This Article is From Oct 10, 2019

পাঞ্জাবের আকাশে পাকিস্তানি ড্রোনের পিছনে কারা, জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

পাঞ্জাব পুলিশের সূত্র এর আগে NDTV-কে জানানো হয়েছিল, প্রচুর একে-৪৭ ও গ্রেনেড অমৃতসরে ফেলেছে পাকিস্তান। সেপ্টেম্বরে এমন আটটি ঘটনা ঘটে।

পাঞ্জাবের আকাশে পাকিস্তানি ড্রোনের পিছনে কারা, জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

বিএসএফ জানিয়েছে, বেশির ভাগ অপারেশনই রাতে হওয়ায় তাদের পক্ষে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

নয়াদিল্লি:

সেপ্টেম্বর মাসে পাঞ্জাবে ড্রোন থেকে যে ১০টি অস্ত্র ফেলার ঘটনা (Weapon Drops In Punjab) ঘটেছে তার পিছনে রয়েছেন পাকিস্তানের (Pakistan) সরকার সমর্থিত ব্যক্তিরা। গোয়েন্দা বিভাগের তরফে একথা জানানো হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে (Home Ministry)। মন্ত্রককে একথা জানানোর পাশাপাশি বায়ুসেনা বা বিএসএফ কেন ওই ড্রোনগুলিকে চিহ্নিত করতে পারেনি, সে প্রশ্নও তোলে গোয়েন্দা দফতর। সূত্রানুসারে জাতীয় গোয়েন্দা এজেন্সিকে পাকিস্তানের সরকার সমর্থিত ব্যক্তিদের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে বলা হয়। এদিকে ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন' বা এনটিআরও-কে ড্রোনগু‌লির কম্পাঙ্ক সম্পর্কে অনুসন্ধান চালানোর কথা বলা হয় মন্ত্রকের তরফে। কাজ শুরু করেও দিয়েছে এনটিআরও। কম্পাঙ্ক বের করতে পারলে তার সাহায্যে কোন বেস স্টেশন থেকে ড্রোনগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল তা বের করে ফেলা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এক সপ্তাহে টানা ৩ বার! পাঞ্জাবের আকাশে ফের পাকিস্তানি ড্রোন বাড়াচ্ছে উদ্বেগ

পাঞ্জাব পুলিশের সূত্র এর আগে NDTV-কে জানানো হয়েছিল, প্রচুর একে-৪৭ ও গ্রেনেড অমৃতসরে ফেলেছে পাকিস্তান। সেপ্টেম্বরে এমন আটটি ঘটনা ঘটে। সূত্রানুসারে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হানা চা‌লানোর জন্য ওই অস্ত্রশস্ত্র ফেলা হয়েছে।

এরপর বুধবার সন্ধ্যা ৭.২০ নাগাদ মিনিটে হাজারসিংহ ওয়ালা গ্রামের আকাশে ওই ড্রোন দেখা যায়। তারপর রাত ১০.১০ মিনিটে ফের টেন্ডিওয়ালা গ্রামেও ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছে। এর আগে সোমবার রাতে তিনবার ড্রোন দেখা যায় আকাশে। এদের মধ্যে একটি ড্রোন ভারতের আকাশসীমার এক কিলোমিটারের মধ্যেই উড়ছিল। মধ্যরাতের দিকে অবশ্য উধাও হয়ে যায় ড্রোনটি।

রিপোর্ট থেকে এও জানা গিয়েছে ওই উদ্ধার হওয়া ড্রোনগুলির মধ্যে একটি চিনে নির্মিত। অন্তত আটটি অস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারই ১০ কেজির আশপাশের ওজনের জিনিসপত্র ফেলা হয়েছে। অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক ছাড়াও সেলফোন ও স্যাটেলাইট ফোনও ফেলা হয়েছে।

বিএসএফ মন্ত্রকের কাছে দাবি জানিয়েছে, বেশির ভাগ অপারেশনই রাতে হওয়ায় তাদের পক্ষে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। কেননা খালি চোখে ওগুলি রাতের বেলা দেখতে পাওয়া সম্ভব নয়। আর ওগুলিকে চিহ্নিত করার মতো যন্ত্র তাদের হাতে নেই।

পাশাপাশি বায়ুসেনার পক্ষেও জানানো হয়েছে, এগুলিকে রাডারের দ্বারা ধরতে পারা সম্ভব নয়।

গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিএসএফ, ইন্দো-টিবেতিয়ান পুলিশ, সশস্ত্র সেনা বল ও অসম রাইফেলসকে পরিকল্পনা করে সীমান্তে প্রহরার জন্য বলেন।

দেখুন ভিডিও

.