This Article is From May 24, 2020

‘‘আমার মাথা কেটে নিন’’: আমফান পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা দিন-রাত কাজ করে চলেছি। দয়া করে ধৈর্য ধরুন। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব সব কিছু আবার স্বাভাবিক করতে।''

দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে বলে শনিবার দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শনিবার জানিয়ে দিলেন ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ ও অন্যান্য আবশ্যকীয় পরিষেবা শুরু হতে আরও সময় লাগবে। বুধবার ঘূর্ণিঝড় আমফানের (Cyclone Amphan) তাণ্ডবে রাজ্যে পরিকাঠামো ও শস্যের মোট ক্ষতি হয়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকা। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই বিপর্যয়ের পরে দু'দিন কেটেছে। আমরা দিন-রাত কাজ করে চলেছি। দয়া করে ধৈর্য ধরুন। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব সব কিছু আবার স্বাভাবিক করতে।''
এই পরিস্থিতিতে তৈরি হওয়া জন অসন্তোষ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি এটুকুই বলতে পারি, আমার মাথাটা কেটে নিন।'' প্রসঙ্গত, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেনার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।

শনিবার কলকাতা ও অন্যান্য জায়গাতে বিভিন্ন রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরাতে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রের সরকার খুব ধীরে এগোচ্ছে।

l2dj6hm8

এদিন বারাকপুর-সোদপুর বাইপাসে জনতা পথ অবরোধ করলে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হলে জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। অবরোধ ছিল কসবা ও গড়িয়াতেও। হাওড়ায় কোনা এক্সপ্রেসওয়েও অবরোধ করা হয়। 
আমফানের তাণ্ডবে রাজ্যে অন্তত ৮৬ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। রাজ্যের ছ'টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আক্রান্ত কলকাতাও। বহু রাস্তায় এখনও জল জমে রয়েছে। রাস্তার উপরে পড়ে রয়েছে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছের সারি। নেই বিদ্যুৎ। মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত।

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘‘রাস্তার জমা জল পাম্পের সাহায্যে বের করতে, পড়ে থাকা গাছ সরাতে এবং জল সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পাঁচ-ছ'দিন সময় লেগে যাবে।''

সোমবার থেকে আন্তঃরাজ্য বিমান পরিষেবা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কলকাতার দমদম বিমান বন্দর জলে ভাসছে। কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছেন যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে, যাতে পরিষেবা শুরু করা যায়।

.