This Article is From Jul 17, 2019

“অত্যাধিক চাপই তাকে খুঁজে বের করেছে” হাফিজ সইদের গ্রেফতারিতে মন্তব্য ট্রাম্পের

২০০৮-এর ২৬ নভেম্বর মুম্বই হামলায় ১৬৬জনের মৃত্যু হয়, সেই ঘটনায় মূলচক্রী ছিল লস্কর ই তৈইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ (Hafiz Saeed)।

“অত্যাধিক চাপই তাকে খুঁজে বের করেছে” হাফিজ সইদের গ্রেফতারিতে মন্তব্য ট্রাম্পের

পাকিস্তানে বছরের পর বছর অবাধে বিচরণ করতে দেওয়া হয়েছে হাফিজ সইদকে।

নয়াদিল্লি:

মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদকে (Hafiz Saeed) গ্রেফতার করেছে পাকিস্তান, তার কয়েকঘন্টা পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, জামাত-উদ-দাওয়া প্রধানকে ধরতে গত দুবছর ধরে অনেক চাপ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘ ঘোষিত জঙ্গি হাফিজ সইদকে (Hafiz Saeed) সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগান দেওয়ার জন্য ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাক আধিকারিকরা। ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বৈঠকের একদিন আগেই এই পদক্ষেপ করল তারা। ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্যুইটে লেখেন, “দশ বছর ধরে তল্লাশি চলার পর, মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার তথাকথিত “মূলচক্রী” কে পাকিস্তানে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে খুঁজতে গত দুবছরে অনেক চাপ দেওয়া হয়েছে”।

গ্রেফতার মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সঈদ, পাঠানো হয়েছে জেলে: পাক সংবাদমাধ্যম

জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ। ২০০৮-এর ২৬ নভেম্বর মুম্বই হামলার অন্যতম মূলচক্রী হাফিজ সইদ (Hafiz Saeed)। তার জঙ্গি কার্যকলাপের বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ ভারতের তরফে দেওয়ার পরেও, বছরের পর বছর পাকিস্তানে অবাধে বিচরণ করেছে হাফিজ সইদ এবং ভারত বিরোধী সভা করেছে।

ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের “ধূসর তালিকা”ভুক্ত হয়েছে পাকিস্তান। জঙ্গি সংগঠনগুলির বাড়াবাড়ন্ত বন্ধ করতে পাকিস্তানের ওপর লাগাতার চাপ সৃষ্টি করেছে আর্থিক তছরুপ এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর মতো কার্যকলাপের ওপর নজর রাখা এই সংস্থাটি।

হাফিজ সঈদ ও তাঁর সঙ্গীদের “খুব তাড়াতাড়ি” গ্রেফতার করা হবে,বলল পাক পুলিশ

চলতি মাসের গোড়ার দিকে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে হাফিজ সইদের (Hafiz Saeed) বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মামলা রুজু করে পাকিস্তান। এফআইআরে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানো, আর্থিক তছরুপের অভিযোগ আনা হয়।

২০১৭-এ হাফিজ সইদ(Hafiz Saeed) এবং তার চার সঙ্গীকে আটক করে পাকিস্তান। যদিও ১১১ মাস পর পঞ্জাবের জুডিসিয়াল রিভিউ বোর্ড তাদের বন্দিদশার মেয়াদ বৃদ্ধি খারিজ করে দেওয়ায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

নভেম্বরে মুম্বই হামলার ১০ বছর পূর্তির আগে, হামলার পিছনে দোষীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ব্যবস্থা নিতে বলে আমেরিকা এবং তার জন্য ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করে।

.