This Article is From Aug 16, 2019

কাশ্মীরকে বিশৃঙ্খল করার পাকিস্তানের চেষ্টা সত্ত্বেও কোনও প্রাণহানি হয়নি: সরকার

জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, একজন মানুষেরও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, এবং সরকার কয়েকটি প্রতিরোধ নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক পদক্ষেপ করেছে

কাশ্মীরকে বিশৃঙ্খল করার পাকিস্তানের চেষ্টা সত্ত্বেও কোনও প্রাণহানি হয়নি: সরকার

৫ অগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে কড়াকড়ি চলছে।

শ্রীনগর:

জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞার সমর্থনে শুক্রবার মুখ খুলল সরকার। তাদের যুক্তি, সরকারের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর রয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে বড় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠনগুলি। জম্মু  ও কাশ্মীরের মু্খ্যসচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, “কোনও মৃত্যুর খবর, বা গুরুতর আহত হওয়ার খবরও আসেনি। আইশৃঙ্খলা ও শান্তিরক্ষার জন্য কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে”। ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার, পাশাপাশি রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই সেখানে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়েছে।  

সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন, সরকারি অফিসগুলি ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে, এবং খুব দ্রুত সেখানকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে। তাঁর কথায়, “পরের সপ্তাহে, ধীরে ধীরে স্কুল খুলবে”। সপ্তাহের শেষের দিকেই জম্মু ও কাশ্মীরে ফোন পরিষেবা চালু করা হতে পারে বলে জানান তিনি।

মুখ্যসচিব বলেন, “পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে, ধীরে ধীরে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে”। তিনি আরও বলেন, “সতর্কতামূলক পদক্ষেপে আটক করার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে, উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে”।

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের আগেরদিন রাতে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আব্দুল্লাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তাঁদের এখনও ছাড়া হয়নি।

মেহবুবা মুফতির মেয়ে বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন, মিডিয়ায় যদি তিনি কথা বলেন, তাঁহলে তার পরিণতি ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে তিনি জানান, “আজ, সমস্ত দেশ যখন স্বাধীনতা দিবস পালন করছে, পশুদের মতো খাঁচায় বদ্ধ কাশ্মীর, এবং তাদের মানুষের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্ছিত করা হচ্ছে”।

যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, “আমরা যা করেছি, সেগুলি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ ছিল, সুরক্ষা এবং বৃহত্তর জনজীবনের কল্যাণের জন্য করা হয়েছে। আমাদের সিদ্ধান্তের পর থেকে কোনও প্রাণহানি”। তিনি আরও বলেন, উপত্যকা এলাকায় জঙ্গি সংগঠনগুলি কোনও ক্ষতি করতে পারেনি বলেও জানান রাজ্যের মুখ্যসচিব।

জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে এবং উন্নয়নমূলক কাজ ব্যাহত করতে, জঙ্গি সংগঠনগুলিকে দিয়ে হামলা চালানর পরিকল্পনা করছিল পাকিস্তান। বিবৃতি বলা হয়েছে, “অবাধ চলাফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা, বড় জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি, ফোন পরিষেবা বন্ধ রাখা এবং স্কুল কলেজ কলেজগুলি বন্ধ রাখার মতো সিদ্ধান্তগুলি' এই বিপদ এড়াতেই নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিশ্চিত করা হয়েছে, “এলকায় জরুরি সামগ্রি এবং ওষুধপত্রের কোনও অভাব নেই”।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “২২ জেলার মধ্যে ১২টি জেলায় স্বাভাবিকভাবেই চলছে, কয়েকটিতে শুধুমাত্র রাতেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে”।

.