This Article is From Oct 17, 2019

তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যে একযোগে লড়ার রণনীতি তৈরি করছে কংগ্রেস ও সিপিআইএম

সিপিআই (এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী এই রাজ্যে বিজেপির উত্থানের জন্য TMC-কেই দায়ী করেছেন

তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যে একযোগে লড়ার রণনীতি তৈরি করছে কংগ্রেস ও সিপিআইএম

West Bengal: বিজেপিকে রুখতে গেলে সিপিআই(এম)-এর সঙ্গে একযোগেই লড়তে হবে, বলেন সোমেন মিত্র

কলকাতা:

পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) নিজেদের হারানো রাজনৈতিক জমি ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে একযোগে লড়ার পরিকল্পনা নিল প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) এবং সিপিআই (এম) (CPIM)।  দুই দল মিলে একটি "সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচি" প্রস্তুত করছে। "আমরা এখন একটি সাধারণ ন্যূনতম কর্মসূচি প্রস্তুত করছি, যার ভিত্তিতে যৌথ আন্দোলন বা রাজনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। এটি কখনই একতরফা ভাবে ঠিক হবে না। দুই দলের সম্মতিক্রমেই এটি ঠিক হবে। দীপাবলির ঠিক পরেই, আমরা রাজ্য জুড়ে আমাদের প্রথম যৌথ আন্দোলন শুরু করব", বলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র । তিনি বলেন, রাজ্যতে বিজেপি (BJP) যেভাবে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করছে তা খুবই আশঙ্কার, তাই সিপিআই (এম) এবং কংগ্রেস একযোগে এই "সাম্প্রদায়িক শক্তির" বাড়বাড়ন্ত বন্ধ করার জন্য একসঙ্গে লড়বে।

পাশাপাশি সিপিআই (এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী এই রাজ্যে বিজেপির উত্থানের জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন । "তৃণমূলই বিজেপিকে বাংলায় বেড়ে উঠতে সহায়তা করেছে। তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যেকার লড়াই আসলে লোকদেখানো লড়াই, লক্ষ্য জনগণকে বোকা বানানো", বলেন তিনি।

রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে সায় দিয়েছেন সনিয়া গান্ধি

বিজেপি বাংলায় বেশ ভালভাবেই নিজেদের জায়গা তৈরি করেছে এবং প্রদেশ কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টকে এ রাজ্যে যথাক্রমে তৃতীয় এবং চতুর্থ অবস্থানে ঠেলে দিয়ে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে নিজেকে তুলে ধরেছে। গত লোকসভা নির্বাচনের বিজেপি রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮ টি পেয়েছিল, শাসক দল তৃণমূলের থেকে মাত্র ৪টি আসন কম। আর পাশাপাশি দেখতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ২০১৪ সালে পাওয়া ৩৪ থেকে গত লোকসভা নির্বাচনে কমে ২২টি আসনে এসে দাঁড়িয়েছে।

সিপিআই (এম) -র নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট গত লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকে একটিও আসন পায়নি এবং কংগ্রেসের আসন সংখ্যা বাংলায় ৪টি থেকে ২টিতে নেমে এসেছে। এর আগে যদিও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এ রাজ্যে জোট বেঁধে লড়াই করেছিল বাম ও কংগ্রেস।  কিন্তু তাঁরা একসঙ্গে লড়েও সেই সময় খুব একটা বেশি প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে, প্রস্তাবিত কংগ্রেস-সিপিআই (এম) জোট ভেঙে যায়, কেননা উভয় দলই আসন-ভাগাভাগির চুক্তিতে কোনও সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি শেষপর্যন্ত।

লক্ষ্য বিধানসভা, বিজেপির মনোযোগে এখন ‘অপারেশন বেঙ্গল'

উভয় দলই যদিও সম্প্রতি রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের আসন্ন উপ-নির্বাচনে যৌথভাবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিপিআই (এম) ও কংগ্রেস, দুই দলের মিলিত সিদ্ধান্তে ঠিক হয়েছে যে, কংগ্রেস উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ আসন এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আর সিপিআই (এম) -র নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট নদিয়া জেলার করিমপুর বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

দেখুন ১৬.১০.২০১৯-এর সেরা খবর:

.