Greater Noida: পুলিশের তরফ থেকে গ্রেটার নয়ডার ওই হাউসিং কমপ্লেক্সের বাসিন্দাদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয়
হাইলাইটস
- আবাসনকে সিল করতে গিয়ে রীতিমতো মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হল পুলিশকে
- করোনা পজিটিভ ধরা পড়ায় গোটা আবাসনই সিল করে দেওয়া হয়
- বাসিন্দাদের দাবি, যেখানে করোনা আক্রান্ত রয়েছেন সেই ভবনটিই সিল করা উচিত
গ্রেটার নয়ডা: দিল্লির খুব কাছের অঞ্চল গ্রেটার নয়ডার (Greater Noida) একটি আবাসনকে সিল করতে গিয়ে রীতিমতো মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হল পুলিশকে। জানা গেছে ওই হাউসিং কমপ্লেক্সে বসবাসকারী একটি পরিবারের তিন সদস্যের শরীরে করোনা (Coronavirus) পজিটিভ ধরা পড়ায় গোটা আবাসন চত্বরকেই খালি করে দিতে সেখানে যান কিছু পুলিশ কর্মী। কিন্তু সুপারটেক ইকোভিলজ ওয়ান নামে ওই আবাসনের বাসিন্দারা পুরো কমপ্লেক্সটি সিল করার বিষয়ে রুখে দাঁড়ান। তাঁদের দাবি, হাউসিং কমপ্লেক্সের যে ভবনে কোভিড -১৯ (COVID-19) আক্রান্ত রোগীদের সন্ধান পাওয়া গেছে কেবল সেই ভবনটিই সিল করা উচিত, বাকিগুলো নয়। সোমবার গভীর রাতে তোলা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যে পুলিশ কর্মীরা আবাসিক কমপ্লেক্সের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে বাসিন্দাদের তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য আপ্রাণ বোঝানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাঁরা তা মানতে নারাজ। ওই কমপ্লেক্সের বাসিন্দারা যুক্তি দেন যে, বেশিরভাগ অফিসই আবার খুলে গেছে এবং তাদের অফিসে যেতে হবে, তাই বাসস্থান ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।
এরপরেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন পুলিশ কর্মীরা। একজন পুলিশ আধিকারিক হাতে মাইক নিয়ে বলেন, "আমরা আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা আমাদের কর্তব্যও করছি। এটা একটা সরকারি কাজ। আমরা ২৪ ঘণ্টা ধরে এখন কাজ করছি কিন্তু বেতন পাচ্ছি ১২ ঘণ্টার। যদি সত্যিই তর্কাতর্কি করতে চান তবে বেরিয়ে এসে করুন"।
"স্যার, আমরা এই জায়গা ছাড়লে না খেতে পেয়েই মরে যাব", হাউসিং কমপ্লেক্সের এক পুরুষ আবাসিক একথা বলে ওঠেন।
জবাবে এক পুলিশ কর্তা বলে ওঠেন, "আপনারা প্রয়োজনে জেলা শাসকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আমরা পরিযায়ীদেরও অনাহারে মরতে দিইনি"।
দীর্ঘক্ষণ বাদানুবাদ এবং দফায় দফায় আলোচনার পরে প্রশাসনের তরফ থেকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাসিন্দাদের শান্ত করা হয়। তারপর সুপারটেক ইকোভিলেজ ওয়ান পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়।
উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগর জেলা, যার অধীনে গ্রেটার নয়ডা এবং নয়ডা এলাকাটি পড়ে, সেখানে এখনও পর্যন্ত ৩৫৯ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এই মাসের শুরুর দিকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় যে দিল্লির মানুষজন এবার নয়ডা এবং গাজিয়াবাদে যেতে পারবেন, যদিও জেলা প্রশাসন দিল্লির সঙ্গে সেখানকার সীমানা বন্ধ করে দেয়।
হঠাৎ করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার বেড়ে যাওয়ার কারণে গাজিয়াবাদও দিল্লি থেকে সেখান প্রবেশের সীমান্তপথ বন্ধ করে দিয়েছে।