This Article is From Oct 03, 2019

Durga puja 2019: পুজো নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল লড়াই, কে কোথায় এগিয়ে

Durga puja 2019: দুই দ‌লই চাইছে পাঁচদিনের মেগা উৎসবকে কেন্দ্র করে যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছতে।

Durga puja 2019: পুজো নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল লড়াই, কে কোথায় এগিয়ে

Durga puja 2019: দুই দ‌লই চাইছে পাঁচদিনের মেগা উৎসবকে কেন্দ্র করে যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছতে।

কলকাতা:

উৎসবের মরশুমে (Durga puja 2019) জমে উঠেছে বিজেপি (BJP)-তৃণমূ‌ল (TMC) লড়াই। দুই দ‌লই চাইছে পাঁচদিনের মেগা উৎসবকে কেন্দ্র করে যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছতে। গেরুয়া শিবিরের সিদ্ধান্ত পুজোমণ্ডপের বাইরে ১০,০০০-এরও বেশি স্টল দেওয়ার। সেই স্টলে তাদের আদর্শ প্রচারের পুস্তকের পাশাপাশি নাগরিক পঞ্জি ও নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে বইও থাকবে। সাধারণ মানুষকে এই বিষয়ে অবগত করার উদ্দেশ্যেই এই বই রাখা হবে স্টলে। লোকসভায় রাজ্যে ঝড় তোলার পর এবার তাদের লক্ষ্য বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ পার্বণ, যাকে রিও ডি জে‌নেইরো কার্নিভালের সঙ্গে তুলনা করা হয় সেখানেও তৃণমূল কংগ্রেসের দশকওয়ারি আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করা।

পাঁচ দিনের এই উৎসব আর নিছক শিল্প, সংস্কৃতি ও উদযাপনের অংশ নয়। রাজনৈতিক দলগুলিও প্রবেশ করেছে পুজোয়। পুজো কমিটিতে ঢুকে পড়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। স্থানীয় নির্বাচনের সাফল্যে এই পদক্ষেপকে ‘কি ফ্যাক্টর' মনে করছেন তাঁরা।

পুজোর সময় কেমন থাকবে ট্রাফিক,কী বলছে ট্রাফিক ডিপার্টমেন্ট জেনে নিন

গত এক দশকে তৃণমূলের বহু শীর্ষস্থানীয় নেতা-মন্ত্রীরা রাজ্যজুড়ে বড় বড় পুজোয় অংশ নিয়েছেন। এবার বিজেপিও একই একই পথে হাঁটছে।

সূত্রানুসারে, গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য ছিল রাজ্যের ২৮,০০০ পুজো কমিটির মধ্যে ১৪,০০০ কমিটিতে ঢুকে পড়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৬,০০০ পুজো কমিটিতেই ঢুকতে পেরেছে তারা। অধিকাংশই শহরতলির পুজো।

বিজেপির এহেন পরিকল্পনায় বাধ সেজেছে তৃণমূল। বিজেপি নেতা প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘‘তৃণমূ‌ল অন্য দলের কোনও নেতাকেই পুজো কমিটিতে ঢুকতে দিতে চায়নি। কারণটা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উভয়তই। কিন্তু তাও আমরা বহু পুজো কমিটিতে ঢুকতে পেরেছি, কেননা স্থানীয় মানুষরা চেয়েছে বিজেপি নেতারা কমিটিতে থাকুন।''

কেন তৃণমূল অন্য দলের প্রতিনিধিকে পুজো কমিটিতে ঢুকতে দিতে চাইছে না, সে সম্পর্কে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূল নেতা দের বক্তব্য, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দল বহু ইউনিয়ন, স্কুল প্যানেল, ক্লাব, গ্রাম কমিটির সংগঠনে দলের কাউকে ঢুকিয়ে দিয়ে সেগুলির নিয়ন্ত্রণ হাতে রেখেছে।

নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন না, জানালেন কংগ্রেস নেতা

এক বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা জানাচ্ছেন, ‘‘যদিও বামফ্রন্ট প্রত্যক্ষভাবে দুর্গাপুজোয় অংশ নিত না তবুও তাদের নেতারা কমিটিগুলিতে নিয়ন্ত্রণ রাখতেন। সেগুলিকে ব্যবহার করা হত দলের স্থানীয় সম্প্রসারণ হিসেবে। জনভিত্তি বাড়াতে আমাদের প্রথম লক্ষ্যই ছিল এই সব কমিটির দখল ন‌েওয়া।''

