This Article is From Sep 20, 2019

অর্থ তছরুপ মামলায় তৃণমূল সাংসদ কেডি সিংয়ের সম্পত্তির খোঁজে ইডির অভিযান

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন সেই সময়েই দিল্লি ও চণ্ডীগড়ে ED Raids চলে।

অর্থ তছরুপ মামলায় তৃণমূল সাংসদ কেডি সিংয়ের সম্পত্তির খোঁজে ইডির অভিযান

ED Raids:পিএমএলএর আওতাধীন মামলায় অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য এই অভিযান চালানো হয়। (ফাইল ছবি)

নয়া দিল্লি:

 অর্থ পাচারের মামলায় বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তৃণমূল সাংসদ কেডি সিংয়ের (TMC MP KD Singh) বিভিন্ন সম্পত্তির সন্ধান চালাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ অন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন সেই সময়েই দিল্লি ও চণ্ডীগড়ে ওই অভিযান (ED Raids) চালান ইডির আধিকারিকরা। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই সাংসদ ও অন্যদের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনের (পিএমএলএ) অধীনে মামলার অতিরিক্ত প্রমাণ সংগ্রহের জন্য এই অভিযান চালানো হচ্ছে। এটি একটি চিটফান্ড  এবং আবাসন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। এই কেলেঙ্কারিটি প্রায় ১,৯০০ কোটি টাকার বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এ বছরের প্রথম দিকে সিংয়ের সঙ্গে সংযুক্ত আলকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়েলটি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ২৩৯ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এই তদন্তের অংশ হিসাবে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাটি গত বছর রাজ্যসভা সদস্য কে ডি সিংকে তলব করেছিল।

রাজীব কুমারের সন্ধানে বাড়ি, পাঁচতারা হোটেলে তল্লাশি সিবিআইয়ের

কে ডি সিং ২০১২ সালে অ্যালকেমিস্ট সংস্থার চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেও, তিনি ওই ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা বলে জানা গেছে।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে কে ডি সিং ও তাঁর ফার্মের (এমএস অ্যালকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়েলটি লিমিটেড) বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত শুরু করে।  পিএমএলএর অধীনে একটি কোম্পানি, এর পরিচালক এবং অন্যদের বিরুদ্ধে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই তদন্ত শুরু করে তদন্ত সংস্থাটি।

"তদন্তে জানা গেছে যে অ্যালকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়েলটি লিমিটেড কোম্পানির ওয়েবের মাধ্যমে অর্থ তছরুপ করেছিল।  আরও দেখা গেছে যে বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংস্থাটি অর্থ সংগ্রহ করেছিলষ কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এই টাকা তোলা হয়েছিল তা কখনই সেই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়নি। বরং ওই টাকা ওই সংস্থারই অন্যান্য ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলিতে স্থানান্তরিত করা হয় । অভিযুক্ত ওই টাকা দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্পত্তি কেনার জন্যে ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে", জানিয়েছে ইডি।

রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার দাবিতে আদালতে সিবিআই

তদন্তকারীরা এও জানিয়েছেন যে, সংস্থাটি একটি অবৈধ যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্প চালু করে, এটি আসলে একটি চিট ফান্ড ছিল । ২০১৫ সালের মধ্যে ওই চিটফান্ড সংস্থা জনগণের কাছ থেকে প্রায় ১,৯১৬ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছিল। সেবির "অনুমোদন ছাড়াই" এই প্রকল্পটি চালু করা হয় এবং এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

২০১৫ সালে, ওই সংস্থাটি সেবিকে জানিয়েছিল যে বাজার নিয়ন্ত্রকদের তদন্তের পরে তারা ১,০৭৭ কোটি টাকা ফেরৎ দিয়েছে এবং বাকি পরিমাণ টাকা পুনরুদ্ধারের জন্য আরও সময় চাওয়া হয় সেবির কাছে, কিন্তু ওই আবেদন বাতিল করে সেবি।

এরপর, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করে সেবি। এরপরেই ইডি, ওই রিয়েলটি ফার্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে।

.