This Article is From Apr 09, 2020

সংক্রমণ চিহ্নিত করতে এবার নতুন পথে হাঁটছে আইসিএমআর

করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত করতে নতুন পদ্ধতি দত্তক নিল আইসিএমআর।স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই সংস্থার বেঁধে দেওয়া গাইডলাইন মেনে এযাবৎকাল সংক্রমণ প্রতিরোধে উদ্যোগ নিয়েছে।

সংক্রমণ চিহ্নিত করতে এবার নতুন পথে হাঁটছে আইসিএমআর

এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,০০০। (ফাইল ফটো)

নয়া দিল্লি:

করোনা সংক্রমণ (Corona) চিহ্নিত করতে নতুন পদ্ধতি দত্তক নিল আইসিএমআর।স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই সংস্থার (ICMR) বেঁধে দেওয়া গাইডলাইন মেনে এযাবৎকাল সংক্রমণ প্রতিরোধে উদ্যোগ নিয়েছে। জানা গিয়েছে, নতুন পদ্ধতিতে সবার আগে সিল করা হয়েছে আঁতুড়ঘর। তারপর বাড়ানো হয়েছে নমুনা পরীক্ষার হার। সেই আঁতুড়ঘরের (Hotspot) বাসিন্দারা সংক্রমিতের সংস্পর্শে না আসলেও করা হচ্ছে তাঁদের পরীক্ষা। যদি তাঁদের শরীরে উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়, তবেই হবে নমুনা পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে আইসিএমআর। গত তিন সপ্তাহে পাঁচ ধরনের মানুষের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। 

১) যারা গত দু'সপ্তাহে বিদেশ থেকে উপসর্গ নিয়ে এসছেন। 

২) সংক্রমিতদের সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ। 

৩) উপসর্গ আছে এমন স্বাস্থ্যকর্মীদের।

৪) শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে এমন রোগী।

৫) উপসর্গ নেই কিন্তু সংক্রমিতের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন নাগরিক।

হাওড়া জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্তা-সহ দু'জন সংক্রমিত, জানাল স্বাস্থ্য দফতর

এদিকে, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় জাতীয় ও রাজ্য স্তরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে মজবুত করতে পুরোপুরি কেন্দ্রীয় উদ্যোগে ১৫,০০০ কোটি টাকার পাঁচ বছরের এক স্বাস্থ্য প্রকল্পের অনুমোদন মিলল বুধবার। সরকারের তরফে একথা জানানো হয়েছে। এটি তিনটি দফায় বিভক্ত। প্রথমটি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন। পরেরটা ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের মার্চ। তৃতীয়টি ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ। এই তহবিলকে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হবে। এই প্রকল্পের অধীনে যেসব পরিকল্পনা রয়েছে তার অন্যতম কোভিড-১৯ হাসপাতাল, আইসিইউ নির্মাণ এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অক্সিজেন সরবরাহ।

"করোনা নিয়ে রাজনীতি করবেন না, এটা আগুন নিয়ে খেলার সমান", আমেরিকাকে জবাব দিল 'হু'

জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন থেকে জারি হওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আপৎকালীন কোভিড-১৯ মোকাবিলার দিকে লক্ষ্য রেখে জাতীয় ও রাজ্য স্তরে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে উন্নত করতে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় মেডিক্যাল সামগ্রী, ওষুধ, ল্যাবরেটরি উ্পভৃতি নির্মাণ— নানা খাতে এই প্রকল্পে খরচ হবে বলে জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

প্রথম দফায় এগুলির সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে হাসপাতাল ও সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সকে জীবাণুবিহীন করা কিংবা পিপিই ক্রয়ের মতো বিষয়ও।

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৭০০ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৬৬। সবথেকে বেশি প্রকোপ পড়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাডু ও দিল্লিতে। যেভাবে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে গত কয়েক সপ্তাহে তার ফলে বহু রাজ্যই কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চেয়েছে।

.