This Article is From Jan 26, 2020

"পৃথক অসম"-এর দাবি, JNU'র পড়ুয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা

"পৃথক অসম" (Separate Assam) রাষ্ট্রের দাবি তুলে দুই রাজ্যের পুলিশের র‍্যাডারে জেএনইউ (JNU) পড়ুয়া শারজিল ইমাম। আসাম পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ, শারজিল ইমাম তাঁর বক্তৃতায় পৃথক অসম রাষ্ট্রের দাবি তুলেছেন।

হাইলাইটস

  • "পৃথক অসম" রাষ্ট্রের দাবি, ইউএপিএ-তে মামলা দায়ের জেএনইউ'র পড়ুয়ার বিরুদ্ধে
  • দিল্লি পুলিশ ও অসম পুলিশ পৃথক ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছে
  • শাহিনবাগের আন্দোলনে যোগ দিয়ে সে ওই দাবি করেছিলেন, এমনটাই অভিযোগ
নিউ দিল্লি:

"পৃথক অসম" (Separate Assam) রাষ্ট্রের দাবি তুলে দুই রাজ্যের পুলিশের র‍্যাডারে জেএনইউ (JNU) পড়ুয়া শারজিল ইমাম। অসম পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তার দিন দুয়েক বাদে দিল্লি পুলিশও ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহিতার মামলা দায়ের করল। শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে অভিযোগ শাহিনবাগ আন্দোলনের (Shaheenbagh) যোগ দিয়ে "পৃথক অসম" রাষ্ট্রের দাবি তুলেছেন তিনি। তাঁর এই "রাষ্ট্রবিরোধী" মন্তব্য বিভেদমূলক। এমন অভিযোগ তুলে ইউএপিএ (UAPA) আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। একটা বিবৃতিতে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, সিএএ আর এনআরসি'র বিরোধিতা করে শারজিল ইমাম উস্কানি ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যও করেছেন। এই যুবক বিহারের বাসিন্দা আর জেএনইউ'র পড়ুয়া।সেই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "তাঁর মন্তব্য দেশের ধর্মীয় বৈচিত্র্য, ঐক্য ও অবিচ্ছেদ্যতা নষ্ট করবে।" 

Republic Day Parade 2020: চিনুক, আপাচে হেলিকপ্টারের অভিষেক, আকাশপথে দেখাল কেরামতি

দিল্লি পুলিশ আরও দাবি করেছে, এর আগেও ওই পড়ুয়া এই ধরণের মন্তব্য করেছেন। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে যখন উত্তাল জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, তখন তাঁকে এ ধরণের মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ (রাষ্ট্রদ্রোহিতা), ১৫৩ এ (ভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ান), আর ৫০৫ ধারায় (মন্তব্য যা জনজীবনের স্থিতি নষ্ট করতে পারে) অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁর সেই মন্তব্যর একটা ভিডিও সাম্প্রতি সোশাল সাইটে ছড়িয়েছে। সেই ভিডিওর সূত্র টেনে এই মামলা দায়ের। যদিও শাহিনবাগ আন্দোলনে জড়িতরা বলেছেন, কোনও একজন এই আন্দোলনের উদ্যোক্তা না। শাহিনবাগ আন্দোলনের টুইটার পেজে দাবি করা হয়েছে, এই আন্দোলনের পুরোভাগে মহিলারা। তাই কোনও ব্যতিক্রমি কণ্ঠকে আমাদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া অন্যায়।" এই বিষয়ে দিল্লি পুলিশকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন সে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। 

তিনি বলেছেন, কেউ যদি পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে সরব হয়, অবিলম্বে তাঁকে গ্রেফতার করা হোক। সেটা না করে বিজেপি, সেই পড়ুয়ার প্রতিবাদ করে সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তৃতা দিচ্ছে।  

.