This Article is From Nov 13, 2019

বরফযুগের পর মাটিতে মিশেছিল ‘ভূতের পায়ের ছাপ’! গবেষকদের পরীক্ষায় সত্য উদঘাটন

গবেষকরা নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষ, ম্যামথ এবং দানবীয় শ্লথের পায়ের ছাপগুলি পরীক্ষা করেছেন।

বরফযুগের পর মাটিতে মিশেছিল ‘ভূতের পায়ের ছাপ’! গবেষকদের পরীক্ষায় সত্য উদঘাটন

বরফযুগের পরে লুকিয়ে থাকা অদৃশ্য পদচিহ্ন এবং পদচিহ্নের নীচে কী রয়েছে তা আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা

নিউ ইয়র্ক:

বরফের তলায় লুকিয়ে ‘ভৌতিক' পদচিহ্ন? একটি বিশেষ ধরণের রাডার ব্যবহার করে গবেষকরা এই চিহ্নের মালিকানা বের করে ফেলেছেন সম্প্রতি। বরফযুগের পরে লুকিয়ে থাকা অদৃশ্য পদচিহ্ন এবং পদচিহ্নের নীচে কী রয়েছে তা আবিষ্কার করেছেন। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পদচিহ্নের জীবাশ্মগুলি ১২,০০০ বছর আগে মানুষ এবং প্রাণি কীভাবে একে অপরের সঙ্গে বসবাস করত, কীই বা তাদের মিথস্ক্রিয়া সে সম্পর্কে প্রচুর তথ্য প্রকাশ করে।

আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই গবেষণার প্রধান লেখক থমাস আরবান বলেন, “আমরা কখনও পায়ের ছাপের নীচে তাকানোর চিন্তা করিনি, তবে এই পলির নিজেরই একটি স্মৃতি রয়েছে যাতে পশুর ওজন এবং গতির প্রভাব সুন্দরভাবে ধরা রয়েছে। এটি আমাদের বিলুপ্তপ্রায় প্রাণির বায়োমেকানিক্স বোঝার একটি রাস্তা করে দেয় যা আমাদের আগে কখনও ছিল না”। গবেষকরা নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস জাতীয় স্মৃতিসৌধে মানুষ, ম্যামথ এবং দানবীয় শ্লথের পায়ের ছাপগুলি পরীক্ষা করেছেন।

আরও পড়ুনঃ  বেঙ্গালুরু-তে ভূতের আতঙ্ক, সত্যিই ভূত! নাকি অন্যকিছু?

গ্রাউন্ড-পেনিট্রেটিং রাডার (GPR) ব্যবহার করে তারা ওই এলাকায় মানুষ ও দানবাকৃতি মেরুদণ্ডী প্রাণির চিহ্ন বের করতে সক্ষম হয়েছেন। “তবে এইগুলি শুধুমাত্র কেস স্টাডি নয়, তার চেয়েও বড় বিষয় লুকিয়ে রয়েছে,” বলেন থমাস আরবান।

"এই কৌশলটি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যেখানে পদচিহ্নের জীবাশ্ম রয়েছে সেখানে প্রয়োগ করা যেতে পারে, সম্ভবত ডাইনোসরের পায়ের ছাপ রয়েছে এমন স্থানেও। আমরা ইতিমধ্যে হোয়াইট স্যান্ডসের একাধিক স্থানে পদ্ধতিটি আরও বড় স্তরে সফলভাবে পরীক্ষা করেছি,” জানিয়েছেন থমাস আরবান।

আরও পড়ুনঃ আগামী শিক্ষাবর্ষেই রাজ্যের মাধ্যমিক পাঠক্রমে থাকছে সাপ নিয়ে বিশেষ অধ্যায়

“যদিও এই ‘ভৌতিক' পদচিহ্নগুলি বৃষ্টির পরে অল্প সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে এবং যখন পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে, যেমন এখন, তখন জিওফিজিক্স পদ্ধতির ব্যবহার করে পরীক্ষা করা যাবে। প্লেইস্টোসিন যুগের প্রাণি এবং মানুষের মিথস্ক্রিয়া, ইতিহাস বোঝার জন্য থ্রিডি তে রেকর্ড, চিহ্নিতকরণ এবং পরীক্ষা করা যেতে পারে,” বলেন সহ-লেখক স্টুয়ার্ট ম্যানিং।

GPR হ'ল এমন একটি পদ্ধতি যাতে খননের প্রয়োজন ছাড়াই গবেষকরা লুকিয়ে থাকা তথ্য বের করতে পারেন। সেন্সর আসলে এক ধরণের অ্যান্টেনা যা ভূপৃষ্ঠের উপর থেকে মাটিতে রেডিও তরঙ্গ প্রেরণ করে। সিগন্যালটি মাটির নীচে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে এবং নীচে কী রয়েছে তার একটি চিত্র দেখায়।

.