This Article is From Feb 10, 2020

‘‘মোদিজি, প্লিজ...’’: করোনা আক্রান্ত জাপানের জাহাজে আটক ভারতীয়র ভিডিও বার্তা

ভিডিওয় তিনি কাতর আবেদন করে ব‌লেন, ‘‘যে কোনও ভাবে আমাদের রক্ষা করুন যত দ্রুত সম্ভব। আমাদের কিছু হয়ে গেলে কী হবে?’’

জাহাজের ক্রু সদস্য উত্তরবঙ্গের বিনয়কুমার সরকার জানিয়েছেন, জাহাজে সকলেই প্রবল আতঙ্কে ভুগছেন

হাইলাইটস

  • কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে বিলাসবহুল প্রমোদতরণী ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’-কে
  • ওই জাহাজে অনেকের শরীরেই ধরা পড়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ
  • মোট ছ’:জন ভারতীয়ও রয়েছেন জাহজে
কলকাতা:

গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে জাপানের এক বন্দরে কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে বিলাসবহুল প্রমোদতরণী ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস'-কে (Japan Ship)। সেই জাহাজের এক ক্রু সদস্য উত্তরবঙ্গের বিনয়কুমার সরকার। তিনি NDTV-কে জানাচ্ছেন, জাহাজের ক্যাপ্টেন ঘোষণা করেছেন, জাহাজে থাকা ৬৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মোট ৩,৭০০ জন যাত্রী ও ক্রু সদস্য রয়েছেন ওই জাহাজে। ১৬০ জন ক্রু সদস্যের অন্যতম বিনয় একজন শেফ। তিনি জানাচ্ছেন, দু'সপ্তাহের জন্য কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে জাহাজটিকে। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন বিনয়। তিনি NDTV-কে জানিয়েছেন, জাহাজে সকলেই প্রবল আতঙ্কে ভুগছেন।

Coronavirus: চিনের কানমিংকে কেন্দ্র করে কলকাতাতেও করোনা ভাইরাস আতঙ্কের ছায়া

রাষ্ট্রসংঘ ও ভারত সরকারের কাছে জাহাজে তোলা এক ভিডিওয় তিনি আবেদন করেছেন জাহাজে থাকা ভারতীয়দের আলাদা করে রাখার জন্য। তিনি বলেন, ‘‘কাউকেই এখনও পরীক্ষা করে দেখা হয়নি।''

ভিডিওতে হিন্দিতে বক্তব্য রেখে তিনি আবেদন করেন, তিনি ও তাঁর পাঁচ সহকর্মীর কাউকে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়নি।

ভিডিওয় তিনি কাতর আবেদন করে ব‌লেন, ‘‘যে কোনও ভাবে আমাদের রক্ষা করুন যত দ্রুত সম্ভব। আমাদের কিছু হয়ে গেলে কী হবে? আমি ভারত সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, মোদিজি, প্লিজ আমাদের পৃথক করে রাখার ব্যবস্থা করুন ও নিরাপদে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।''

জাপানের ইওকোহামা থেকে ওই জাহাজ ছেড়েছিল গত ২০ জানুয়ারি। ২৫ জানুয়ারি হংকং থেকে ওই জাহাজে ওঠেন এক যাত্রী। পরে তাঁর শরীরে সন্ধান মেলে করোনা ভাইরাসের।

কয়েকটি জাপানি সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার আরও ৬০ জনের শরীরে ওই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। সব মিলিয়ে ওই জাহাজে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩০।

সমস্ত যাত্রীকে ভিতরে থাকতে বলা হয়েছে সংক্রমণ এড়াতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে টোকিওকে বলা হয়েছে যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সব রকম সাহায্য করার জন্য। এমনকী, প্রয়োজনীয় মানসিক চিকিৎসার কথাও বলা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০,০০০ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৯০০-রও বেশি। তাঁদের অধিকাংশই চিনের বাসিন্দা। 

.