This Article is From Jul 05, 2019

হাফিজ সঈদ ও তাঁর সঙ্গীদের “খুব তাড়াতাড়ি” গ্রেফতার করা হবে,বলল পাক পুলিশ

মুম্বই জঙ্গি হামলার মূল চক্রী এবং জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ সঈদ ও তাঁর ১২ শাগরেদকে “খুব তাড়াতাড়ি” গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দিল পাকিস্তান পুলিশ

হাফিজ সঈদ ও তাঁর সঙ্গীদের “খুব তাড়াতাড়ি” গ্রেফতার করা হবে,বলল পাক পুলিশ

হাফিজ সঈদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের পাকিস্তানে

লাহোর:

মুম্বই জঙ্গি হামলার মাষ্টারমাইন্ড এবং জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত-উদ-দাওয়া(Jamaat-ud-Dawa) প্রধান হাফিজ সঈদ ও তাঁর ১২ জন সহযোগীকে বৃহস্পতিবার “যত দ্রুত সম্ভব” গ্রেফতারির আশ্বাস দিল পাকিস্তান পুলিশ। বুধবারই হাফিজ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জঙ্গি কার্যকলাপ, সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে অর্থ জোগানো ও আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত অভিযোগ আনে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সন্ত্রাসদমন বিভাগের পঞ্জাব পুলিশ বুধবারই ওই মর্মে হাফিজ সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। পঞ্জাবের বিভিন্ন অঞ্চলে জঙ্গি কার্যকলাপে অর্থ জোগাড় করে মদত দেওয়ার অপরাধে চার্জ গঠন করা হয়।“সিটিডি অর্থাৎ পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন বিভাগ জেইউডির ১৩ জন নেতা সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে চার্জ গঠন করেছে।এফআইআর দায়ের হওয়ার কারণে তাঁদের খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে”, পিটিআইকে জানালেন পঞ্জাব পুলিশের মুখপাত্র নিয়াব হায়দার নকভি।

সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোয় হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পাকিস্তানের

“এফআইআর দায়ের সত্ত্বেও সিটিডি কেন এখনো হাফিজ সঈদ এবং অন্যদের গ্রেফতার করেনি এই প্রশ্ন করা হলে, নকভি বলেন, "প্রথমে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয় এবং তারপর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।যেহেতু এবার হাফিজ সঈদ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দাযের করা হয়েছে তাই এবার তাঁদের খুব তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করা হবে।"

এর আগেও তিনি জানান যে, সন্ত্রাসে মদত দেওয়া ও অর্থ জোগানোর অপরাধে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ সংগঠনের কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং পরবর্তীতে তাদের সন্ত্রাসদমন আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে।"এই সন্দেহভাজনদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে," বলেন নাকভি।

ইমরান খান সরকারের একটি সূত্র পিটিআইকে জানায় যে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব পুলিশ হাফিজ সঈদকে(Hafiz Saeed)  হস্তান্তর করার জন্য ওপরতলার নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

হাফিজ সইদ নিয়ে পাক পদক্ষেপকে কসমেটিক্স পদক্ষেপ বলল ভারত

“সঈদ বর্তমানে লাহোরের জাউহর টাউনে তাঁর নিজের বাড়িতেই রয়েছে এবং শুধু সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই পুলিশ তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে”, জানিয়েছে সূত্রটি।

ওই সূত্র আরও জানায়, হাফিজ সঈদকে(Hafiz Saeed)  এই সপ্তাহেই গ্রেফতার করা হতে পারে, কারণ ইমরান খান সরকার আর্থিক অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) এর অধীনে সন্ত্রাসের অর্থ জোগানো বন্ধে তাঁর বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে আগ্রহী।

গত জুনেই এফএটিএফের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসে মদত জোগানো বন্ধ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। এরপর এফএটিএফের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলা হয় অক্টোবরের মধ্যে যদি সন্ত্রাস দমন ও সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোর মতো কাজগুলি বন্ধ করতে না পারে তাঁরা তবে ইমরানের দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে।

“সন্ত্রাসে অর্থ জোগানো বন্ধ করুন অক্টোবরের মধ্যে, নাহলে...” আন্তর্জাতিক সংস্থার সর্তকবার্তা পাকিস্তানকে

গত বছর জুন মাসে, এফএটিএফ পাকিস্তানকে দেশগুলির ধূসর তালিকায় রেখেছিল, যার অর্থ হল ওই দেশের আইন অর্থ প্রতারণা এবং সন্ত্রাসের অর্থ জোগানোর মতো কাজগুলি বন্ধ করার ক্ষেত্রে দূর্বল পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এর পরেই নড়েচড়ে বসে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই সিটিডি অর্থাৎ পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন বিভাগ হাফিজ সঈদ সহ জেইউডির ১৩ জন নেতা সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে চার্জ গঠন করেছে।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের গ্রেফতার করা হবে বলেও আশ্বাস দেয় পাকিস্তান(Pakistaan)।

"এই সন্দেহভাজনরা সন্ত্রাসবাদের জন্যে সংগৃহীত তহবিল থেকে সম্পদ তৈরি করেছে। তাঁরা সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর জন্য আরও তহবিল বাড়াতে এই সম্পত্তির ব্যবহার করেছিল এবং তাই সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানো ও সন্ত্রাসবাদ আইন 1997 এর অধীনে আর্থিক প্রতারণার মতো একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত তাঁরা। ওই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। এইসব অপরাধের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এটিসি (সন্ত্রাস দমন আদালত)-এ মামলা করা হবে, "জানায় সিটিডি।

সব সমস্যার সমাধানে আলোচনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি ইমরান খানের: রিপোর্ট

হাফিজ সঈদের নেতৃত্বাধীন জেইউডি(Jamaat-ud-Dawa) যেটি লস্কর-ই-তৈবার একটি প্রধান সংগঠন, ২০০৮ এ মুম্বই হামলার নেপথ্যে এদেরই হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে।২০১৪-র জুনেই আমেরিকা লস্কর-ই-তৈবাকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর তালিকাভুক্ত করে।পাশাপাশি হাফিজ সঈদকেও(Hafiz Saeed)   আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করেছে তাঁরা।হাফিজ সঈদ সংক্রান্ত কোনো তথ্য দিতে পারলে তাঁকে ১০ মিলিয়ন ইউএস ডলার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এত কিছু সত্ত্বেও ২০১৬-র পাঠানকোট হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হাত থাকায় কঠোর অবস্থান নেয় ভারত(India)। এ দেশের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের(Pakistaan) সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসতে রাজি নয় তাঁরা। কেননা সন্ত্রাসবাদে মদত জোগানো এবং আলোচনা দুটো সমান্তরাল ভাবে কখনোই চলতে পারে না।

.