This Article is From May 24, 2019

গুরুং-এর আশা নতুন মোদী সরকার গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে নজর দেবে

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানালেন। তাঁর আশা, নতুন সরকার গোর্খাল্যান্ডের দাবির ব্যাপারে নজর দেবেন।

গুরুং-এর আশা নতুন মোদী সরকার গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে নজর দেবে
কলকাতা:

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং (Bimal Gurung), যিনি বর্তমানে আত্মগোপন করে রয়েছেন, তিনি শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) বিজেপির (BJP) দুরন্ত জয়ের জন্য অভিনন্দন জানালেন। পাশাপাশি আশা প্রকাশ করলেন, মোদীর নতুন সরকার গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দীর্ঘ দিনের দাবিটির ব্যাপারে নজর দেবেন। গুরুং-এর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার এক গোষ্ঠীর সমর্থন পেয়ে বিজেপির রাজু বিস্ত তৃণমূ‌‌লের অমর সিংহ রাইকে বিপুল ভোটে হারিয়ে দিয়েছে। দার্জিলিংয়ের উপনির্বাচনে বিজেপির নীরজ তামাং জিম্বা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয় তামাংকে হারিয়ে দেন। বিনয় তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে একজন নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়ছিলেন। পিটিআইকে ফোনে গুরুং জানিয়েছেন, ‘‘আমরা খুব খুশি বিজেপি জিতেছে এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিশ্বাসঘাতকরা ও তৃণমূল (TMC) ভোটে হেরে গিয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা বিজেপি নেতৃত্ব ও নতুন সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির দিকে দৃষ্টিপাত করতে।''

এবার ক্ষমতায় এলে গোর্খাল্যান্ড গঠন নিয়ে চিন্তা করবে বিজেপি: গুরুং

এই নিয়ে টানা তিনবার দার্জিলিংয়ে জয়ী বিজেপি রাজ্যের এই ইস্যুর ব্যাপারে তাদের ইস্তাহারে কোনও উল্লেখ না করলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পাহাড়ের সমস্যার ‘স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান'-এর এবং ১১টি গোর্খা সম্প্রদায়ের তফশিলি উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতির। দার্জিলিংয়ে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূ‌ল ও বিজেপির লড়াইয়ের থেকেও আরও বেশি করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই গোষ্ঠীর লড়াই-ই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একটি গোষ্ঠীর নেতা বিমল গুরুং, যারা বিস্তকে সমর্থন করেছিল। অন্য গোষ্ঠীর নেতা তাঁর একসময়ের সঙ্গী বিনয় তামাং, যারা রাইকে সমর্থন করেছিল।  

পাহাড়ের বুক থেকে গোর্খাল্যান্ডের দাবি এখনও মুছে যায়নিঃ বিমল

গুরুং (Bimal Gurung), বললেন, ‘‘বিনয় তামাং এবং অনীত থাপা, গোর্খাল্যান্ড টেরিটরি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (GTA) নবনিযুক্ত সভাপতি শিগগিরি পদত্যাগ করবেন দল ও জিটিএ থেকে। জিটিএ ভেঙে যাবে।'' রোশন গিরি, যিনি বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক, এক বিবৃতিতে বলেছেন, পাহাড়ে তৃণমূল এবং তাদের প্রতিনিধিদের লোকসভা ও উপ নির্বাচনে হার ওই দল ও তার প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া স্পষ্ট জনাদেশ এবং পাহাড়ি এলাকার স্থানী রাজনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা ব্যক্ত করে।

তিন দশক বাদে দার্জিলিঙের ভোটে ইস্যু নয় গোর্খাল্যান্ড

তিনি বলেন, ‘‘আমার দল এবং জোটসঙ্গীদের তরফে আমি জানাচ্ছি, জিটিএ বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস-এর সমস্ত মনোনীত সদস্যরা পদত্যাগ করতে রাজি এবং গোর্খাল্যান্ড (Gorkhaland) টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন শিগগিরি ভেঙে দেওয়া হবে, যাতে এই অঞ্চলের বহু বছরের রাজনৈতিক সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের পথ প্রশস্ত হতে পারে।''

.