This Article is From Jun 05, 2020

আমফানের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে আসলে পকেটে টাকা পুরতে চাইছে রাজ্য: দিলীপ ঘোষ

Cyclone Amphan: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, ২০ মে হওয়া ঘূর্ণিঝড়ে পশ্চিমবঙ্গে আনুমানিক ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে

আমফানের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে আসলে পকেটে টাকা পুরতে চাইছে রাজ্য: দিলীপ ঘোষ

Dilip Ghosh: আমফানকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার জন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি

হাইলাইটস

  • ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বিঁধলেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ
  • বিজেপি প্রধানের মতে, আমফান পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে টাকা লুটছে সরকার
  • পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থা নিয়েও রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করলেন দিলীপ ঘোষ
কলকাতা:

ঘূর্ণিঝড় আমফানকে (Cyclone Amphan) হাতিয়ার করে আসলে পকেটে টাকা পুরতে চাইছে রাজ্য সরকার, এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারকে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ২০ মে তারিখে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) এবং ওড়িশার উপর আছড়ে পড়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফান। ওই ঝড়ের দাপটে বাংলার বহু জেলা তছনছ হয়ে যায়। রাজ্যের আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, ওই ঘূর্ণিঝড়ে পশ্চিমবঙ্গে আনুমানিক ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ক্ষতির অঙ্কের পরিমাণকেই তীব্র ভাষায় বিঁধলেন রাজ্যের পোড় খাওয়া বিজেপি নেতা (Dilip Ghosh)। দিলীপ ঘোষ বলেন, "এটা আসলে এই বিপর্যয় থেকে অর্থোপার্জনের কৌশল"। আমফানকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার জন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিকেও কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

রাজ্যে নাইট কার্ফুতে শিথিলতা! এবার রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা অবধি লাগু কার্ফু

দিলীপ ঘোষ বলেন, "এটাকে জাতীয় বিপর্যয় কোনওভাবেই বলা যায় না। রাজ্য সরকারের শুধুমাত্র কেন্দ্রকে রাজ্যের ক্ষতির পরিমাণ জানানো উচিত" ।

রাজ্যে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার বিষয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেন, বাংলায় ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্য সরকারের তরফে সেভাবে কোনও সাহায্যই করা হচ্ছে না। তাঁদের কাছে না আছে খাবার, না আছে জল।

তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "পরিযায়ী শ্রমিকরা খাবার ও জলের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। এ কারণেই তাঁদের মধ্যে অনেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন"। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, পঞ্চায়েতগুলোর উচিত সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে যে বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসেছেন তাঁদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা।

করোনা সতর্কতায় ধর্মীয় স্থানগুলোতে বন্ধ থাকছে প্রসাদ ও চরণামৃত বিতরণ, গাওয়া যাবে না প্রার্থনা সঙ্গীতও

বাংলার রেশন ব্যবস্থা নিয়েও সরকারকে আক্রমণ করেন রাজ্য বিজেপির প্রধান। রেশন ডিলাররা অনেকেই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে "ব্যাপক দুর্নীতি" করছেন এবং ইতিমধ্যেই অনেকে হাতেনাতে ধরা পড়ে গ্রেফতার হয়েছেন একথাও উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তুলোধোনা করেন দিলীপ ঘোষ।

রাজ্য বিজেপির সভাপতির লাগাতার আক্রমণ ও অভিযোগের প্রসঙ্গে রাজ্য সরকার কী বলছে সে সম্পর্কে এক প্রবীণ তৃণমূল নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিজেপি যে অভিযোগগুলি করেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

.