This Article is From Apr 04, 2019

মোদীর জন্য প্রচার করে বিপাকে রাজস্থানের রাজ্যপাল

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে তাঁর কাজ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন। ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা' নেওয়ার কথা বলে ফাইল পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

মোদীর জন্য প্রচার করে বিপাকে রাজস্থানের রাজ্যপাল

কল্যাণ সিং। (ফাইল চিত্র)

হাইলাইটস

  • মোদীর জন্য প্রচার করে বিপাকে জড়ালেন রাজস্থানের রাজ্যপাল
  • নির্বাচনের আগে এরকম একটি ঘটনা ঘটায় রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে
  • বিদেশ সফর সেরে এসেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে ফাইল পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি

প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রচার করে বিপাকে রাজস্থানের রাজ্যপাল (Governor) কল্যাণ সিং। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2019) আগে  এরকম একটি ঘটনা ঘটায় রাজনৈতিক মহলে  চর্চা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে তাঁর কাজ নির্বাচনী বিধি (Model  Code Of Conduct) ভঙ্গ করেছেন। ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা' নেওয়ার কথা বলে ফাইল পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি (President) রামনাথ কোবিন্দ।

হরিনাম সংকীর্তনে গিয়ে গানের তালে পা মেলালেন দীনেশ

  বিদেশ  সফর সেরে এসেই  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে  ফাইল পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। স্বাধীন ভারতে এর আগে কখনও কোনও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগ ওঠেনি। রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে যাঁরা থাকেন তাঁদের জন্য নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হয় না। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের তরফে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছে। তাছাড়া  নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির কাছে একজন রাজ্যপালের নামে অভিযোগ করছে এমন নজিরও  নেই খুব একটা। গতমাসে কল্যাণ সিং বলেন দেশের ভালর জন্য  নরেন্দ্র মোদীর আবার নির্বাচিত হওয়া জরুরি।  ক্যামেরায়  তাঁর বক্তব্য শোনার পর বিতর্ক মাথা চাড়া দেয়। শুধু তাই নয় কল্যাণ আরও বলেন, সমাজের এবং রাজনৈতিক দলের প্রত্যেকের মোদীকে আরেকবার নির্বাচিত করা প্রয়োজন।   তাঁর কথায়, ‘আমরা সবাই বিজেপির কর্মী। আর তাই জন্য আমরা চাই বিজেপি জিতুক। সবাই চাইছে মোদীজি আবার দেশের  প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসুন। দেশ এবং সমাজের জন্য মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়া দরকার।'

এর আগে নয়ের দশকে মধ্যপ্রদেশের একটি কেন্দ্রে ছেলের জন্য প্রচার করেন দেশের এক রাজ্যপাল। তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বাতিল হয় নির্বাচনও। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কল্যাণ। কয়েকটি কারণে বিবাদ হওয়ায় ১৯৯৯ সালে বিজেপি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন কল্যাণ। পরে আবার ২০০৪ সালে  ফিরে যান তিনি। ২০১৪ সালে রাজ্যপাল নির্বাচিত হন তিনি।

.