This Article is From Feb 14, 2020

‘‘খারাপ লেগেছে’’: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনে আমন্ত্রণ না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী

মমতা বলেন, তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন অনেক চেষ্টা করে এই প্রকল্পের অনুমতি জোগাড় করেন। অথচ বিজেপি তাঁকে উদ্বোধনে আমন্ত্রণ করার সৌজন্য দেখায়নি।

‘‘খারাপ লেগেছে’’: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনে আমন্ত্রণ না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনে ডাক না পেয়ে ক্ষোভপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। (ফাইল)

হাইলাইটস

  • ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পাননি মুখ্যমন্ত্রী
  • একারণে বিধানসভায় বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তিনি
  • বৃহস্পতিবার সূচনা হল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর
কলকাতা/ নয়াদিল্লি:

বিধানসভায় বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সূচনা হয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর। কিন্তু আমন্ত্রণ পাননি মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার মমতা বলেন, তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন অনেক চেষ্টা করে এই প্রকল্পের অনুমতি জোগাড় করেন। অথচ বিজেপি তাঁকে উদ্বোধনে আমন্ত্রণ করার সৌজন্য দেখায়নি। বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন করেন। এদিন রাজ্যসভায় মমতা বলেন, ‘‘আমরা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমাদের আক্ষরিক অর্থেই কান্নাকাটি করতে হয়েছে এর জন্য (সম্মতি)। আমার খারাপ লেগেছে, ছোট একটা রুটের জন্য হলেও বিজেপির সৌজন্য হল না আমাকে আমন্ত্রণ করার ও অবগত করার।''

৬৫ বছরের তৃণমূলনেত্রী ২০০৯ ও ২০১১-র মধ্যে রেলমন্ত্রী ছিলেন।

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম পর্যায়ের রুট চালু হল বৃহস্পতিবার। সল্ট লেকের সেক্টর-৫ থেকে সল্ট লেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত আপাতত চলাফেরা করবে এই রুটের মেট্রো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু আমন্ত্রণ পাননি মুখ্যমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার রেলমন্ত্রী দাবি করেন, রাজ্য সরকার বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করেছে প্রধানমন্ত্রীর কিষান যোজনা ও আয়ুষ্মান ভারতের মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে।

এদিন রেলমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করে মমতা বলেন, ‘‘বাংলায় আমরা মহিলাদের আইনের ক্ষেত্রে আরও অগ্রসর হয়েছি। পুলিশ দ্রুত মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে আক্রান্তকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে এবং তাঁর পরিবারকে আক্রমণ করা হচ্ছে। যদি আপনি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখতে চান উত্তরপ্রদেশে দল পাঠান।''

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, ফার্সি, জৈন ও বৌদ্ধ শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, এই সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হবে না। তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সমালোচকদের মতে, এই আইন মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক। এবং এটি সংবিধানের বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।

(তথ্য সহায়তা: পিটিআই, এএনআই)

.