This Article is From Jun 07, 2020

আমফান তাণ্ডবে ক্ষতির পরিমাণ এক লক্ষ কোটির বেশি! কেন্দ্রীয় দলকে জানাল নবান্ন

ঘরবাড়ি ধ্বংসের পাশাপাশি আমফান তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এমএসএমই শিল্প। এই শিল্পে প্রায় ২৬,৯৭০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে

আমফান তাণ্ডবে ক্ষতির পরিমাণ এক লক্ষ কোটির বেশি! কেন্দ্রীয় দলকে জানাল নবান্ন

আমফান তাণ্ডবে রাজ্যে মৃত ৯৮। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা দুই ২৪ পরগনা। (ফাইল)

হাইলাইটস

  • "আমফান তাণ্ডবে রাজ্যে ক্ষতির পরিমাণ এক লক্ষ কোটি টাকার বেশী।"
  • কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দলকে এমনটাই জানালো নবান্ন
  • গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই দিনের রাজ্য সফরে এসেছিল কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল
কলকাতা:

আমফান তাণ্ডবে (Amphan impact in Bengal) রাজ্যে এক লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দলকে  (IMCT review team) শনিবার এই হিসেবই দিয়েছে নবান্ন। দু'দিনের রাজ্য সফরে এসেছিল আন্তঃরাজ্য মন্ত্রী পরিষদ বা আইএমসিটি। তারা আমফান দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত দুই ২৪ পরগনা-সহ অন্য জেলাগুলো পরিদর্শন করেন। শনিবার দুপুরের পর সেই কেন্দ্রীয় দল  রাজ্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করে নবান্নে (Nabanna)। সেই বৈঠকে রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, ২০ তারিখের ঘূর্ণিঝড়ে কমবেশি ১,০২, ৪৪২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির মুখে রাজ্য। বাড়ি মেরামতি ও পুনর্নির্মাণে খরচ হতে পারে ২৮ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা। এমন পরিসংখ্যান আইএমসিটি'র সামনে  তুলে ধরেছে নবান্ন। রাজ্য সচিবালয় সূত্রে এমনটাই খবর।

জানা গিয়েছে, ঘরবাড়ি ধ্বংসের পাশাপাশি আমফান তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এমএসএমই শিল্প। এই শিল্পে প্রায় ২৬,৯৭০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে। কৃষিশিল্পে ক্ষতি হয়েছে ১৫, ৮৬০ কোটি টাকা। মৎস্য প্রতিপালন শিল্পে ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা আর উদ্যান প্রতিপালন শিল্পে ক্ষতি ৬৫৮১ কোটি টাকা। এভাবেই শিল্পভেদে ক্ষতির অঙ্ক কেন্দ্রীয় দলের সামনে তুলে ধরেছে নবান্ন।

এবিষয়ে সরকারি এক কর্তা বলেছেন; "কোন কোন শিল্পে কোন খাতে কী ক্ষয়ক্ষতি; সেটা বিস্তৃত আকারে কেন্দ্রীয় দলের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে কোন খাতে আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন, সেটাও বলা হয়েছে।"

ঘোষণা মেনেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যে পা রেখেছে আন্তঃমন্ত্রী পরিষদীয় দল বা আইমএমসিটি। ৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় এই পরিদর্শক দল আমফান বিধ্বস্ত রাজ্যের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। তারা ঘুরে দেখছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিপর্যস্ত এলাকা। শুক্রবার দুটি দলে ভাগ হয়ে কেন্দ্রীয় পরিদর্শকরা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পরিদর্শন করেছেন। জানা গিয়েছে, আইএমসিটি'র এই দলের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব অনুজ শর্মা। দুটি দল সূচি মেনে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি আর দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা পরিদর্শন করেন। ২০ মে'র ঘূর্ণিঝড়ে কলকাতার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে এই দুই জেলা। প্রায় দু'সপ্তাহ বিদ্যুৎ ও টেলি যোগাযোগহীন জীবন কাটিয়েছেন আবাসিকরা। এমনটাই স্থানীয় স্তরে অভিযোগ।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)

.