This Article is From Mar 11, 2020

বুঝুন কাণ্ড! হোলিতে নতুন জামাইকে সাজিয়ে গাধার পিঠে চাপিয়ে ঘোরানো হল!

Holi Tradition: মঙ্গলবার হোলির দিন মহারাষ্ট্রের বিড গ্রামে নব্বই বছরের পুরনো ঐতিহ্য রক্ষায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়লেন "নতুন জামাই", কী কাণ্ড!

বুঝুন কাণ্ড! হোলিতে নতুন জামাইকে সাজিয়ে গাধার পিঠে চাপিয়ে ঘোরানো হল!

Beed, Maharashtra: হোলিতে মহারাষ্ট্রের একটি গ্রামে গাধার উপর "জামাই" বসানোর রীতি রয়েছে

হাইলাইটস

  • হোলিতে গাধার পিঠে চাপিয়ে গোটা গ্রাম ঘোরানোর আজব প্রথা
  • মহারাষ্ট্রের একটি গ্রামে চলে আসছে এই আজব রীতি
  • নতুন জামাই বেচারাকে সহ্য করতে হয় এই বিধান

এ দেশে মঙ্গলবার ধূমধাম করে পালিত হল হোলি। দেশ জুড়ে এই রঙের উৎসব এক-এক সম্প্রদায়ের মানুষ পালন করলেন এক-এক ভাবে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিড গ্রামে নব্বই বছরের পুরনো যে রীতি (Holi Tradition) হোলির দিন চলে আসছে তা জেনে আপনার চক্ষু চড়কগাছ হতেই পারে। আর আপনি যদি "নতুন জামাই" (Son-in-law) হন, তবে ভুলেও হোলির দিন ওই গ্রামের পথ মাড়াবেন না। এই আতঙ্কের কারণ? সে তেমন কিছু নয়, তবে শোনার পর বিষয়টা আপনার ধাতে সইবে কিনা ভেবে দেখবেন! ওই গ্রামে (Beed) গত নব্বই বছর ধরে চলে আসছে এক আজব প্রথা। হোলির দিন যখন রঙের উৎসবে সবাই মশগুল থাকেন, সেই সময় মহারাষ্ট্রের বিড গ্রামে "নতুন জামাই"-কে তাঁর পছন্দসই জামাকাপড় পরিয়ে বসানো হয় গাধার পিঠে (Donkey Ride)। এখানেই শেষ নয়, এই অবস্থায় বেচারা জামাই বাবাজীবনকে ঘোরানো হয় গোটা গ্রাম। ভাবুন একবার, নতুন জামাই গাধার পিঠে চড়ে গ্রাম প্রদক্ষিণ করছেন, আর সেই দৃশ্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন গ্রামবাসীরা।

টলমল পায়ে জীবনের প্রথম কয়েক ধাপ! ছোট্ট হাতি মন জিতল সোশ্যাল মিডিয়ার

স্থানীয় সাংবাদিক দত্তা দেশমুখ পিটিআই-ভাষাকে জানিয়েছেন, "৩-৪ দিন সময় নিয়ে গ্রামের কোনও এক নতুন জামাইকে বেছে নেওয়া হয় ওই প্রথা পালনের জন্যে। এর পরে, গ্রামবাসীরা তাঁর দিকে কড়া নজর রাখেন যাতে তিনি কোনওভাবেই হোলির দিন গ্রামের বাইরে পালাতে না পারেন। এই বছর দত্তাত্রেয় গায়কোয়াড় নামে এক ব্যক্তি ভিদা গ্রামে ওই আজব অভ্যর্থনা (গাধার পিঠে চাপিয়ে গ্রাম ঘোরা) পেয়েছেন।

মুঘল সম্রাটরাও রং খেলতেন! পুরাণ আর কী বলেছে হোলি নিয়ে?

কিন্তু কীভাবে এই আজব প্রথা চালু হল সেই গ্রামে? ওই গ্রামেরই জামাই অঙ্গন দেথে বলেন যে এই ঐতিহ্য নব্বই বছর আগে গ্রামেরই এক স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব আনন্দরাও দেশমুখ শুরু করেছিলেন। দেথে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, "এই প্রথা আনন্দরাওয়ের জামাইয়ের সঙ্গে প্রথম শুরু হয় এবং তখন থেকেই এটি চলে আসছে। আমি যখন বিয়ে করার পরে এই গ্রামে এসেছি তখন আমাকেও গাধার পিঠে করে গ্রামে ঘোরানো হয়েছিল"। গাধার পিঠে নতুন জামাইকে চাপিয়ে গ্রামের ঠিক মাঝখান থেকে ভোরবেলা ওই যাত্রা শুরু হয়, তারপর সকাল ১১ টা নাগাদ হনুমান মন্দিরে গিয়ে শেষ হয় সেটি। সেখানে গ্রামের লোকেরা ওই জামাইকে তাঁর পছন্দসই জামাকাপড়ও উপহার দেন।

Click for more trending news


.