This Article is From Feb 27, 2020

“ওদের বলুন, আমি একজন সাংসদ”, অমিত শাহকে চিঠি সাংসদের

রবিবার থেকেই ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে হিংসায় উত্তপ্ত রাজধানীর রাজপথ

“ওদের বলুন, আমি একজন সাংসদ”, অমিত শাহকে চিঠি সাংসদের

দিল্লি হিংসা নিয়ে অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে নরেশ গুজরাল অভিযোগ জানান, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি

নয়াদিল্লি:

দিল্লিতে হিংসা (Delhi Violence) ছড়িয়ে পড়া নিয়ে অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা এবং ঔদাসিন্যতার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah) এবং দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বায়জলকে (Anil Baijal) চিঠি লিখলেন শিরোমণি আকালি দলের সাংসদ নরেশ গুজরাল (Naresh Gujral) । রবিবার থেকে দিল্লিতে লাগাতার সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহতের সংখ্যা প্রায় ২০০।  কেন্দ্রের শাসকদলের জোটসঙ্গী শিরোমনি আকালি দল, সাংসদ নরেশ গুজরালের অভিযোগ, বুধবার রাতে উত্তেজিত জনতা মৌজপুরের একটি জায়গায় ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে, সেখানে আটকে পড়েন ১৬ জন মুসলিম ব্যক্তি, তাঁদের সহায়তার জন্য বারবার পুলিশকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা।

চিঠিতে সাংসদ লেখেন, “আমি পরিস্থিতির জরুরি অবস্থা সম্পর্কে জানাই, এবং অপারেটরকে জানাই, আমি একজন সাংসদ। রাত ১১.৪৩টায়, দিল্লি পুলিশের তরফে আমায় জানানো হয়, অভিযোগ নেওয়া হয়েছে, এবং অভিযোগ নম্বর ৯৪৬৬০৩...যদিও, আমি আরও ক্ষুন্ন হই, আমার অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি, এবং দিল্লি পুলিশের তরফে ওই ১৬ জন কোনও সাহায্য পাননি”।

আকালি দলের ওই সাংসদ বলেন, তাঁদের সাহায্য করেন কয়েকজন হিন্দু প্রতিবেশি, ফলে তাঁরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “যদি পরিস্থিতি এমনই হয়, যে, একজন সাংসদ ব্যক্তিগতভাবে অভিযোগ করার পরেও, তাহলে সেটা কি আশ্চর্যের নয়, যে উদাসীনভাবে রয়েছে পুলিশ, এবং দিল্লি জ্বলছে”।  

রবিবার থেকেই ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে হিংসায় উত্তপ্ত রাজধানীর রাজপথ। রাস্তায় টহল দিচ্ছি কয়েকশো আধা সামরিকবাহিনী এবং পুলিশ ।

 

rtbudvtরবিবার থেকে দিল্লিতে লাগাতার সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে

ডিসেম্বরে, NDTV কে নরেশ গুজরাল বলেন, “আমরা মনে করি, নাগরিকত্ব আইনের মধ্যে মুসলিমদেরও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত”, তারপরেই বিজেপি ও আকালি দলের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়। বিজেকে পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, যেভাবে শরিকদের সঙ্গে আচরণ করা হচ্ছে, তাতে অনেকেই অসন্তুষ্ট।

যদিও, গতমাসে আকালি দল ঘোষণা করে যে, আপোষের মাধ্যমে দুই দলের মধ্যে তৈরি হওয়া “ভুল বোঝাবুঝি” মিটিয়ে ফেলা হয়েছে।

এই প্রথমবার নাগরিকত্ব আইনে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সরকারের যুক্তি, ধর্মীয় আক্রমণের কারণে, তিন মুসলিম অধ্যুষিত দেশে থেকে ভারতে আসা অমুসলিম নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া সহজ হবে এই আইনে। সমালোচকদের দাবি, এই আইন ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের পরিপন্থী।

.