This Article is From Nov 21, 2019

“বিচারব্যবস্থা স্বাধীন”: সম্মিলিত দায়িত্বের কথা বললেন প্রধানবিচারপতি

প্রধানবিচারপতি এসএ বোবদে বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিচারব্যবস্থায় সাহায্য করতে পারে, অন্য দেশের মতোই

“বিচারব্যবস্থা স্বাধীন”: সম্মিলিত দায়িত্বের কথা বললেন প্রধানবিচারপতি

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানবিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, “বিচারব্যবস্থা দেশের জন্য”

নয়াদিল্লি:

ভারতীয় বিচারব্যবস্থা (Indian judiciary) স্বাধীন এবং তা যেন থাকে সেটা দেখা “সবার দায়িত্ব”, বৃহস্পতিবার এমনটাই বললেন প্রধানবিচারপতি এসএ বোবদে (Chief Justice SA Bobde) । রঞ্জন গগৈয়ের পর প্রধানবিচারপতি দায়িত্ব নেওয়ার একদিন পর একটি অনুষ্ঠানে বিচারপতি বোবদে বলেন, “সবাই এড়িয়ে যাওয়া কোনও বিষয়ে” যখনই আহ্বান করা হয়েছে, সাড়া দিয়েছে বিচারব্যবস্থা। তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠান দেশের। এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে কাজ করার ক্ষেত্র নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে”। প্রধানবিচারপতি যে বিষয়গুলিতে উদ্বেগের ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানবিচারপতি, বেশীরভাগই যৌক্তিক। প্রদানবিচারপতি বলেন, “গত কয়েকবছরে, আমরা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছি, তারমধ্যে রয়েছে শূন্যস্থান এবং পরিকাঠামো”। তাঁর কথায়, “সাশ্রয়ভাবে এবং দ্রুত ন্যায় দেওয়ার জন্য আমাদের প্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নিতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিচারব্যবস্থাকে সাহায্য করতে পারে, তাতে আমাদের বিচারকালীন সময়কে সাধারণ ব্যাপারে পরিণত করা যাবে”।

অযোধ্যায় রামমন্দির-মসজিদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর, সমাজের একাংশের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। সেই আবহেই এই মন্তব্য করলেন প্রধানবিচারপতি।

আদালত জানিয়েছে তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্টি তৈরি করতে হবে সরকারকে, এবং বিতর্কিত জমিটি মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্টের হাতে তুলে দিতে হবে। এছাড়াও সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, অযোধ্যার ভাল জায়গায় মসজিদ করার জন্য ৫ একর জমি দিতে হবে।

সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসে একটি নিবন্ধে গতবছরে অবসর নেওয়া বিচারপতি মদন লকুর লেখেন, বিচারপতি এস এ বোবদের “সামনে ঠিন কাজ রয়েছে, মূলত যাকে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান আদালত ভুলবশত বলা হয়, তার বিশ্বাসযোগ্যতা ও উচ্চতা ফেরানো”।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন:  

তিনি লেখেন, “এটি দ্রুত না হলে, বিচারবিভাগের স্বাধীনতার মৃত্যুর ঘন্টা বাজবে”।

নির্দিষ্ট কোনও মামলার কথা না তুলে, বিচারপতি লকুর লেখেন, “সম্প্রতির কিছু রায়দান এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত মনে হচ্ছে, প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, আমাদের কয়েকজন বিচারপতির মেরুদণ্ড ও শিড়দাঁড়া ঋজু দেখানোর প্রয়োজন বিশেষ করে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ক্ষেত্রে”।

তিনি আরও বলেন যে, বিচারপতি বোবদে “সমস্ত বিচারপতির মধ্যে বিশ্বাস ঘটাতে হবে যে, তাঁদের কর্মচ্যূত থেকে তাঁরা সম্পূর্ণ সুরক্ষিক, কোনও ভয় বা প্রলোভন ছাড়া, “আমরা সাধারণ মানুষ” –এ বিশ্বাস ফেরাতে  হবে”।

.