সল্টলেক থেকে নিষিদ্ধ বাজি ফাটানোর অভিযোগ এর আগেও বহুবার এসেছে
হাইলাইটস
- কলকাতা এবং আশপাশের এলাকায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ
- কালী পুজো-দীপাবলিতে নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো রুখতে হয় বিশেষ অভিযান
- শুধু সল্টলেক থেকেই গ্রেফতার হয়েছে প্রায় দেড়শো জন
কলকাতা: কলকাতা এবং আশপাশের এলাকায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগে প্রায় 200 জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কালী পুজো এবং দীপাবলিতে নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো রুখতে বিশেষ অভিযান করেছে পুলিশ। সেই অভিযানে মঙ্গলবার রাত 11 টা থেকে বুধবার দুপুরের মধ্যে খাস কলকাতা থেকে 61 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিয়ম ভেঙে গান বাজানোয় আরও গ্রেফতার করা হয়েছে আট জনকে। অন্যদিকে, সল্টলেক থেকে গ্রেফতার হয়েছে প্রায় দেড়শো জন। নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো থেকে শুরু করে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তল্লাশি চালিয়েই এই সমস্ত গ্রেফতারি সম্ভব হয়েছে।
বাজি ফাটানোর উপর বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও দিল্লিতে বায়ু দূষণের দাপট
পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলেছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানান তাঁদের আধিকারিকরা বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালাচ্ছেন।
সল্টলেক-নিউটাউনের মতো এলাকা থেকে নিষিদ্ধ বাজি ফাটানোর অভিযোগ এর আগেও বহুবার এসেছে। সে মতো চলে তল্লাশিও। মাত্র কয়েকদিন আগে নিউটাউনের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল 75 কেজি নিষিদ্ধ বাজি। এছাড়া বাগুইআটির হানার পাড়ার আরেকটি বাড়ি থেকেও 50 কেজি বাজি উদ্ধার হয়। দাম আনুমানিক 40 হাজার টাকা। বাড়ির পাশে থাকা গোডাউনে এই বিপুল পরিমাণে বাজি রাখা আছে খবর পেয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তখনই উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ বাজি।
দীর্ঘ শুনানির পর শর্ত সাপেক্ষে বাজি বিক্রিতে সম্মতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কম দূষণ ছড়ায় এমন বাজি বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাজি ফাটানোর সময়ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। বলা হয় দিপাবলীতে সন্ধ্যা 8 টা থেকে রাত 10 টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে। বড়দিনের ক্ষেত্রে সময়টা দুপুর 1:55 টা থেকে রাত 12:30টা। পরে আদালত নির্দেশ দেয় দিল্লি এবং আশপাশের এলাকা ছাড়া দেশের অন্যত্র আগে থেকে তৈরি করা বাজি ফাটানো যাবে। কিন্তু দিল্লি এবং তার আশাপাশের এলাকায় শুধু পরিবেশ বান্ধব বাজি ফাটাতে হবে। তবে ঘটনাচক্রে দেখা যাচ্ছে তা মোটেই হয়নি। রাজধানী এবং তার আশপাশের এলাকায় দেদার বাজি ফেটেছে। আর তার জেরে নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বায়ু দূষণ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)