This Article is From Sep 24, 2018

"পুলিশকে জল দেবেন না, বরং কুকুরকে দিন", উস্কানিমূলক মন্তব্য করে ধৃত বিজেপি নেতা

বিজেপির জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী বিজেপির প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে দাড়িভিটে গিয়েছিলেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য। সেখানেই বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে তিনি ‘পুলিশ পেটানোর’ নিদান নিয়ে বসেন।

পুলিশকে মারার 'বুদ্ধি' দিয়ে গ্রেফতার হলেন বিজেপি নেতা। (প্রতীকী ছবি)

হাইলাইটস

  • উস্কানিমূলক মন্তব্য করে গ্রেফতার বিজেপি নেতা শঙ্কর চক্রবর্তী
  • ইসলামপুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বারো ঘন্টার বাংলা বনধ ডেকেছে বিজেপি
  • পুলিশকে গাছে বেঁধে পেটানোর নিদান দিলেন বিজেপি নেতা
ইসলামপুর:

ইসলামপুর নিয়ে তরজা ক্রমশ বেড়েই চলছে। বেড়ে চলেছে অশান্তিও। পুলিশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য করার জন্য এবার গ্রেফতার করা হল বিজেপির উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতিকে। ইসলামপুর থেকে রায়গঞ্জ ফেরার পথে দোমোহনার কাছ থেকে 34 নম্বর জাতীয় সড়কে গতকাল তাঁকে গ্রেফতার করা তাঁকে বলে জানান জেলাশাসক অরবিন্দ মীনা। ইসলামপুরে দাড়িভিট হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারান দুজন। গুরুতর আহত হন আরও জনা 15।  অভিযোগ, বিজেপির জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী মুকুল রায়ের নেতৃত্বাধীন বিজেপির প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে দাড়িভিটে গিয়েছিলেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য।

সেখানেই বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে তিনি ‘পুলিশ পেটানোর’ নিদান নিয়ে বসেন। তিনি বলেন, “শুধু কি পুলিশেরই অধিকার আছে নাকি জীবন কেড়ে নেওয়ার? পুলিশকে পেটানোর অধিকার আছে আমাদেরও। আজকের পর কোনও কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করলে গ্রামবাসীরা পুলিশকে গাছে বেঁধে পেটাবেন”। এখানেই শেষ নয়। তিনি রীতিমতো বুক ঠুকে এরপর বলেন পুলিশের সঙ্গে সব ধরনের ‘অসহযোগিতা’ করার কথাও। পুলিশ জল চাইলেও কেউ যেন সেই জল এগিয়ে না দেয়, তাও বলে বসেন তিনি।

তাঁর কথায়, “পুলিশ জল চাইলেও পুলিশকে জল দেবেন না। এমনকি, পুলিশের পরিবারের সদস্য বা পুলিশের সন্তানকে রাস্তায় আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখলেও হাসপাতালে নিয়ে যাবেন না”।

তাঁর বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমারকে একহাত নিয়ে তাঁর বদলির হুমকিও দেন শঙ্কর চক্রবর্তী। দাড়িভিট হাইস্কুলের ঘটনা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর যে অভিযোগ এনেছিল স্থানীয় গ্রামবাসীরা, তাকে নস্যাৎ করে দিয়ে সুমিত কুমার জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষে কোনও গুলি চালায়নি পুলিশ। তিনি জানিয়েছিলেন, পুলিশ গুলি না চালালেও গুলির আঘাতেই জখম হয়েছেন ছাত্ররা। কে বা কারা চালাল গুলি, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ইসলামপুরের সংঘর্ষের প্রতিবাদে আগামী বুধবার 26 সেপ্টেম্বর গোটা বাংলা জুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি।  



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
.