This Article is From May 24, 2019

উত্তরপ্রদেশে ভরাডুবি কংগ্রেসের, প্রদেশ সভাপতির পদ ছাড়লেন রাজ বব্বর

Election results 2019: গান্ধী পরিবারের দীর্ঘদিনের শক্ত ঘাঁটি অমেঠীতেও জিততে পারেননি রাহুল। তবে রায়বরেলী আসনে জয়ী হয়েছেন সোনিয়া গান্ধী।

উত্তরপ্রদেশে ভরাডুবি কংগ্রেসের, প্রদেশ সভাপতির  পদ ছাড়লেন রাজ বব্বর

Election results 2019: উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের ফল সবচেয়ে খারাপ হয়েছে।

হাইলাইটস

  • উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি রাজ বাব্বর দলীয় পদ ছেড়ে দিলেন
  • দল ছাড়ার কথা ভাবছেন খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও
  • গান্ধী পরিবারের দীর্ঘদিনের শক্ত ঘাঁটি অমেঠীতেও জিততে পারেননি রাহুল
নিউ দিল্লি:

লোকসভা  নির্বাচনে (General Election 2019)  বিপর্যয়ের পর ২৪ ঘন্টাও কাটেনি। এরই মধ্যে কংগ্রেসে পদত্যাগের (Fallout In Congress) পালা শুরু হল। উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি রাজ বাব্বর (Raj Babbar)  দলীয় পদ ছেড়ে দিলেন। একই সঙ্গে ওড়িশার রাজ্য সভাপতি নিরঞ্জন পট্টনায়ক এবং কর্নাটকের প্রচার কমিটির প্রধান এইচকে পাটিল দল ছেড়েছেন। এই তিন রাজ্যেই খুব খারাপ ফল করেছে  কংগ্রেস। তারই দায়  নিয়ে  পদ ছাড়লেন  তিন নেতা। শুধু তাই নয় শোনা যাচ্ছে কাল কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে (Congress Working Committee) দল ছাড়ার কথা জানিয়ে দেবেন খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও (Congress Chief Rahul Gandhi)। এবার উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের ফল সবচেয়ে খারাপ হয়েছে। গান্ধী পরিবারের দীর্ঘদিনের শক্ত ঘাঁটি অমেঠীতেও জিততে পারেননি রাহুল। তবে রায়বরেলী আসনে জয়ী হয়েছেন সোনিয়া গান্ধী । 

‘অমেঠীর জন্য নতুন সকাল' টুইট করলেন ২০১৯-এর তারকা বিজয়ী স্মৃতি ইরানি

 এমতাবস্থায় বিপর্যয়ের দায় নিয়ে পদ ছেড়েছেন রাজ বব্বর। চিঠি লিখে কংগ্রেস সভাপতি কে সে কথা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি টুইটারে তিনি লিখেছেন উত্তর প্রদেশের এই ফলাফল হতাশাজনক। নিজের কাজ ঠিক করে করতে পারেনি বলে আমি নিজেকেই দোষী  মনে করি। ফতেপুর সিক্রি আসন থেকে নিজেও পরাজিত হন রাজ।   আমি নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করব এবং কেন পরাজয় হল সে ব্যাপারে আমার বক্তব্য জানাব। পাশাপাশি তিনি লিখেন জয়ীদের অভিনন্দন। আপনারা জনাদেশ পেয়েছেন। 

Election Result 2019; বিজেপির বিরাট জয়, দ্বিতীয়বার মসনদে বসছেন মোদী, ১০টি পয়েন্ট

এদিকে ২০১৪ সালের ভোটের সময় কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সোনিয়া, রাহুল ছিলেন সহ সভাপতি। পদ ছেড়ে দিতে  চেয়েছিলেন দুজনেই। সেবার ৪৪ টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। নেহরু –গান্ধী পরিবাররে প্রতি সদা অনুগত কংগ্রেস দুজনকেই পদে থেকে যেতে অনুরোধ  করে। তবে এবার নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ কিছুটা বেশি। ইতিমধ্যেই রাজস্থানের এক কংগ্রেস নেতা বলেছেন, কিছু পরিবর্তনের ইচ্ছা থাকলে নেতৃত্বেই বদল আনা  দরকার। শুধু তাই নয় নেহরু- গান্ধী পরিবারের নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৪ সালের মে মাসে রাহুল বলেন, দলের সহ-সভাপতি হিসেবে এই হারের দায় আমার। আমি পদত্যাগ করতে চাই। কিন্তু সেটা  হয়নি। পরে  তিনি সভাপতির দায়িত্ব নেন। এবারও পারল না  কংগ্রেস।

    

.