This Article is From Aug 16, 2019

গুমনামি বাবা'র প্রযোজককে আইনি নোটিশ পাঠালেন কলকাতার বাসিন্দা

দেড় মিনিটের প্রকাশিত টিজারে দেখা যাচ্ছে, গুমনামি বাবা (Gumnami Baba) আসলে নেতাজি (Netaji Subhash Chandra Bose)- এই বলে কয়েকটি চরিত্র আলোচনা করছে।

গুমনামি বাবা'র প্রযোজককে আইনি নোটিশ পাঠালেন কলকাতার বাসিন্দা

দেড় মিনিটের 'গুমনামি বাবা' সিনেমার টিজার প্রকাশ পেয়েছে বৃহস্পতিবার

কলকাতা:

‘গুনামি বাবা' (Gumnami Baba)। বৃহস্পতিবারই ঘটা করে প্রকাশিত হয় পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji) পরিচালিত নতুন এই সিনেমার টিজার। যা ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ‘গুমনামি বাবা' (Gumnami Baba) সিনেমার টিজারের মধ্যে দিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhash Chandra Bose) জীবনী ভুলভাবে উপস্থাপিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে ওই সিনেমা বন্ধের দাবিতে সিনেমার প্রযোজকের (producer) কাছে আইনি নোটিশ (legal notice) পাঠালেন বেলগাছিয়ার বাসিন্দা দেবব্রত রায় (Debabrata Roy)। দেড় মিনিটের প্রকাশিত টিজারে দেখা যাচ্ছে, গুমনামি বাবা (Gumnami Baba) আসলে নেতাজি (Netaji Subhash Chandra Bose)- এই বলে কয়েকটি চরিত্র আলোচনা করছে। যা সত্যের অপলাপ বলে মনে করেন দেবব্রত রায়। নোটিসে বলা হয়েছে, প্রজেক্টটি বন্ধ করা না হলে নেতাজিকে অপমানের বিষয়টি আইনি (legal) পথেই মোকাবিলা করা হবে।

দেবব্রত রায়ের পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সিনেমায় নেতাজির (Netaji) সঙ্গে গুমনামি বাবার (Gumnami Baba) যোগসূত্রের বিষয়টি সম্পূর্ণ কল্পিত, বিষয়ভিত্তিক ও ভণ্ডামিতে ভরা। বিভিন্ন দলকে হেয় করে দেখিয়ে তার ক্ষতিসাধনই এর লক্ষ্য।'

নোটিশে মুখার্জি কমিশনের (Justice Manoj Mukherjee Commission) রিপোর্টকে তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৪৫ সালে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য সংক্রান্ত কমিশনের রিপোর্ট জানিয়েছে, গুমনামি বাবার পরিচয়ের সঙ্গে সুভাষচন্দ্র বসুর কোনও মিল নেই। দাবি, দেবব্রত রায়ের। উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদের হাফিজের সঙ্গেও নেতাজির কোনও যোগ মেলেনি বলে দাবি করেন তিনি।

ফলে গুমনামি বাবা (Gumnami Baba) সিনেমা ও টিজারের মধ্যে দিয়ে একধরণের বিকৃত প্রচার জনমানসে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে, যা প্রতারণা ও অপরাধের সামিল। গুমনামি বাবা সিনেমার প্রযোজকের কাছে প্রেরিত নোটিসে তা বলা হয়েছে।

নোটিসের শেষে উল্লেখ, ‘এইসব কারণেই সিনেমাটি পুনর্গঠিত হোক বা সত্যের ভুল উপস্থাপনা থেকে দূরে থাকুন অথবা প্রজেক্টটি বন্ধ করা হোক। না হলে নেতাজীকে অপমানের বিষয়টি আইনী পথেই (law shall take its own voyage) মোকাবিলা করা হবে।'

.