
স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। দৃঢ় পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, ভারতের অর্থনীতি শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। জিএসটির (GST) মাধ্যেমে ‘এক দেশ- এক কর ব্যবস্থা' চালু হয়েছে। ১০০ লক্ষ-কোটি অর্থে চলছে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ। যার বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস (Congree)। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান সরকারের ঘোষণাকেই মিথ্যা প্রমাণ করছে বলে দাবি হাত শিবিরের। কংগ্রেসের অভিযোগ, দেশবাসী বা সংবাদ মাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই মোদির (PM Modi) এই প্রয়াস। ‘পরিকাঠামো উন্নয়নে যে সংখ্যার কথা বলা হল তা আসছে কোথা থেকে?' ট্যুইট করে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস (Congress)। একটি গ্রাফিক্সের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেছে দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়।
দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরে এবারই প্রথম স্বাধীনতা দিবসে ভাষণ দিলেন নরেন্দ্র মোদি। দেশের গাড়ি শিল্পের অবস্থা খারাপ। এদিনের ভাষণে অবশ্য অটোমোবাইল (automobile) বা ফার্স্ট মুভিং কনসুমার গুডস (fast-moving consumer goods) নিয়ে কিছু বলেন নি প্রধানমন্ত্রী। যা নিয়ে সরব বিরোধী কংগ্রেস।
ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ মিলছে না। ফলে নন-ব্যাঙ্কিং ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলি বর্ধিত সুদে লোন দিচ্ছে। যা ক্যাসকেডিং এফেক্ট (Cascading) ফেলছে অর্থনীতিতে। বিশ্লেষণ তাই বলছে। গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা উৎপাদন কমাচ্ছে। বাড়ছে কর্মহীনের সংখ্যা।
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক গড়তে বহু দেশ আগ্রহী। দাবি প্রধানমন্ত্রীর। ট্যুইটে যার বিরোধিতা করে কংগ্রেস জানিয়েছে, ‘এমন একজনের মুখ থেকে এগুলি শোনা যাচ্ছে যিনি নিজেই ভারতে বিদেশী বিনিয়োগ পরিমান কম হওয়ার জন্য দায়ী। মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্বেই মুখ্য অংশীদারদের সঙ্গে দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক ধ্বংস হয়েছে। রপ্তানীর পরিমান কমেছে ও ডলারের তুলনায় টাকার দামের রেকর্ড পতন হয়েছে।'
Grandstanding: Seek to attract favourable attention from spectators or media - In other words, PM Modi's modus operandi.
— Congress (@INCIndia) August 15, 2019
Given the state of the economy & existing expenditure on infrastructure development, we just have one question, where is the money? #ModiLiesAtRedForthttps://t.co/b68qfxIKJmpic.twitter.com/C1B6MyZyBR
দেশকে এক কর ব্যবস্থায় বেঁধেছে জিএসটি। প্রধানমন্ত্রীর দাবির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের বক্তব্য, ‘জিএসটি'তে পাঁচটি স্তর রয়েছে। ফলে ‘এক দেশ এক কর ব্যবস্থা'র বাস্তবতা একেবারে অন্য। জিএসটির ফলেই দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের পথে, মাঝারি, ক্ষুদ্র শিল্প বন্ধের প্রায় পথে। বেরেছে বেকারত্ব। বহু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।'
দেশের অর্থনীতি নিয়ে মুকেশ আম্বানীর মত, ‘বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। অর্থনীতি অল্প শ্লথ হয়েছে। তবে, তা সাময়িক।' প্রসঙ্গত, আম্বানী মোদির মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে ২০২৪-এর মধ্যে ৫ট্রিলিয়ন টাকা বিনিয়োগের কথা।