This Article is From Feb 07, 2020

Li Wenliang: প্রথম মারণ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেও মারা গেলেন এই চিনা চিকিৎসক

Coronavirus: ডঃ লি ওয়েনলিয়াঙ বলেন এই ভাইরাসটি মহামারীর আকার নিতে পারে, কিন্তু তখন তাঁর কথায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, বৃহস্পতিবার এই রোগেই মৃত্যু হয় তাঁর

Li Wenliang: প্রথম মারণ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেও মারা গেলেন এই চিনা চিকিৎসক

Wuhan Virus: গত বছরের ডিসেম্বরে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে লি ওয়েনলিয়াঙ প্রথম সতর্ক করেছিলেন

হাইলাইটস

  • চিনে করোনা ভাইরাসের কারণে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
  • চিনের এক চিকিৎসক আগেই সতর্ক করেছিলেন ওই রোগ সম্বন্ধে
  • বৃহস্পতিবার ওই চিকিৎসকেরও মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই
বেজিং:

আগেই টের পেয়েছিলেন চিনের দরজায় মৃত্যুদূতের কড়া নাড়া, দেশের অন্যান্য চিকিৎসকদের সতর্কও করেছিলেন করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে, কিন্তু সেই সময় তাঁর কথায় কেউ পাত্তা দেয়নি। ডঃ লি ওয়েনলিয়াঙ হলেন চিনের সেই চিকিৎসক (Chinese Doctor) যিনি আগেই বুঝতে পেরেছিলেন এই মারণ ভাইরাস চিনে মহামারীর (Coronavirus Outbreak) আকার নেবে। চিনের সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, যে আটজন চিকিৎসক করোনা ভাইরাসের (Wuhan Virus) আগাম সতর্কতা জারি করেন, ডঃ লি ওয়েনলিয়াঙ হলেন তাঁদের মধ্যে প্রথম চিকিৎসক। তখনও সেভাবে চিনে নিজের রাজত্ব কায়েম করেনি ওই মারণ ভাইরাস (Coronavirus), তাই স্বভাবতই চিনের পুলিশ তাঁকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তিরস্কার করে। কিন্তু পরে দেখা যায়, সেই সময় একেবারে ঠিক পূর্বাভাস দিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। আসলে তিনি নিজেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাই টের পাচ্ছিলেন কীভাবে ক্রমশই এগিয়ে আসছে মৃত্যু। না, নিজেকেও বাঁচাতে পারেননি তিনি, বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ওই চিকিৎসকের (Li Wenliang)।

গত বছরের ডিসেম্বরে যখন সবে চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে থাবা বসাতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস, তখন ডঃ লি ওয়েনলিয়াঙই প্রথম ওই ভাইরাসটি সম্পর্কে রিপোর্ট করেন। জনপ্রিয় চিনা মেসেজিং অ্যাপ উই চ্যাটেই তিনি জানান, একটি স্থানীয় বাজারের সাতজন রোগীকে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাঁদের শরীরে সার্স-জাতীয় কোনও মারণ রোগের লক্ষণ ধরা পড়েছে এবং তাই তাঁদের ইতিমধ্যেই অন্যান্য রোগীদের থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে।

ধর্ষণের চেষ্টা করতেই,মহিলা বললেন তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত,তারপর..

তিনি সেই সময় একথাও জানান যে তিনি পরীক্ষা করে দেখেছেন, এই রোগটি আসলে করোনা ভাইরাস, রোগটি যাঁর শরীরে বাসা বাঁধে তিনি তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতায় ভোগেন। এর আগে ২০০৩ সালে চিন সহ গোটা বিশ্বে আরও একবার থাবা বসিয়েছিল এই ভাইরাসটি, সেই সময় ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে গোটা বিশ্বে প্রায় ৮০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়।

আর এটা বুঝতে পেরেই তিনি তাঁর বন্ধু এবং প্রিয়জনেদের ওই রোগটি থেকে সতর্ক থাকতে বলেছিলেন। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর সেই বার্তা স্ক্রিনশট সহ ভাইরাল হয়ে যায়।

মেদিনীপুরের বর-চিনের কনে! করোনাভাইরাসের কারণে মেয়ের বিয়েতে অনুপস্থিত কনেপক্ষ

"যখন আমি দেখলাম যে এই রোগটি নিয়ে অনলাইনে প্রচার হচ্ছে তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে এটা আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং সম্ভবত এর জন্যে আমার শাস্তিও হবে", কিছুদিন আগে সিএনএনকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন ওই চিনা চিকিৎসক। আর তাঁর আশঙ্কাই সত্যি হয়েছিল। তিনি ওই সতর্কবার্তাটি পোস্ট করার পরপরই উহান পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আনে। অথচ সেই সময় যদি তাঁর কথায় গুরুত্ব দেওয়া হতো তাহলে হয়তো বাঁচানো যেত কিছু মানুষকে।

বৃহস্পতিবারই সরকারি বিবৃতিতে চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের কারণে এখনও পর্যন্ত চিনে সর্বমোট ৫৬৪ জন মারা গেছেন এবং ৩১ টি অঞ্চলে কমপক্ষে ২৮,০১৮ জনের শরীরে ওই মারণ ভাইরাস বাসা বেঁধেছে।

.