This Article is From Dec 11, 2018

Chhattisgarh Polls: ছত্তিশগড়ে আজ বিজেপি কংগ্রেসের সম্মান রক্ষার লড়াই, আশাবাদী নয়া জোটও

Chhattisgarh Assembly Polls: রাজনন্দগাঁও আসনের জন্য প্রাক্তন প্রয়াত প্রধানমন্দত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ভাইঝি কংগ্রেসের করুণা শুক্লার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রমন সিং

Chhattisgarh Polls: ছত্তিশগড়ে আজ বিজেপি কংগ্রেসের সম্মান রক্ষার লড়াই, আশাবাদী নয়া জোটও

Chhattisgarh Assembly Polls 2018: চতুর্থ দফায় ক্ষমতায় আসতে উদগ্রীব বিজেপি

রায়পুর:

ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনার দিন আজ। বিজেপির তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং এবং বিরোধী দল কংগ্রেসের জন্য আজকের এই দিন বস্তুত সম্মান রক্ষার লড়াই।

বিজেপি ও কংগ্রেসের আধিপত্যের রাজ্য ছত্তিশগড়ে এইবার মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি), প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর জনতা কংগ্রেসের ছত্তিশগড় (জে) এবং কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (সিপিআই) মধ্যেকার জোট রাজ্যটির নির্বাচনী রাজনীতিতে অন্য মাত্রা যোগ করেছে।

বেশ কয়েকটি এক্সিট পোলের ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী, দুই বড় দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। এর মধ্যে অবশ্য বেশ এগিয়েই রয়েছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) অবশ্য চতুর্থ মেয়াদের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা করায়ত্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কংগ্রেসের জন্য অবশ্য লড়াই আরও তীব্র, ১৫ বছর পর ফের ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যই এখন রাহুল গান্ধী সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

২৭ টি জেলায়, বিশেষত নকশাল-প্রভাবিত এলাকার গণনা কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছে। ১২ নভেম্বর এবং ২0 নভেম্বর দু'টি দফায় ৯০ সদস্যের সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় এই রাজ্যে। রাজ্যে দু'দফায় ভোটের হার ছিল ৭৬.৬০ শতাংশ।

নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা পিটিআইকে বলেন, "৯০ টি আসনের জন্য ২৭ টি জেলা সদর দফতরে সকাল ৮ টা থেকে গণনা শুরু হবে। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে।"

সকাল ৮ টায় পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হবে এবং তার আধ ঘন্টা পরই শুরু হবে, ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থেকে ভোট গণনার প্রক্রিয়া। তিনি আরও জানান, প্রক্রিয়াটি মসৃণ করার জন্য ৮১৮৪ জন ভোট গণনা কর্মী এবং ১৫০০ জন মাইক্রো-পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।

প্রাথমিক প্রবণতায় রাজস্থানে কংগ্রেস এগিয়ে , মধ্যপ্রদেশে কড়া টক্কর : ১০টি তথ্য

প্রতিটি গণনা কক্ষে, রিটার্নিং অফিসার ও পোস্টাল ব্যালট গণনার জন্য পৃথক টেবিল বাদে সাতটি টেবিলের সারিতে ১৪ টি করে টেবিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২৬৯ জন প্রার্থী, মুখ্যমন্ত্রী সহ তাঁর ১১ জন মন্ত্রীর ও বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতির ভাগ্য নির্ধারিত হবে আজ।

রাজনন্দগাঁও আসনের জন্য প্রাক্তন প্রয়াত প্রধানমন্দত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর ভাইঝি কংগ্রেসের করুণা শুক্লার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রমন সিং। ভোট গণনার প্রাক্কালে, বিজেপি ও কংগ্রেস দু'পক্ষই জয়ের দাবি করেছিল।

রাজ্য বিজেপির সভাপতি ধরমলাল কৌশিক বলেন, দল চতুর্থ মেয়াদেও জয়ী হবে এবং কংগ্রেসকে এবারও পরাজয় স্বীকার করতেই হবে। তিনি বলেন, "কংগ্রেসের উচিৎ জয়ের উপর লক্ষ্য না রেখে বরং হারের পর নিজের দলের মধ্যে হতে চলা পরিবর্তনের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত।"

পূণর্মূল্যায়নের জন্য ২ ঘণ্টা পিছাতে পারে মধ্যপ্রদেশের ভোট গণনা

তিনি জানান, "ইতিবাচক ও কর্মক্ষমতা ভিত্তিক" রাজনীতির কারণে বিগত ১৫ বছর ধরে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে এই রাজ্যে।

একাধিক এক্সিট পোলের মাধ্যমে কংগ্রেসের জয় লাভের পূর্বাভাস উড়িয়ে কৌশিক বলেন, এক্সিট পোল কেবলমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। তাঁর কথায়, "গণতন্ত্রে সরকার অনুমানের ভিত্তিতে গঠিত হয় না জনগণের বিশ্বাস ও জনগন নীতির সাথে মিলিত উন্নয়ন পরিকল্পনার দ্বারা নির্বাচিত হয়"।

কংগ্রেসের রাজ্য যোগাযোগ বিভাগের প্রধান শৈলেশ নীতিন ত্রিবেদী জানান, বিজেপি সরকারের ১৫ বছরের শাসন আমলে জনগণের, বিশেষ করে কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়েছে এবং তাঁরা এইবার পরিবর্তনের জন্যই ভোট দিয়েছেন। তাঁর দাবি, "মঙ্গলবার, এই রাজ্য বিজেপি সরকার এবং সরকার বিরোধী ক্ষোভের হাত থেকে মুক্তি পাবে, এবং কংগ্রেস ৫০ টিরও বেশি আসন জিতে ইতিহাস রচনা করবে"।

জিসিসি'র (জে) মুখপাত্র ইকবাল আহমেদ রিজভী দাবি করেছেন, বিজেপি ও কংগ্রেসে দু'য়ের থেকেই মানুষ বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। তিনি জানান, মঙ্গলবার তিন দলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর অজিত যোগীই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। ৯০ টি আসনের বিধানসভায়, ৫১ টি আসন সাধারণ শ্রেণির জন্য, ১০ টি তপশিলী জাতির জন্য এবং ২৯ টি তপশিলী উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত।

২০১৩ সালের নির্বাচনে বিজেপি ৪৯ টি আসন, কংগ্রেস ৩৯ টি, বিএসপি ও নির্দল প্রার্থী একটি আসন জিতেছিল।

প্রচার চলাকালীন কংগ্রেসে "অরাজকতা" এবং "কৃষি সমস্যা" বিষয়গুলিকেই বিজেপির বিরুদ্ধে হাতিয়ার করার চেষ্টা করেছিলেন। কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধী ঘোষণা করেন যে ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় আসার দশদিনের মধ্যেই তাঁর দল কৃষকদের ফসল ঋণ মকুব করে দেবে।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস ও নেহেরু গান্ধীর পরিবারকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, এই দল ক্ষমতালোভী ছাড়া কিছুই নয়।

.