This Article is From Jul 15, 2019

সঙ্গে পুলিশ, তার মধ্যেই কোর্ট চত্বরে অজিতেশ কুমারকে সপাটে চড় অচেনা ব্যক্তির!

নিজেদের বিয়ে বাঁচাতে মন্দিরে বিয়ের পর সোমবার তাঁরা আদালতে গেছিলেন নিজেদের নিরাপত্তার আবেদন জানাতে

সঙ্গে পুলিশ, তার মধ্যেই কোর্ট চত্বরে অজিতেশ কুমারকে সপাটে চড় অচেনা ব্যক্তির!
প্রয়াগরাজ:

শুরু থেকে খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদের মেয়ে সাক্ষী মিশ্র (Sakshi Misra)। দলিত অজিতেশ কুমারকে (Ajitesh Kumar) বিয়ে করায় পরিবার থেকেই নিগৃহীত দম্পতি। তারপরেও নিজেদের বিয়ে বাঁচাতে মন্দিরে বিয়ের পর সোমবার তাঁরা আদালতে গেছিলেন নিজেদের নিরাপত্তার আবেদন জানাতে। অভিযোগ, সেখানেই আরও একবার শারীরিক নিগ্রহের শিকার হলেন অজিতেশ। খবর, পুলিশি প্রহরায় (police protection) দম্পতি নয়ডা থেকে আসছিলেন এলাহাবাদ কোর্টে (Allahabad High Court)। চত্বরে পা রাখতেই এক অচেনা ব্যক্তি নাকি সপাটে চড় মারে অজিতেশকে। এরপরেই ক্ষুব্ধ সাক্ষী এবং অজিতেশের প্রশ্ন, পুলিশি প্রহরাতেই যদি এভাবে নিগৃহীত হতে হয় তাহলে কোর্টের বাইরে তাঁরা কতটা নিরাপদ?  

 এই হামলার পরেই দম্পতির আবেদনে সাড়া দেয় হাই কোর্ট। ভর্ৎসনা করে সাক্ষীর বাবা রাজেশ মিশ্রকে। দম্পতির বিয়ের বৈধতায় সিলমোহর দিয়ে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

উত্তর প্রদেশের বেরিলির সাংসদ-কন্যা সাক্ষী গত ৪ জুলাই প্রয়াগের এক মন্দিরে বিয়ে করেন দলিত অজিতেশ কুমারকে।  তারপরেই বিয়ের সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সাক্ষী তাঁর এবং স্বামীর নিরাপত্তার আবেদন জানান এলাহাবাদ হাইকোর্টে। সাক্ষীর দাবি, দলিতকে বিয়ে করায় তাঁদের প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্ট। কারণ, তাঁর বাবা এবং পরিবারের সবাই এই বিয়ের ঘোরতর বিরোধী।

ভাইরাল সেই ভিডিও-য় সাক্ষী তাঁর বাবা এবং দাদার নাম উল্লেখ করে অনুরোধ করেছেন, "বাবা ও ভিকি, মানে মাননীয় সাংসদ পাপু ভারতৌল জি এবং ভিকি ভারতৌল জি, দয়া করে আমাদের সুখে-ষান্তিতে থাকতে দিন। আমি অজিতেশকেই বিয়ে করেছি। তাই ওঁর স্ত্রী হিসেবে আমি সিঁথিতে সিঁদুর পরেছি। ফ্যাশন হিসেবে নয়।" তিনি আরও জানান,  তাঁর বক্তব্যের পুরোটাই মোবাইলে বন্দি করেছেন তাঁর স্বামী।

বাবার কাছে সাক্ষীর কাতর অনুরোধ, এভাবে আমাদের পেছনে গুন্ডা লাগিও না। এই মুহূর্তে আমাদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে রাজীব রান। প্রাণ বাঁচাতে আমরা পাগলের মতো এক জায়গা থএকে আরেক জায়গায় ছুটে বেড়াচ্ছি। আমার বিনীত অনুরোধ, এভাবে আমার স্বামী আর তাঁর পরিবারকে বিরক্ত কর না। তুমি ভালো থাক। রাজনীতি কর। আমাকে আমার মতো করে ভালো থাকতে দাও।

যদিও বিজেপি সাংসদের দাবি, তিনি দলিত পাত্রকে বিয়ে করার বিপক্ষে নন। তিনি মেয়েকে বাধা দিয়েছিলেন বয়সের ফারাক আর অজিতেশের কম রোজগারের জন্য। তাঁর বিরুদ্ধে পুরোটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যদিও বাবার এই কথা সত্যি বলে মানতে নারাজ মেয়ে সাক্ষী।  

.