This Article is From Oct 23, 2018

মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদ্দুরাপ্পার সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বড়ো পরীক্ষা আজ: 10টি তথ্য

'বি.এস. ইয়েদ্দুরাপ্পার সরকার তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবে এখানে দাঁড়িয়েই।' তাঁর উকিল সুপ্রিম কোর্টে আজ এ কথা বলেন

মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদ্দুরাপ্পার সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বড়ো পরীক্ষা আজ: 10টি তথ্য

বি এস ইয়েদ্দুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করেছিলেন বৃহস্পতিবার

হাইলাইটস

  • কংগ্রেস-জেডিএস-এর বিধায়করা বাসে করে হায়দ্রাবাদে স্থানান্তরিত হয়েছে
  • কংগ্রেস-জেডিএস ভোটের যুদ্ধটি নিয়ে গেছে সুপ্রিম কোর্টে, সারা রাত আদালতে বি
  • বিজেপি বলছে, তারা বৃহত্তম দল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, তাই তাদেরই থাকা উচিত
নিউ দিল্লী:

'বি.এস. ইয়েদ্দুরাপ্পার সরকার তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবে এখানে দাঁড়িয়েই।' তাঁর উকিল সুপ্রিম কোর্টে আজ এ কথা বলেন। ইয়েদ্দুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণের জন্য বিতর্কিত আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে কর্ণাটকের রাজ্যপাল ভাজুভাই ভালার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে করা একটি পিটিশন শুনছেন তিন বিচারপতির বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার ইয়েদ্দুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তড়িঘড়ি শপথ নেওয়ানোর জন্য প্রবল রাজনৈতিক দোলাচলের সৃষ্টি হয়েছে। বিচারপতিরা প্রথমে বৃহস্পতিবার মধ্য রাতের শুনানিতে পুরো ঘটনাটি শোনেন। কংগ্রেস-জেডিএসের জোট নিজেদের আসন গুলো ধরে রাখার জন্য তাদের 116 জন বিধায়ককে তেলেঙ্গানায় পাঠিয়ে দিয়েছে।

এই ঘটনা সংক্রান্ত 10টি তথ্য রইল এখানে:

- ইয়েদ্দুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন বৃহস্পতিবার। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি স্থগিত রাখার প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পরেই শপথ নেন তিনি। যদিও, সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর মেয়াদ নির্ভর করবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপরেই।

- সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ইয়েদ্দুরাপ্পাকে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্য যে 15 দিনের সময় দেওয়া হয়েছিল, তা সম্ভবত কাটছাঁট করা হবে।

- কংগ্রেস-জেডিএস আদালতে এই বলে পিটিশন দিয়েছিল যে, যতক্ষণ না বিজেপি দল ভাঙানোর খেলাটা বন্ধ করবে, ততক্ষণ তাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি গ্রহণ করা উচিত নয়।

- বিজেপির হাতে এখন 105 জন বিধায়ক। একজন নির্দল প্রার্থীও আছে তাদের মধ্যে। তারাই বৃহত্তম দল এখনও পর্যন্ত। কিন্তু, এখনও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়েই আছে তারা। 

- অন্যদিকে 78টি আসন নিয়ে কংগ্রেস, জেডিএসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে, দুজনে মিলে পৌঁছে গিয়েছে 116টি আসনে। যা, প্রয়োজনীয় আসনের থেকে চারটি বেশি।

- আইনিযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে ইয়েদ্দুরাপ্পার নিজেরও কিছু মত পার্থক্য আছে, ঠিক কোন মুহূর্তে একজন রাজ্যপাল কোনও রাজনৈতিক দল অথবা নেতাকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন, তা নিয়ে।

- ইয়েদ্দুরাপ্পার বিজেপি দাবি করে চলেছে, সদ্য সমাপ্ত কর্ণাটক নির্বাচনের একক বৃহত্তম দল হিসাবে তাদেরই ক্ষমতায় আসা উচিত।কংগ্রেস এ কথা মানতে রাজি নয়। কারণ, জেডিএসের সঙ্গে তাদের জোট হওয়ার পরে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেছে। 

-কংগ্রেস নেতা অভিষেক সিংভি আদালতকে জানান, বিজেপি একশো বারোটির উপর আসন পেতে পারে বিধায়কদের কেনাবেচা শুরু করলে।

-বিচারপতি এ. কে. শিকড়ী, এস এস বোবদে এবং অশোক ভূষণের বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চ আইনি আধিকারিক কে. কে. বেণুগোপাল “অ্যান্টি-ডিফেকশন ল' কার্যকরী হয় বিধায়করা শপথগ্রহণ করার পরেই” বলে দাবি করা হয়েছে, তা এককথায় খারিজ করে দিয়ে বলেন, এটা একদম ভ্রান্ত ধারণা।

-আদালত শুনানি একদিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল। তার কারণ, তারা কর্ণাটকের রাজ্যপালকে লেখা ইয়েদ্দুরাপ্পার চিঠির কপি আদালতের হাতে তুলে দিতে পারেনি। অভিযোগ করা হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট চিঠিটির কারণেই সরকার গড়ার জন্য কংগ্রেস-জেডিএসকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে বিজেপিকে ডাকেন রাজ্যপাল।

.