Nirbhaya case: গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে কিউরিটিভ পিটিশন দায়ের করেন পবন গুপ্তার আইনজীবী
হাইলাইটস
- পবন গুপ্তার কিউরিটিভি পিটিশনও খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
- এবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করল ওই আসামি
- মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ফাঁসি হওয়ার কথা নির্ভয়া কাণ্ডের ৪ আসামির
নয়া দিল্লি: নির্ভয়া কাণ্ডের (Nirbhaya case) অন্যতম আসামি পবন গুপ্তার মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা কিউরিটিভ পিটিশন সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) খারিজ করে দিলেও দমতে রাজি নয় সে, এবার রাষ্ট্রপতির কাছে করুণার আবেদন করল পবন। দিল্লির ২৩ বছর বয়সী এক প্যারা মেডিকেল ছাত্রীকে নির্মমভাবে গণধর্ষণ ও হত্যা করে পবন সহ মোট ৬ জন। তার মধ্যে একজন নাবালক বলে সংশোধনাগার থেকে ৩ বছর পরে ছাড়া পেয়ে যায় এবং অন্যতম অভিযুক্ত (Nirbhaya Convict) রাম সিং জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে। বাকি ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত। ৩ মার্চ অর্থাৎ আগামীকাল তাঁদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা। তার আগে নিজের ফাঁসি রুখতে গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে কিউরিটিভ পিটিশন দায়ের করেন আসামি পবন গুপ্তার (Pawan Gupta) আইনজীবী। সেই আবেদনই আজ (সোমবার) খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
তবে এখনও ফাঁসি থেকে বাঁচতে চেষ্টা করে যাচ্ছে আসামি পবন গুপ্তা। সে এখন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে তাঁর প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছে। যদিও ইতিমধ্যেই অন্য তিন আসামি - মুকেশ কুমার সিং, বিনয় কুমার শর্মা এবং অক্ষয় কুমারের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দিয়েছেন।
৩ তারিখ ফাঁসিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে নির্ভয়া-কাণ্ডের দুই আসামি
সুপ্রিম কোর্ট এর আগে মুকেশ কুমার সিং এবং বিনয় কুমার শর্মা দায়ের করা আবেদনও খারিজ করে দেয়। রাষ্ট্রপতি তাঁদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় তারা। যদিও শীর্ষ আদালত তাদের আবেদন গ্রাহ্য করেনি। এদিকে আরেক আসামি অক্ষয় কুমার এখনও তার করুণার আবেদন প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যায়নি।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির যুবতী নির্ভয়াকে গণধর্ষণ করার পর লোহার রড দিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন করে মোট ৬ জন। ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষপর্যন্ত হার মানতে বাধ্য হন নির্ভয়া। লজ্জায় মুখ ঢাকে গোটা দিল্লি।
মানসিক রোগের চিকিৎসা চেয়ে আদালতে নির্ভয়ার অপরাধী! খারিজ হল বিনয় শর্মার আবেদন
দিল্লির একটি আদালত ১৭ ফেব্রুয়ারি জানায় আগামী ৩ মার্চ, সকাল ৬টায় কার্যকর হবে এই ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড। সেই মর্মে জারি করা হয় মৃত্যু পরোয়ানাও। এই নিয়ে মোট ৩ বার নির্ভয়া কাণ্ডের ৪ অপরাধীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করল ওই আদালত। এর আগে ২বার আইনি জটিলতায় পিছিয়ে যায় তাদের ফাঁসি। এর আগে ২২ জানুয়ারি ও পরে আবার ১ ফেব্রুয়ারি, ফাঁসি কার্যকরের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছিল। যদিও সেই সময়ে ফাঁসি পিছিয়ে যাওয়ায় পার পেয়ে যায় তারা। এখনও যে তারা ফাঁসি পিছনোর চেষ্টা করে চলেছে, আসামিদের বারবার আইনি পদক্ষেপই তার প্রমাণ।