কানপুর শেল্টার হোম: "ওরা যা করতে চাক, করে নিক।" শুক্রবার বলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি।
নয়াদিল্লি: কানপুরের কিশোরী শেল্টার হোম (Kanpur Shelter Home) ঘিরে এখন জোর চর্চা। সেই হোমের দুই কিশোরী সন্তানসম্ভবা। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধীদের তরফে আক্রমণ আসছে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের (UP Government) প্রতি। এই মর্মে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে (Priyanka Vadra Gandhi) নোটিশ পাঠিয়েছে সরকার। সেই নোটিশের পাল্টা এবার তোপ দাগলেন এই কংগ্রেস নেত্রী। তিনি বলেন, "যা পদক্ষেপ ওরা নেবে, নিতে পারে। আমি সত্যির হয়ে কথা বলবোই। আমি ইন্দিরা গান্ধির নাতনি, অন্যের বিরোধী দলের নেতাদের মতো বিজেপির অপ্রকাশিত মুখপাত্রের নই।" টুইট করে হিন্দিতে এমন দাবি করেছেন তিনি। ২৫ জুন ছিল ইন্দিরা গান্ধি সরকার ঘোষিত জরুরি অবস্থার ৪৫ বছর।
একদিনের মধ্যে ১৬,০০০ এরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত, মোট ৪.৭৩ লক্ষ
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে তাই জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। ঠিক তারপরের দিন ২৬ মে অর্থাৎ শুক্রবার এই টুইট করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি।
তিনি লেখেন, "মানুষের সেবক হিসেবে আমি উত্তরপ্রদেশের মানুষকে শুধু জবাবদিহি করব। তাই সত্যিটা তাঁদেরকে বলবো। সরকারকে নয়। উত্তরপ্রদেশ সরকার তাই যেভাবে খুশি আমাকে হেনস্থা করতে পারে। আমি ভাবিত নই।"
এদিকে, বৃহস্পতিবার টুইটে অমিত শাহ লেখেন, "আজ থেকে ৪৫ বছর আগে এক পরিবার ক্ষমতার লোভে দেশে জরুরি অবস্থা চাপিয়ে দেয়। রাতারাতি দেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল সেসময়। সংবাদমাধ্যম, আদালত, বাক স্বাধীনতা ... সবকিছুকেই জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অত্যাচার চালানো হয়েছিল।"
"শেষপর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের চেষ্টায় দেশে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। ভারতে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল তখনই যখন কংগ্রেস ক্ষমতা থেকে সরে গেছিল। আসলে সবসময়ই একটি পরিবারের স্বার্থ দলীয় স্বার্থ এবং জাতীয় স্বার্থের থেকেও প্রাধান্য পেয়েছে। বর্তমান কংগ্রেসে এখনও সেই একই দুঃখজনক পরিস্থিতি চলছে", টুইটে লেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।