মাসুদকে গ্লোবাল টেররিস্ট তকমা দেওয়ার জন্য আবেদন করে আমেরিকা , ব্রিটেন ও ফ্রান্স।
হাইলাইটস
- জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজাহারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ফ্রান্স
- ফ্রান্সের সরকারের তরফ থেকে শুক্রবার এ কথা জানানো হয়েছে
- মাসুদের নাম ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ঘোষিত জঙ্গির তালিকা তুলতে চায় ফ্রান্স
প্যারিস: জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজাহারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ফ্রান্স। ফ্রান্সের সরকারের তরফ থেকে শুক্রবার এ কথা জানানো হয়েছে। ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং অর্থমন্ত্রক যৌথ বিবৃতি জারি করে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথা জানিয়েছে। পাশাপাশি এটাও জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ঘোষিত সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় যাতে মাসুদের নাম তোলা যায় তা নিয়েও আলোচনা করতে চায় ফ্রান্স। মাত্র দু'দিন আগে জইশ –ই – মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজাহারকে গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণার ক্ষেত্রে আবার বাধা হয়ে দাঁড়ায় চিন। এ নিয়ে পর পর চার বার বাধা দিল বেজিং। কাশ্মীরে জঙ্গি হানার পর আমেরিকা ব্রিটেন এবং ফ্রান্স মাসুদকে এই তকমা দিতে চেয়েছিল। কিন্ত এবারও ভেটো দিন চিন। গোটা ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে দেখছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে মাসুদের উপর আর্থিক চাপ তৈরির চেষ্টা করল ফ্রান্স।
মোদীকে নিয়ে করা রাহুলের মন্তব্য পাক-সংবাদপত্রের শিরোনাম হবেঃ রবিশঙ্কর
হাতে ছিল আর মাত্র এক ঘণ্টা। ওই টুকু সময় কেটে গেলেই মাসুদ গ্লোবাল টেররিস্ট তকমা পেয়ে যেত। কিন্তু চিন একেবারে শেষ মুহূর্তে রাষ্ট্রসঙ্ঘে জানায় সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগবে। আর তাই এবারও পার পেয়ে গেল জইশ প্রধান। এই তকমা পেয়ে গেলে সন্ত্রাসবাদী কাজ কর্ম চালাতে সমস্যা হত মাসুদের। কোথাও যাওয়াত করতে সমস্যা হত, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাখা টাকা থেকে শুরু করে অন্য সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়ে যেত। নিজের দেশে সেই কাজটাই করল ফ্রান্স। চিনের সিদ্ধান্তের পর ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল একটি সদস্য সময় নেওয়ায় এবারও মাসুদকে গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণা করা যায়নি। গোটা ঘটনায় আমরা হতাশ। এর ফলে পুলওয়ামার জঙ্গি হানার দায় নেওয়া জইশ প্রধান মাসুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করা গেল না। ২০০১ সালে জইশ-ই- মহম্মদকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তবে ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পর থেকে ভারত মাসুদকে গ্লোবাল টেররিস্ট হিসেবে চিহ্নিত করতে চায়। সাম্প্রতিক পুলওয়ামায় হামলার পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে মাসুদকে গ্লোবাল টেররিস্ট তকমা দেওয়ার জন্য আবেদন করে আমেরিকা , ব্রিটেন ও ফ্রান্স।