This Article is From Oct 20, 2019

ভারতীয় রেলের ইতিহাসে প্রথম! ২ ঘণ্টা দেরি করায় যাত্রীদের আড়াইশো টাকা করে ক্ষতিপূরণ!

Tejas Express: বিলম্বের ফলে মানুষের বিরক্তি বা ক্ষোভ পুষিয়ে দিতে যাত্রীদের অতিরিক্ত চা, দুপুরের খাবারও পরিবেশন করা হয়েছিল।

ভারতীয় রেলের ইতিহাসে প্রথম! ২ ঘণ্টা দেরি করায় যাত্রীদের আড়াইশো টাকা করে ক্ষতিপূরণ!

ট্রেন দেরি করলে যাত্রীরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন ভারতের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম!

লখনউ:

ভারতীয় ট্রেনের ইতিহাসে এ এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। ট্রেনের সময়সূচি, ট্রেন দেরি করা নিয়ে মানুষের ভোগান্তি কম নয়! এবার ট্রেন দেরি করার কারণে ভুক্তভোগী যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে নজির গড়ল Tejas Express! সদ্য চালু হওয়া তেজস এক্সপ্রেসে ভ্রমণকারী যাত্রীদের প্রত্যেককে ২৫০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ট্রেন প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে চলায় এই ক্ষতিপূরণ পাবেন যাত্রীরা। লখনউ থেকে ওই ট্রেনে চড়েন প্রায় ৪৫১ জন যাত্রী এবং প্রায় ৫০০ জন নয়াদিল্লি থেকে ওই ট্রেনে চড়েন। লখনউয়ের আইআরসিটিসি'র চিফ রিজিওনাল ম্যানেজার (সিআরএম) অশ্বিনী শ্রীবাস্তব বলেন, “আমরা সমস্ত যাত্রীদের মোবাইল ফোনে একটি লিঙ্ক পাঠিয়েছি যাতে তাঁরা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। যারা আবেদন করবেন তাঁরা টাকা ফেরত পাবেন।” ৪ অক্টোবর লখনউ থেকে চালু হয় এই ট্রেনটি। তেজস হ'ল ভারতীয় রেলের প্রথম বেসরকারি ট্রেন (first corporatised train of Indian Railways) যা ভারতীয় রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (IRCTC) দ্বারা পরিচালিত।

তেজস এক্সপ্রেসে সফর করলেই যাত্রীরা এবার জল পাবেন Biodegradable Bottles-এ

ট্রেন দেরি করলে যাত্রীরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন ভারতের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম! ক্ষতিপূরণ তখনই দেওয়া হয় যখন ট্রেন নির্দিষ্ট সময়সূচির পরে গন্তব্যস্থলে পৌঁছবে। যদি ট্রেন দেরিতে যাত্রা শুরু করেও নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশন যাত্রীদের পৌঁছে দিতে পারে তবে আর ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।

শনিবার তেজস এক্সপ্রেস ভোর ৬ টা ১০ মনিটে লখনউ থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে প্রস্থানের পরিবর্তে তা সকাল ৮.৫৫ মিনিটে লখনউ থেকে যাত্রা শুরু করে। এবং বেলা ১২.২৫-এর পরিবর্তে ৩.৪০ মিনিটে নয়াদিল্লিতে পৌঁছয়। নয়াদিল্লি থেকে ফের বেলা ৩.৩৫-এর পরিবর্তে তা ৫.৩০ মিনিটে রওনা হয়।

১৫০টি ট্রেন ও ৫০টি স্টেশনের পরিচালনার দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থাকে দেবে রেল

এই বিলম্বের মূল কারণ ছিল ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ। নির্দিষ্ট যাত্রার আগে যে কোনও ট্রেনের প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণ করতেই হয় নিয়ম অনুসারে। শনিবার ভোর চারটে নাগাদ তেজসের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হতে পারেনি কারণ ইয়ার্ডে থাকার সময় লখনউ স্টেশনেই ট্রেনের একটি কোচ বেলাইন হয়ে পড়ে।

বিলম্বের ফলে মানুষের বিরক্তি বা ক্ষোভ পুষিয়ে দিতে যাত্রীদের অতিরিক্ত চা, দুপুরের খাবারও পরিবেশন করা হয়েছিল। যাত্রীদের দেওয়া রিফ্রেশমেন্ট প্যাকেটে বড় বড় করে লেখা হয়েছিল “বিলম্বের জন্য দুঃখিত”। ট্রেন দেরিতে ছাড়বে বলে যাত্রীদের উদ্দেশে বারেবারে ঘোষণাও করা হয়।

.