This Article is From Feb 18, 2019

মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস, ২ পরীক্ষার্থী সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি

প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হল এবার। মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে দুজন এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।

মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস, ২ পরীক্ষার্থী সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি
কলকাতা:

২০১৯ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরু থেকেই বিপত্তি। প্রায় প্রতিদিনই খবর আসছে নতুন কোনও বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার। তা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। পিছিয়ে নেই সোশ্যাল মিডিয়াও। সেখানেও চলেছে একের পর এক ট্রোল। তাতে বহু লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার। সেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হল এবার। মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে দুজন এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সোমবার এই কথা জানালেন রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি-র এক কর্তা। বহু জেলা থেকে প্রশ্নপত্র ‘লিক' হওয়ার প্রচুর অভিযোগ আসার পরই তদন্তভার গ্রহণ করেছিল সিআইডি। রবিবার রাতেই এই সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানালেন ওই সিআইডি কর্তা।

মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা

এই বছর গোটা রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০, ৬৬,০০০ জন। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে ওই সিআইডি কর্তা জানান, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সাহাবুল আমির এবং শাহবাজ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। তারা দুজন যথাক্রমে মালদা এবং কাটোয়ার বাসিন্দা। হুগলি থেকে গ্রেফতার করা হয় সাজিদুর রহমানকে।

“প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি আমরা। তাদের মধ্যে এই বছরের দুজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীও রয়েছে। তবে, এতেই আমাদের তল্লাশি শেষ হবে না। তা চলবে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত শেষ ব্যক্তিকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত”, বলেন ওই সিআইডি কর্তা।

প্রকাশিত হল রাজ্য পুলিশের মহিলা কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষার ফল, জেনে নিন বিস্তারিত

তিনি জানান, ওই অভিযুক্তরা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে তাতে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে পাঠাত। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় মাধ্যমিক পরীক্ষা। ইংরেজি, বাংলা, ইতিহাস, ভূগোল পরপর চারটি পরীক্ষাতেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার খবর সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্রের ছবি সহ ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে।

সিআইডি জানিয়েছে, যে যে ফোন ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ করা হত, সেই ফোনগুলিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। ওই ফোনগুলির মাইকদের কাছেই এখন পৌঁছনোর চেষ্টা করছে সিআইডি।

সিআইডি আরও জানায়, এই ঘটনায় আরও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর যুক্ত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

.