This Article is From Apr 12, 2020

মধ্যপ্রদেশে উদ্বেগজনক সংক্রমণ! কেন্দ্রকে দুষলেন কমল নাথ

প্রায় গোটা মাস জুড়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। সেই টানাপোড়েন আরও বাড়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগদানের পর

মধ্যপ্রদেশে উদ্বেগজনক সংক্রমণ! কেন্দ্রকে দুষলেন কমল নাথ

মধ্যপ্রদেশে করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক। এই কারণে কেন্দ্রকে অভিযুক্ত করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ।

নয়া দিল্লি:

মধ্যপ্রদেশে করোনায় সংক্রমিত ৫৩২ জন। মৃত ৩৬। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইন্দোরের। এই পরিস্থিতির (Corona in MP) জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ (Kamal Nath)। সরকার ফেলতে ব্যস্ত ছিল কেন্দ্রের সরকার। তাই সতর্কতা নিতে পারেনি। যার প্রভাবে এখন ভুগতে হচ্ছে মধ্যপ্রদেশকে। এই ভাষাতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ভূমিকায় সরব হলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।গত মাসে ১৮ মাসের কমল নাথ সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে শিবরাজ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন বিজেপি। প্রায় গোটা মাস জুড়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। সেই টানাপোড়েন আরও বাড়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে। প্রায় দু'ডজন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছিলেন পদ থেকে। তারপর সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে কমল নাথ সরকার। সেই ফাঁক গলে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ক্ষমতা দখল করে বিজপি।

রাজ্যে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে ১০ জুন পর্যন্ত

সেই প্রক্রিয়াকে কাঠগড়ায় তুলে রবিবার সংবাদসংস্থা এএনআইকে কমল নাথ বলেছেন, "মধ্যপ্রদেশ এমন একটা রাজ্য, যার কোনও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী নেই। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি উদ্বেগ প্রকাশের ৪০ দিন পর জারি করা হয়েছে লকডাউন। কেন্দ্র সংক্রমণ প্রতিরোধ করার বদলে রাজ্য সরকার ফেলতে বেশি সক্রিয় ছিল। সেই গরিমসিতে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ।" 

চিকিৎসকে গালি পড়শির! 'এত অমানবিক!'... তীব্র ভর্ৎসনা ক্ষিপ্ত অজয়ের

এদিকে, লাল, কমলা, সবুজ, ট্রাফিক সিগনালের মতো এই ৩টি রং এখন ফুটে উঠবে ভারতীয় মানচিত্রে।দেশের সংক্রমিত আর সংক্রমণ-মুক্ত এলাকা চিহ্নিত করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। শনিবার ১৩টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে ইঙ্গিত মিলেছে বাড়বে লকডাউনের মেয়াদ। কিন্তু এখনও হয়নি সরকারি ঘোষণা। যদিও একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে দিয়েছে। এই অবস্থায় আর্থিক মন্দা একটা বড় উদ্বেগের কারণ কেন্দ্রের কাছে। সেই উদ্বেগ থেকে শনিবার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, "আমাদের জীবনের সঙ্গে এবার জীবিকাকেও বাঁচাতে হবে।" সেই জীবিকা বাঁচানোর প্রয়াসে দেশকে এই তিন রঙে ভাগ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কোন কোন এলাকায় মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত থাকবে না, তা স্থির করবে সবুজ রং। কোন এলাকায় মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হবে, তা স্থির করবে কমলা রং। আর আঁতুড়ঘর অর্থাৎ লকডাউন জারি থাকার সম্ভাবনা কোথায়, তা লাল রং চিহ্নিত করবে। শনিবার বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে এই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। 

(ANI, PTI থেকে সংগৃহীত) 

.