তৃণমূ‌‌ল সরকার ২৮,০০০ পুজো কমিটিকে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল আগেই। এবার সেটা বাড়িয়ে ২৫,০০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় ক্লাবগুলিকে বছরে ২ লক্ষ টাকা করে দেয় মমতা সরকার। বর্তমানে তৃণমূলের দখলে রয়েছে ৮০ শতাংশ পুজো কমিটি।

উত্তর ২৪ পরগনার এক পুজো কমিটির সদস্য জানিয়েছেন, ‘‘এই অনুদান পেতে অধিকাংশ ক্লাবই চাইত কোনও স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাকে কমিটিতে রাখতে। যদি আপনাদের কোনও তৃণমূ‌ল নেতা না থাকে, আপনি ২ লক্ষ টাকা পাবেন না। বার্তাটা পরিষ্কার।''

Durga Puja 2019: উদ্বোধন হল ৭১-এর পল্লি সার্বজনীন দুর্গোৎসবের, মা এলেন ‘সরা'য়

কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচ‌নের ফলাফলে বহু সমীকরণই বদলে দিয়েছে। রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, গেরুয়া শিবির তাদের অর্থবল ও বাড়তে থাকা জন সমর্থনকে কাজে লাগিয়ে এই সব কমিটিতে তৃণমূলের প্রভাব কমাতে সমর্থ হয়েছে। তাদের দাবি, কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল মিলিয়ে ১,০০০ পুজো কমিটি আগ্রহী হয়েছে কোনও বিজেপি নেতাকে দিয়ে তাদের পুজো উদ্বোধন করাতে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘উৎসবের উপর থেকে তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণ দ্রুত কমছে। সেই দিন দূরে নয়, যখন সবটাই বিজেপির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসবে।''

মঙ্গলবার শহরে এসেছিলেন বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এনআরসি নিয়ে এর সেমিনারে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি পূর্ব কলকাতার এখ পুজোর উদ্বোধনও করেন।

এছাড়াও দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী এবং রাহুল সিনহা, মুকুল রায়ের মতো দলের বর্ষীয়ান নেতারা রাজ্যজুড়ে বহু দুর্গাপুজোর উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছেন।

তৃণমূ‌লের দাবি ‘‘উত্তর ভারতীয়'' দল হওয়ার দরুন বিজেপির পক্ষে বাংলার সংস্কৃতি এবং দুর্গাপুজোকে ঘিরে তৈরি হওয়া আবেগকে বোঝা সম্ভব নয়। তৃণমূ‌লের সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘বিজেপি অর্থবল ব্যবহার করে ঢুকতে চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছে।''

পুজোর সময় কেমন থাকবে ট্রাফিক,কী বলছে ট্রাফিক ডিপার্টমেন্ট জেনে নিন

তিনি জানাচ্ছেন, অন্তত ১০,০০০ পুজো উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনপ্রিয়তায় অন্য কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাঁর ধারেকাছে নেই। তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ১০০ পুজোর উদ্বোধন করবেন এবার।

বর্ষীয়ান বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, মোদি সরকারের সাফ‌ল্যের কথা সকলকে জানাতে তাঁরা পাঁচ লক্ষ প্যামফ্লেট বিলি করবেন। যেখানে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল বা তাৎক্ষণিক তিন তালাক নিষিদ্ধ করার কথা লেখা থাকবে।

রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, ‘‘আমরা পুজোমণ্ডপের বাইর বইয়ের স্টলও দেব। স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা সেখানে থাকবেন। আমরা আমাদের আদর্শের কথা সবাইকে জানাব। এবং সাধারণ মানুষকে এনআরসি ও নাগরিকত্ব ‘সংশোধনী' বিল সম্পর্কে অবগত করব।''

তিনি বলেন ‘চায়ে পে চর্চা'র মতো জনসংযোগ প্রকল্পের অংশ হিসেবে বড় বড় পুজোমণ্ডপের বাইরে চায়ের স্টলও খোলা হবে। সেখানে সবার জন্য থাকবে বিনামূল্যে পানীয়র বন্দোবস্ত।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.