This Article is From Jan 25, 2020

Bhima Koregaon Case: তদন্ত করবে এনআইএ, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মহারাষ্ট্র

NIA পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ, তিনি বলেন, রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই মামলাটি হস্তান্তরিত করা হয়েছে

Maharashtra: এনআইয়ের হাতে মামলার তদন্তভার দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা রাজ্য

হাইলাইটস

  • ভীমা-কোরেগাঁও মামলার তদন্ত করবে এনআইএ
  • কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে দায়িত্ব দিল মোদি সরকার
  • এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে দাবি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার
নয়া দিল্লি:

হঠাৎ করেই ভীমা-কোরেগাঁও মামলাটির তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) -এর হাতে অর্পণ করল কেন্দ্র। মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই এই মামলাটি (Bhima Koregaon Case) হস্তান্তরিত করা হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ করলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ পুরোপুরি অসাংবিধানিক। এর আগে এই মামলাটির বিষয়ে পর্যালোচনা করতে পুনে পুলিশের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন উদ্ধব ঠাকরে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যের (Maharashtra) তরফ থেকে এই মামলাটি নিয়ে তৎপরতা দেখানোর খবর প্রকাশ্যে আসতেই সাত তাড়াতাড়ি এনআইএ-কে মামলাটি (Koregaon-Bhima Case) হস্তান্তরিত করল মোদি সরকার।

মহারাষ্ট্রের আবাসনমন্ত্রী জিতেন্দ্র আওহাদও এই "অসাংবিধানিক পদক্ষেপ" দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে কেন্দ্রকে মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা একটি রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়। "কোরেগাঁও-ভীমা মামলায় কেন্দ্রের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ সংবিধান অবমাননার সমান। সংবিধানে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যেকার সম্পর্কের বিষয়ে স্পষ্ট ভাষায় বলা রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রটি রাজ্যের হাতে থাকে এবং প্রতিরক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কেন্দ্র যদি আগ বাড়িয়ে তাতে নাক গলায় তাতে রাজ্যের সাংবিধানিক অধিকারে আঘাত আসে", বলেন তিনি।

Bhima Koregaon Case: জেলে থাকা সমাজকর্মীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে সরকার!

এর আগে মহারাষ্ট্রের পূর্বতন বিজেপি সরকার ১০ জন সমাজকর্মীকে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে কারাবন্দি করে রাখে। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি পুনেতে ভীমা কোরগাঁও যুদ্ধের ২০০ বছর পূর্তি উজ্জাপন ঘিরে সৃষ্ট হিংসায় মদতের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিশিষ্ট সমাজকর্মীদের। ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় যেসব সমাজকর্মীদের "নগর নকশাল" হিসাবে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছিল পূর্বতন বিজেপি-নেতৃত্বাধীন সরকার, ক্ষমতায় আসার পর তাঁদেরই রেহাই দিতে তৎপর হয় বর্তমান মহারাষ্ট্র সরকার। ২০১৮ সালের এই মামলায় ধৃতদের রেহাইয়েই জন্য এর আগেও বারবার দাবি জানিয়ে এসেছিল মহারাষ্ট্রে শিবসেনার জোট শরিক এনসিপি ও কংগ্রেস।

বেছে বেছে বামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের হেনস্থা করছে বিজেপি, দাবি ইয়েচুরির

দলিতদের বিরুদ্ধে মারাঠাদের লড়াইয়ের ২০০ বছর পূর্তিতে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের বহু দলিত এই ভীমা কোরেগাঁওয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। এই যাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয় ও প্রায় ৩০ জন আহত হন। ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৩০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

অভিযোগ ওঠে ওই ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুনেতে এলগার পরিষদ নামক একটি সংগঠনের বৈঠক হয়। ‌পুলিশের দাবি, এলগার পরিষদের বৈঠকে দেওয়া ভাষণ ভীমা কোরেগাঁও হিংসার পেছনে প্ররোচনা যুগিয়েছে। এই ঘটনার পর এলগার পরিষদের বেশ কয়েকজন সদস‍্যকেও গ্রেফতার করা হয়।

.