This Article is From Dec 03, 2019

"আমিই বিক্রম ল্যান্ডারকে পেয়েছি!": এই সেই চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার যিনি নাসাকে জানান ধ্বংসাবশেষের কথা

Chandrayaan 2:নাসা ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাচ্ছিল না, সেই ঘটনাই আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে শানমুগা সুব্রহ্মনিয়নের, নিজেই সন্ধান শুরু করেন তিনি

Chandrayaan-2: বিক্রম ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষের দিকে নাসার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শানমুগা সুব্রহ্মনিয়ন

চেন্নাই:

চন্দ্রযান ২-এর (Chandrayaan-2) ল্যান্ডার বিক্রম চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের সময়ই ভেঙে পড়েছে, এমন আশঙ্কা করছিল সবাই, কিন্তু কিছুতেই ওই মুন ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মিলছিল না, ফলে কেউই নিশ্চিত হতে পারছিলেন না যে ঠিক কী হল বিক্রম ল্যান্ডারের। এমনকি নাসাও ল্যান্ডার বিক্রমের সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলতে পারছিল না। মার্কিন গবেষণা সংস্থার (NASA) এই অপারগতাই আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছিল চেন্নাইয়ের এক ইঞ্জিনিয়ার শানমুগা সুব্রহ্মনিয়নের। তিনি নিজের আগ্রহেই ইতিবাচকভাবে অরবিটারের তোলা নানা ছবি ভাল করে বিশ্লেষণ করতে শুরু করেন। আর তারপরেই মেলে সাফল্য। নির্দিষ্ট একটি জায়গা দেখিয়ে সেখানে বিক্রমের (Vikram Lander) ধ্বংসাবশেষকে নির্দেশ করে নাসার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই ইঞ্জিনিয়ার। এরপরেই নাসা বিক্রম ল্যান্ডার অবতরণের আগের ছবি এবং অবতরণের চেষ্টার পরের ছবি বিশ্লেষণ করে সন্ধান পায় তার ধ্বংসাবশেষের। মার্কিন গবেষণা সংস্থাটি অবশ্য ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়ার বিষয়ে চেন্নাইয়ের ওই ইঞ্জিনিয়ারকেই (Shanmuga Subramanian) কৃতিত্ব দেয়।

অবশেষে মিলল চন্দ্রযান-২ এর মুন ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষ, চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ারকে কৃতিত্ব নাসার

নাসা তাদের চন্দ্রাভিযান পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত অরবিটার (এলআরও) -এর তোলা কয়েকটি ছবি পোস্ট করে যা দেখায় যে "ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণের চেষ্টার পরে চন্দ্রপৃষ্ঠে কী প্রভাব পড়েছে এবং ল্যান্ডারটির ধ্বংসাবশেষ যে জায়গায় পড়ে আছে সেটিকেও  নির্দেশ করে ওই ছবি"। 

এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, "মূল দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ৭৫০ মিটার উত্তর-পশ্চিমে শানমুগা সুব্রহ্মনিয়ন ওই ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকার স্থানটি ছবিতে শনাক্ত করেন"।

qnu7f7b8

Chandrayaan 2: ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণের চেষ্টায় যে প্রভাব পড়ে চাঁদে, তার ছবি প্রকাশ করে নাসা

গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে অবতরণের সময়ে চন্দ্রযান ২ এর অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের। চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপরে সংকেত পাঠানো বন্ধ করে দেয় সে। এই বিক্রমের মধ্যেই ছিল রোভার প্রজ্ঞাণ। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) বলেছিল যে ল্যান্ডারের অবস্থান সম্বন্ধে তাঁর খোঁজ পেলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি ।

চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার শানমুগা সুব্রহ্মনিয়ন এনডিটিভিকে বলেন, "আমি বিক্রম ল্যান্ডারের সন্ধান চালাতে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি উচ্ছ্বসিত যে শেষ পর্যন্ত আমি এটির সন্ধান দিতে পেরেছি, এটা আমার প্রচুর পরিশ্রমের ফল ছিল। আমি সবসময়েই মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি অনুরাগী ছিলাম"।

"শানমুগা সুব্রহ্মনিয়ন এলআরও প্রকল্পের মাধ্যমে ধ্বংসাবশেষের ইতিবাচক শনাক্তকরণের কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর কাছ থেকে আভাস পাওয়ার পরেই, এলআরসি টিম আগে এবং পরে তোলা ছবিগুলির মধ্যে তুলনা করে শনাক্তকরণ নিশ্চিত করে। প্রথম ছবিগুলিতে যেখানে ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণের চেষ্টা করে সেই প্রভাবিত স্থানটি নির্দেশ করে, যদিও তখন সেই ছবিতে অত্যন্ত অল্প আলো থাকায় ছবিটি শনাক্ত করা খুবই দুঃসাধ্য ছিল। পরের ছবিগুলি যথাক্রমে ১৪ এবং ১৫ অক্টোবর ও ১১ নভেম্বর তোলা হয়েছিল। এলআরওসি টিম এই নতুন ছবিগুলিতে আশেপাশের অঞ্চলকেও স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে, ফলে বিক্রমের অবতরণের চেষ্টার ফলে চন্দ্রপৃষ্ঠে পড়া প্রভাবের স্থান এবং ওই ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকার জায়গাটিও খুঁজে পাওয়া গেছে", নাসার তরফ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এই তথ্যগুলোও দেওয়া হয়েছে।

লক্ষ্যের ৫০০ মিটারের মধ্যেই অবতরণ করেছিল চন্দ্রযান ২-এর বিক্রম ল্যান্ডার: কেন্দ্র

সুব্রহ্মনিয়মই প্রথম ব্যক্তি যিনি ইতিবাচক ভাবে ল্যান্ডার বিক্রমের সন্ধান দেন। নাসা ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাচ্ছিল না, সেই ঘটনাই আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে শানমুগা সুব্রহ্মনিয়নের, নিজেই সন্ধান শুরু করেন তিনি।

তিনি সংবাদসংস্থা এএফপিকে বলেন, "আমার দুটি ল্যাপটপে এই দুটি ছবি পাশাপাশি রেখে আমি তুলনা করি... একটি ল্যাপটপে পুরনো ছবি ছিল এবং অন্যটিতে নাসার প্রকাশিত নতুন ছবি ছিল", তবে তাঁকে এই অনুসন্ধানে সাহায্য করেছেন কিছু টুইটার এবং রেডডিট ব্যবহারকারীও।

"এটির খোঁজ পাওয়া বেশ কঠিন কাজ ছিল, তবে (আমি) চেষ্টা করেছি", বলেন মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী ওই ইঞ্জিনিয়ার। অবশেষে তাঁর দাবিকে মান্যতা দিল নাসা।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে তৃণমূল? দেখুন এই ভিডিও:

.