This Article is From Dec 03, 2019

"নাসার কাছ থেকে ভাল সাড়া পেয়েছি": বললেন ল্যান্ডার বিক্রমের সন্ধান দেওয়া চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার

Chandrayaan-2: শুধুমাত্র নিজের ল্যাপটপ এবং একটি ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমেই দৈনিক ৭ ঘণ্টা কাজ করে বিক্রম ল্যান্ডারের সন্ধান পান চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার

তিরুনেলভেল্লির একটি সরকার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে স্নাতক হন Shanmuga Subramanian

চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার যেভাবে চন্দ্রযান ২ (Chandrayaan-2)-এর বিক্রম ল্যান্ডারের সন্ধান পেতে নাসাকে সাহায্য করেছেন তাতে রাতারাতি নায়ক হয়ে গেছেন তিনি। ইঞ্জিনিয়ার শানমুগা সুব্রহ্মনিয়ন-ই হলেন সেই ব্যক্তি যিনি চাঁদের জমিতে পড়ে থাকা বিক্রম ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষের দিকে মার্কিন গবেষণা সংস্থার (NASA) দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে তাঁর দাবি, নিজের আগ্রহেই ওই ধ্বংসাবশেষের (Vikram Lander) সন্ধান পেয়ে তিনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোকেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু ৩৩ বছর বয়সী এই যুবক (Shanmuga Subramanian) এনডিটিভিকে জানান, তাঁর বার্তায় ভাল সাড়া দিয়েছিল নাসা, ইসরো নয়। "আমি নাসা ও ইসরো, দুই মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকেই একটি করে টুইট পাঠিয়েছি। এমনকি নাসার কয়েকজন বিজ্ঞানীর কাছেও ইমেল করি আমি। তারা এলআরওর (চন্দ্র পুনরুদ্ধার অরবিটার) সংগৃহীত ছবির দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে আমি বেশ ভাল সাড়া পাই"।

অবশেষে মিলল চন্দ্রযান-২ এর মুন ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষ, চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ারকে কৃতিত্ব নাসার

গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে অবতরণের সময়ে চন্দ্রযান ২ এর অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের। চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপরে সংকেত পাঠানো বন্ধ করে দেয় সে। ফলে আশঙ্কা করা হয় যে চাঁদের মাটিতেই ভেঙে পড়েছে বিক্রম। কিন্তু ভারত যদি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের এই পরিকল্পনাটি সফাল করতে পারতো তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চিনের পরে - এই কীর্তি অর্জনকারী চতুর্থ দেশ হত। 

শুধুমাত্র নিজের ল্যাপটপ এবং একটি ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমেই বিক্রম ল্যান্ডারের সন্ধান পাওয়া চেন্নাইয়ের ওই ইঞ্জিনিয়ার বলেন যে ল্যান্ডারটি সনাক্ত করতে তিনি প্রতিদিন প্রায় সাত ঘণ্টা করে কাজ করেছেন। "আমি ২ বর্গকিলোমিটার জায়গাকে নির্দিষ্ট করে সেখানেই বিক্রমের সন্ধান শুরু করি। এই কাজ করতে আমি শুধু আমার ল্যাপটপ ব্যবহার করেছি এবং সমস্ত ছবি ধরে ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছি", বলেন শানমুগা সুব্রহ্মনিয়ন।

"আমিই বিক্রম ল্যান্ডারকে পেয়েছি!": এই সেই চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার যিনি নাসাকে জানান ধ্বংসাবশেষের কথা

"এটাই কি বিক্রম ল্যান্ডার? (অবতরণের জায়গা থেকে ১ কিলোমিটার দূরত্বে) মনে হচ্ছে যেন এখানে অবতরণ করতে গিয়েই চাঁদের জমিতে ভেঙে পড়েছে সেটি?", ৩ অক্টোবর নাসা ও ইসরোকে ট্যাগ করে টুইট করেন শানমুগা সুব্রহ্মনিয়ন। ১৭ নভেম্বর, ক্র্যাশ সাইটের আরও দুটি ছবি সহ আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে টুইট করেন তিনি ।

"এটি বেশ বড় অভিযান ছিল তবে বিষয়টি দুঃখজনক কারণ আমরা সকলেই ল্যান্ডার বিক্রমের চন্দ্রপৃষ্ঠে নামার প্রত্যাশা করেছিলাম I আমি আশা করি ইসরো আবার সফলভাবে চন্দ্রযান ৩ এর পরিকল্পনা করবে এবং পরের বার চাঁদে অবতরণ করতে সক্ষম হবে দেশ", আশাপ্রকাশ করেন শানমুগা সুব্রহ্মনিয়ন।

মূলত মাদুরাইয়ের বাসিন্দা চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার শানমুগা সুব্রহ্মনিয়ন বর্তমানে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আইটি সেক্টরে কর্মরত।

দেখে নিন দেশের অন্যান্য খবরও:

.