This Article is From May 27, 2020

মতপার্থক্যের ছায়া যাতে ইন্দো-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে না পড়ে : চিনা রাষ্ট্রদূত

সম্প্রতি ভারত-চিন সীমান্তে এলএসি বরাবর সামরিক সম্ভার বাড়িয়েছে দুই দেশ। সীমান্ত বিতর্ক উসকে দিয়ে ডোকলামে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে পিএলএ বা চিনা সামরিক বাহিনী

মতপার্থক্যের ছায়া যাতে ইন্দো-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে না পড়ে : চিনা রাষ্ট্রদূত

বুধবার অনলাইন বার্তালাপে এই বার্তা দিয়েছেন চিনের রাষ্ট্রদূত।

নয়া দিল্লি:

মতপার্থক্যের ছায়া যাতে ইন্দো-চিন (Indo-China standoff) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে না পড়ে। বুধবার এমন আবেদন করেছেন চিনা রাষ্ট্রদূত (China Ambassador) সুন ওয়েডং। সম্প্রতি ভারত-চিন সীমান্তে এলএসি (LAC) বরাবর সামরিক সম্ভার বাড়িয়েছে দুই দেশ। সীমান্ত বিতর্ক উসকে দিয়ে ডোকলামে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে পিএলএ বা চিনা সামরিক বাহিনী। কিন্তু এই উত্তেজনা সামরিক মতপার্থক্য নয়, এদিন দাবি করেছেন সুন। তিনি বলেন," আলোচনা করেই এই সমস্যার (Vorder dispute) সমাধান করা হবে। দুই দেশ নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় সক্রিয় হবে। এবং সীমান্তে স্থিতি বজায়ে উদ্যোগী হবে।" তিনি বলেছেন, "দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু সেই পার্থক্যের ছায়া যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে না পড়ে। পারস্পরিক বোঝাপড়া যাতে নষ্ট না হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা আশাবাদী আলোচনার মাধ্যমে পার্থক্য মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।"

ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই সেনা সম্মেলন, নেতৃত্বে সেনাপ্রধান 

তিনি বলেন, "আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে, কেউ কারও কাছে হুমকির কারণ নয়। ইন্দো-চিন একে-ওপরের কাছে সুযোগ তৈরির ক্ষেত্র। দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করতে হবে।" এদিকে, ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্তে  উত্তেজনা বাড়ছে, আর এরমধ্যেই আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়ে বসল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেদেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটের মাধ্যমে ওই প্রস্তাব দিয়েছেন যে, প্রয়োজনে আমেরিকা ভারত-চিন বিরোধের মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত। সিকিম ও লাদাখ সীমান্তে হঠাৎই চিন এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে যে বেজিং লাদাখের কাছে তাদের বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ চালাচ্ছে। এমনকী বেশ কিছু চিত্রে এও দেখা গেছে যে, কয়েকটি যুদ্ধবিমানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বুধবারই টুইট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, "আমরা ভারত ও চিন দুই দেশকেই জানিয়েছি যে আমেরিকা তাদের মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান সীমান্ত  বিরোধের মধ্যস্থতা বা সালিশি করতে প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম। আপনাদের ধন্যবাদ!"

চিনের সেনাকে যুদ্ধপ্রস্তুতির নির্দেশ চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর

ভারত এবং চিনের মধ্যে প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা রয়েছে। ইদানিং সেই সীমান্ত এলাকাতেই দুই দেশের সেনার মধ্যে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। 

তবে শুধু ভারতই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনার সঙ্গেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে চিনের সেনাবাহিনীর। এরই মধ্যে আবার মার্কিন নৌবাহিনীকে বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে টহল দিতেও দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি করোনা সংক্রমণকে কেন্দ্র করেও উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়েছে চিন ও আমেরিকার। ৯ মে, একটি ভারতীয় টহলদারী দলের কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন কর্মীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে চিনা সেনারা। ভারতের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, ভারত-চিন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে চিনের সেনাবাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তখনই জানানো হয় যে মোটরচালিত নৌকাগুলির সাহায্যে পানগং হ্রদে ঘোরাফেরা করছে তাঁরা।

.