This Article is From Aug 25, 2019

NRC in WB: অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে প্রচারই রাজ্যে উত্থানের মূল কারণ, দাবি বিজেপির

বিজেপি নেতাদের মতে, নতুন সদস্যদের একটা বড় অংশই ২৫-৪০ বছরের। এর থেকে প্রমাণ হয় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।

NRC in WB: অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে প্রচারই রাজ্যে উত্থানের মূল কারণ, দাবি বিজেপির

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দি‌লীপ ঘোষ জানাচ্ছেন, তৃণমূ‌লের অরাজকতা, দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং অনুপ্রবেশ রোধে নিষ্ক্রিয়তায় বিরক্ত মানুষ

বেআইনি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে প্রচার, TMC-র অরাজকতা এবং পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক পঞ্জি প্রকাশের প্রতিশ্রুতির মতো কারণেই রাজ্যে BJP-র সদস্য সংখ্যা বেড়ে ৭৭ লক্ষে পৌঁছে গিয়েছে। দলীয় সূত্রে তেমনই দাবি করা হয়েছে। বিজেপি নেতাদের মতে, নতুন সদস্যদের একটা বড় অংশই ২৫-৪০ বছরের। এর থেকে প্রমাণ হয় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমা‌ন্তবর্তী জেলা মালদা, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগ‌নায় সদস্য সংখ্যা বিপুল পরিমামে বেড়েছে। এরই পাশাপাশি জঙ্গলমহলের জেলাগুলি যথা পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়াতেও গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার ঢল নেমেছে বলে দাবি বিজেপি নেতাদের।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দি‌লীপ ঘোষ জানাচ্ছেন, ‘‘কেবল সীমান্তের নিকটবর্তী জেলাতেই আমরা ভাল পারফর্ম করেছি তা নয়। ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুর থেকেই আমরা সদর্থক সাড়া পেয়েছি।'' 

বিজেপির ''চা চক্র'' কি TMC "Didi Ke Bolo" ক্যাম্পেনিংয়ের পাল্টা জবাব!

তিনি জানান, সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণে মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কেননা তাঁরা তৃণমূ‌লের অরাজকতা, দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং অনুপ্রবেশ রোধে নিষ্ক্রিয়তায় বিরক্ত।

গত ৬ জুলাই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ চালু করেন দেশব্যাপী বিজেপির সদস্যগ্রহণ। এই প্রক্রিয়া চলেছে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। রাজ্যে ৬০ লক্ষে সদস্যপদের লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে গিয়েছে এই সময়ে। বিপুল‌ সাড়া পাওয়ায় বিজেপি নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই প্রক্রিয়া বন্ধ করা হবে না। এটা ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এর আগে ২০১৪ সালে এমন প্রচেষ্টায় ৪২,০০০ সদস্য যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে।

Poem For Democracy: চা বানানোর পর এবার গণতন্ত্র নিয়ে মমতার কবিতা

এক বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার মতে, ক্ষমতায় এলে প্রতিশ্রুতিমতো রাজ্যে বেআইনি অনুপ্রবেশ রদ করবে তাঁদের দল।

নাগরিক পঞ্জি বিজেপির প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার ছিল গত লোকসভা নির্বাচন‌ের আগে। নির্বাচনে দেশজুড়ে ব্যাপক সাফল্যের সঙ্গে এই রাজ্যেই দারুণ ফল করেছে বিজেপি। গতবারের ২ থেকে তারা এবার জিতেছে ১৮টি আসনে। এদিকে শাসক তৃণমূল ২০১৪ সালে পাওয়া ৩৪ আসন থেকে নেমে এসেছে ২২-এ।

বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার ও ঝাড়গ্রামে সব আসন পেয়েছে। কিন্তু উত্তর  ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কোনও আসন পায়নি তারা। পাশাপাশি নদিয়া ও মা‌লদাতেও মাত্র একটি করে আসন পেয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সদস্যপদ গ্রহণের দৃশ্য থেকে পরিষ্কার, সেখানেও মানুষের বিজেপির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে। এমনই মত এক বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার।

তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিজেপি প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের পরে সাম্প্রদায়িক তাস ব্যবহার করে মানুষের ধর্মীয়করণের মাধ্যমে জমি ‌পেয়েছে। এই অশুভ ছককে আমাদের হারাতেই হবে। বিজেপির সাম্প্রয়িক রাজনীতিকে খারিজ করবেই বাংলার মানুষ।''

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির অভাবনীয় উত্থানের পর থেকে চাপে শাসক তৃণমূল। ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আসনচ্যুত করার লক্ষ্যে এগোতে চাইছে বিজেপি। অন্যদিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূলও চেষ্টা করছে নতুন নতুন পদক্ষেপের।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.