This Article is From Feb 08, 2020

"ঋতুমতী নাবালিকার বিয়ে বৈধ," শরিয়ত আইন টেনে রায় পাকিস্তানের এক আদালতের

ঋতুমতী নাবালিকারবিয়ে বৈধ। সম্প্রতি একটা মামলায় এমন রায় দিয়েছে পাকিস্তানের সিন্ধ হাইকোর্ট

শরিয়ত আইনের প্রসঙ্গ টেনে সিন্ধ হাইকোর্ট বলেছে যেহেতু ঋতুচক্র হয়ে গিয়েছে তাই এই কিশোরী বিয়ে বৈধ। (প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র)

হাইলাইটস

  • কোনও কিশোরীর ঋতুচক্র হলেই তার বিয়ে বৈধ
  • শরিয়ত আইন উল্লেখ করে এমন নিদান দিয়েছে সিন্ধ হাইকোর্ট
  • অপরহরণ করে জোড় করে বিয়ের কবলে পড়া এক কিশোরীর পরিবার এই রায়ের বিরোধ করেছে
করাচি:

ঋতুমতী নাবালিকার  বিয়ে বৈধ। সম্প্রতি একটা মামলায় এমন রায় দিয়েছে পাকিস্তানের সিন্ধ হাইকোর্ট। এবার সেই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের (Pakistan Supreme Court) দ্বারস্থ এক ক্রিস্টান পরিবার। জানা গেছে, ওই পরিবারের ১৪ বছরের কিশোরী হুমাকে অপহরণ করে বিয়ে করেছিল অভিযুক্ত আবদুল জব্বর। বিয়ের আগে তাকে ধর্মান্তরিত করা হয়। প্রথমত হুমাকে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে আর দ্বিতীয়ত সে নাবালিকা, তাই এই বিয়ে আমরা মানছি না। এই দাবিতে সিন্ধ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হুমার মা-বাবা ইউনিস এবং নাগিনা মাসিহ। কিন্তু নাবালিকা হলেও, তার ঋতুচক্র হয়ে গিয়েছে।তাই জব্বরের সঙ্গে হুমার বিয়ে বৈধ।  অন্তত শরিয়ত আইনে তেমন নিদান আছে, রায়ে এমন উল্লেখ করেছিল ওই আদালত। তাই এখন ন্যায়-বিচার চেয়ে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ ওই পরিবার। ইউনিস ও নাগিনার আইনজীবী তাব্বাসুম ইউসুফ বলেছেন, আমরা হুমার হয়ে ন্যায়-বিচার চাইতে শীর্ষ আদালতে যাব। 

ধর্মীয় শোভাযাত্রায় বিস্ফোরণ, মৃত ১২ জনেরও বেশী, জানাল পুলিশ

এদিকে সিন্ধ হাইকোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে হুমার বয়স নির্ধারণ করতে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি এই সংক্রান্ত শুনানিতে সেই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি মহম্মদ ইকবাল কালহরো এবং ইরশাদ আলির পর্যবেক্ষণ, শরিয়ত আইন মেনে হুমা কিশোরী হলেও এই বিয়ে বৈধ।যদিও আইনজীবী তাব্বাসুম ইউসুফের দাবি, "সিন্ধ বাল্য বিবাহ প্রতিরোধী আইন-২০১৪ মেনে ওই রায় দেওয়া হয়নি। সিন্ধ প্রদেশের হিন্দু ও ক্রিস্টান সংখ্যালঘু কিশোরীদের ধর্মান্তরিত করে বাল্য বিবাহ আটকাতে ওই আইন পাস করা হয়েছিল। কিন্তু হুমার ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।" 

CAA নিয়ে ফোনে কথা বলায় কবিকে পুলিশে দেওয়া ক্যাব চালককে পুরস্কার বিজেপির

ওই আইনজীবীর অভিযোগ, "পুলিশ অভিযুক্ত জব্বরের সঙ্গ দিয়ে তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে পারে। পালটে দিতে পারে হুমার বয়সের শংসাপত্র। এমন আশঙ্কাই করছেন হুমার অভিভাবকরা।" তাব্বসুম দাবি করেছেন, যে ক্রিস্টান স্কুলে হুমা পড়ত, সেখানে দাখিল করা জন্মের শংসাপত্র আদালতে পেশ করা হয়েছে। তার প্রতিলিপি গিয়েছে পুলিশের কাছেও। যেখানে উল্লেখ, জুমার বয়স ১৪ বছর। এমনকি স্থানীয় একটা ওয়েব সাইট দাবি করেছে, হুমার মা আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে পাশে থাকতে আবেদন জানিয়েছেন। 

.