This Article is From Aug 02, 2018

ইমরানের শপথে থাকছেন না অন্য কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধান

ভোট যুদ্ধ জয়ের পর ইমরান খান ভারতের  সঙ্গে পাকিস্তানের সুসম্পর্কের উপর জোর দিয়েছিলেন।

ইমরানের শপথে থাকছেন না অন্য কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধান

রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে শপথ নেবেন ইমরান।

ইসলামাবাদ:

ভোট যুদ্ধ জয়ের পর ইমরান খান ভারতের  সঙ্গে পাকিস্তানের সুসম্পর্কের উপর জোর দিয়েছিলেন। তাঁর স্পষ্ট বার্তা ছিল কাশ্মীর থেকে শুরু করে যে কোনও  সমস্যা মেটাতে ভারত যদি উদ্যোগ  নেয় তাহলে পিছিয়ে থাকবে না পাকিস্তান। শুধু তাই নয় নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর ফোন করে ইমরানকে অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন মোদী। এরপর পাক রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের অনেকেরই মনে হয়েছিল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ সার্কের সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। কিন্তু সে পথে হাঁটল না পাকিস্তান। জানিয়ে দেওয়া হল বিদেশের কোনও রাষ্ট্রনেতাকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে না।

জানা গিয়েছে , 11 অগাস্টের শপথ গ্রহণে বিদেশের কয়েকজন নাগরিক হাজির থাকবেন ঠিকিই  কিন্তু তাঁরা কেউ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদে তাঁদের আমন্ত্রণ করেছেন ইমরান। তাঁর দল তেহেরিক ই ইনসাফের মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরি জানিয়েছেন, বিদেশের রাষ্ট্র প্রধানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে  থাকা নিয়ে যে চর্চা হচ্ছে তা ঠিক নয়। তিনি বলেন সেদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ইমরান  শপথ নেবেন। সেটি  সব দিক থেকেই জাতীয় অনুষ্ঠান হতে চলেছে। সেখানে ইমরানের কয়েকজন বন্ধু ছাড়া অন্য কোনও বিদেশের নাগরিক থাকবেন না।

দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে ক্ষমতায় আসার পর তখনকার পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান মোদী। এসেওছিলেন নওয়াজ। পাল্টা সৌজন্য দেখিয়ে নওয়াজের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে পৌঁছে যান মোদী। কিন্তু সম্পর্ক বেশি দিন ভাল থাকেনি। বরংবার সীমান্ত বরাবর আক্রমণ চালায় পাক সেনা। তাছাড়া  জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা পর্যন্তও হয়। জবাব দিয়েছে ভারতও। দু’দেশের  মধ্যে আলোচনার পথও প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে । এরই মধ্যে ভোটে জেতার পর ইমরান যেভাবে  সুসম্পর্ক রাখার কথা বলেছিলেন তাতে কূটনৈতিক মহলে  আশার সঞ্চার হয় কিন্তু প্রথমেই তা ধাক্কা খেলো বলে মনে করা হচ্ছে।   

.