর এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের কালো তালিকায় পাক সন্ত্রাসবাদ

বিশ্বব্যাপী আর্থিক নজরদারির FATF বা Financial Action Task Force-এর এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগ Pakistan-কে "কালো তালিকাভুক্ত" করেছে

FATF-এর এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের কালো তালিকায় পাক সন্ত্রাসবাদ

Pakistan-কে এখন অক্টোবরে এফএটিএফ-এর কালো তালিকা এড়ানোর ব্যাপারে মনোনিবেশ করা উচিত

নয়া দিল্লি:

আরও বিপাকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দেশ Pakistan। বিশ্বব্যাপী আর্থিক নজরদারির FATF বা Financial Action Task Force-এর এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগ Pakistan-কে "কালো তালিকাভুক্ত" করেছে। ইসলামাবাদের এখন অক্টোবরের মধ্যেই কালো তালিকাভুক্ত হওয়া এড়ানোর বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার, কেননা ২৭ দফা কর্ম পরিকল্পনার বিষয়ে FATF-দেওয়া ১৫ মাসের সময়সীমা ওই সময়েই শেষ হবে। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগও অর্থ-তছরুপ ও সন্ত্রাসবাদে মদত দিতে তহবিল গঠনের বিষয়ের ৪০ টি কমপ্লায়েন্স প্যারামিটারের ৩২ টিতে পাকিস্তানকে অনুপযুক্ত বলে মনে করেছে। চলতি বছরের জুনে, ওয়াচডগ পাকিস্তানকে অক্টোবরের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ তহবিল সংগ্রহ বন্ধের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়ে কড়া সতর্কতা জারি করেছিল। অন্যথায় কঠোর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে ইমরানের দেশকে, একথাও বলা হয়।  

তারা জানায় আগামী অক্টোবরের মধ্যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের দ্বারা ঘোষিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মাটিতে অভিযান চালানো না হলে, ওই দেশটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে, জানিয়েছে ভারতীয় কূটনৈতিক দলের উচ্চপদস্থ একটি সূত্র ।

পাকিস্তানকে ফোন করে “স্থিতাবস্থা” ফেরানোর আহ্বান ফ্রান্সের মন্ত্রীর

পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি জয়শ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রসঙ্ঘ কর্তৃক বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী হিসাবে কালো তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে আগেও ভারত এফএটিএফকে পাকিস্তানকে কালো তালিকায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। ভারতের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে ক্রমাগতই সন্ত্রাসবাদে মদত দিতে সন্ত্রাসী তহবিল গঠনে সাহায্য করছে পাকিস্তান।

২০১৮ সালের জুন থেকে পাকিস্তান "ধূসর তালিকা"ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম যাদের দেশীয় আইন আর্থিক তছরুপ এবং সন্ত্রাসবাদের তহবিল গঠন বন্ধ করার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুর্বল বলে বিবেচিত হয়।

ভারত ও এফএটিএফ-র অন্যান্য সদস্য দেশগুলো পাকিস্তানকে হাফিজ সঈদ, মাসুদ আজহার এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘ দ্বারা ঘোষিত অন্যান্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলেছিল।  ওই দেশগুলো একথাও উল্লেখ করেছে যে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আইন এখনও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

Kashmir নিয়ে ভারতের পদক্ষেপের বিষয়ে বিশ্ব আদালতে যেতে চলেছে পাকিস্তান

এফএটিএফের একাধিক সদস্য দেশ হাফিজ সঈদ ও আজাহার মাসুদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মামলা দায়ের না করার বিষয়টিও উত্থাপন করেছে । যদিও পাকিস্তান দাবি করেছে যে লস্কর-ই-তৈবা, জামাত-উদ-দাওয়া, ফালাহ-ই-ইনসানিয়াৎ ফাউন্ডেশন এবং জইশ-ই-মহম্মদ সহ  ৭০০ টিরও বেশি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সম্পত্তি দখলের মাধ্যমে তারা যথেষ্ট কাজ করেছে। 

তবে পাকিস্তান যদি "ধূসর তালিকায়" থেকে যায়, তবে মুডি, স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুয়ারস এবং ফিচের মতো ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিগুলির নেতিবাচক মূল্যায়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের কাছেও দেশটির অবস্থান নিম্নমুখী হবে।

আর যদি তা হয় তাহলে পাকিস্তানের আর্থিক বোঝা আরও বাড়বে, যা সে দেশের অর্থনীতিকে আরও মন্দা পরিস্থিতিতে পৌঁছে দেবে, যেখানে আর্থিক দুরবস্থা কাটাতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আশু প্রয়োজন রয়েছে ইমরান খানের দেশের।

.