This Article is From Jan 25, 2020

কেরল, পঞ্জাবের পর এবার রাজস্থানেও CAA বিরোধী প্রস্তাব পাস

Citizenship Amendment Act: যদিও এই সপ্তাহের শুরুতে, সুপ্রিম কোর্ট সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেয়

কেরল, পঞ্জাবের পর এবার রাজস্থানেও CAA বিরোধী প্রস্তাব পাস

Anti-CAA Protest: দেশ জুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে এই বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে

হাইলাইটস

  • সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস রাজস্থান বিধানসভায়
  • এর আগে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস হয়েছে কেরালা ও পাঞ্জাবেও
  • নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে দেশের নানা জায়গায় বিক্ষোভ চলছে
জয়পুর:

কেরল এবং পঞ্জাবের পর এবার দেশের তৃতীয় রাজ্য হিসাবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act) বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হল রাজস্থানেও। দেশ জুড়ে এই আইনের (CAA) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে। রাজস্থানের (Rajasthan) বিধানসভা ভবনে ওই প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভা কক্ষের ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া শুধুমাত্র অ-মুসলিম শরণার্থীদেরই নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও এই আইনটি পাস হওয়ার পর এর বিরুদ্ধে (Anti-CAA Protest) সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই। বিরোধীদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী। দেশের বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রকে এই আইন প্রত্যাহার করার কথাও বলেছে।

এই সপ্তাহের শুরুতে, সুপ্রিম কোর্ট সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালত বলেছে যে তারা সরকার পক্ষের জবাব না শুনে সিএএ নিয়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেবে না। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের জবাব তলব করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

CAA: নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট, ৪ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের জবাব তলব

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশ জোড়া বিক্ষোভের মধ্যেই এই আইনের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে ১৪৩ টি আবেদন জমা পড়ে। শীর্ষ আদালতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে করা আবেদনগুলিতে দাবি করা হয়েছে যে সিএএ অবৈধ এবং সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী। আরও বলা হয়েছে যে এই আইনটি সাম্যের অধিকারেরও পরিপন্থী কারণ এটি ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান করার কথা বলে। কিছু আবেদনে আবার গত ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া আইনটির প্রয়োগে স্থগিতাদেশ জারির আবেদন করা হয়েছে।

আবেদনকারীদের তালিকায় বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল রয়েছে। ওই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে অন্যতম হল কংগ্রেস, ডিএমকে, সিপিআই, সিপিএম, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ বা আইইউএমএল, আসাদউদ্দিন ওয়াইসির অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন এবং কমল হাসানের মাক্কাল নিধি মায়াম।

কেরলের পর দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে সিএএ বাতিলের প্রস্তাব পাস পঞ্জাবে

ওই বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে জমা হওয়া ১৪০টিরও বেশি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ৩ সদস্যের বেঞ্চ। 

এর আগে কেরালা সরকার দেশের প্রথম রাজ্য সরকার হিসেবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাব পাস করে, পরে ওই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয় তারা। কেরালার পর দ্বিতীয় রাজ্য হিসেবে এই আইন তাদের রাজ্যে কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাবও। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল রাজস্থান।

.