This Article is From May 26, 2020

আমফান দুর্গত বাংলাকে ঘোষণা মতোই ১,০০০ কোটি টাকা সাহায্য কেন্দ্রের

West Bengal: রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে আসবে কেন্দ্রীয় দল, আপাতত বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ পরিকাঠামো পুনরুদ্ধারেই জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার

আমফান দুর্গত বাংলাকে ঘোষণা মতোই ১,০০০ কোটি টাকা সাহায্য কেন্দ্রের

Cyclone Amphan: পশ্চিমবঙ্গের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের জন্য একটি দল রাজ্যে পাঠাবে কেন্দ্রীয় সরকার

হাইলাইটস

  • রাজ্যের হাতে ১,০০০ কোটি টাকা তুলে দিল কেন্দ্র
  • আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলাতেই ওই সাহায্য
  • এর আগে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি আকাশপথে খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
নয়া দিল্লি:

ঘূর্ণিঝড় "আমফান"-এর জেরে (Cyclone Amphan) রীতিমতো বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ। আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কিছুদিন আগেই রাজ্যে (West Bengal) আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ই তিনি ঘোষণা করেন, কেন্দ্রের তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এক হাজার কোটি টাকা ত্রাণ সাহায্য দেওয়া হবে। সেই ঘোষণা মতোই এবার রাজ্যকে ওই অর্থসাহায্য পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের জন্য খুব তাড়াতাড়ি একটি দল রাজ্যে পাঠাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সোমবারই মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব গৌবার সভাপতিত্বে ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি বা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের উদ্ধার ও ত্রাণ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে আকাশপথে সমীক্ষা শেষে ত্রাণের জন্যে যে এক হাজার কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতি মতোই সেই টাকা রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দিয়েছে। ওদিকে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণের জন্য শিগগিরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি দল রাজ্যে পাঠানো হবে। "আমফান"-এ ক্ষতিগ্রস্থ পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সমন্বয় ফেরাতে এবং পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় এই নিয়ে পঞ্চমবার বৈঠক করলো জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটি।

বেশিরভাগ জায়গায় ফেরানো হয়েছে জরুরি পরিষেবা, মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন: মুখ্যমন্ত্রী

জানা গেছে, কেন্দ্রের তরফ থেকে ১,০০০ কোটি  টাকার অর্থসাহায্য পেয়ে কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন যে, আপাতত ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ পরিকাঠামো পুনরুদ্ধারেই জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

কাটছে না দুর্যোগ! আমফানের পর এবার প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা রাজ্যে!

সোমবারের বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব গৌবা রাজ্যকে বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পশ্চিমবঙ্গের টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ পরিষেবা ও জল সরবরাহ ঠিক করা হোক। প্রয়োজনে সাহায্যের জন্যে প্রস্তুত রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোও, সেকথাও জানান তিনি। পশ্চিমবঙ্গের প্রয়োজনে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশস্য সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

সোমবারের বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাও। এছাড়া বৈঠকে অংশ নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, বিদ্যুৎ মন্ত্রক ও টেলিকম মন্ত্রক, এনডিআরএফ, এনডিএমএ-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।

.