This Article is From Jan 22, 2020

CAA: সিএএ বিরোধী আবেদনগুলি ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট

Citizenship Amendment Act: ওই আবেদনগুলিতে দাবি করা হয়েছে যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ অবৈধ এবং সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী

Supreme Court ইতিমধ্যে কেন্দ্রকে এই আইন নিয়ে নোটিস জারি করে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চেয়েছে

হাইলাইটস

  • সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ১৪৪টি আবেদন
  • বুধবার সেই আবেদনগুলির শুনানি হবে ৩ বিচারপতির বেঞ্চে
  • বিতর্কিত এই আইনটি নিয়ে দেশ জুড়ে চলছে প্রতিবাদ-আন্দোলন
নয়া দিল্লি:

৩ বিচাপতির বেঞ্চ সমাধান করতে না পারায় এবার সিএএ বিরোধী আবেদনগুলিকে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) প্রত্যাহার করে নিক কেন্দ্রীয় সরকার, এই দাবি নিয়ে প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। আজ (বুধবার) সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে করা ১৪৪ টি আবেদনের (Citizenship Law petitions) শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে (Supreme Court) এই আবেদনের শুনানি হচ্ছে। শীর্ষ আদালতে ওই আবেদনগুলিতে দাবি করা হয়েছে যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ অবৈধ এবং সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী। আরও বলা হয়েছে যে এই আইনটি সাম্যের অধিকারেরও পরিপন্থী কারণ এটি ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান করার কথা বলে। কিছু আবেদনে আবার গত ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া আইনটির প্রয়োগে স্থগিতাদেশ জারির আবেদন করা হয়েছে।

আবেদনকারীদের তালিকায় বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল রয়েছে। ওই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে অন্যতম হল কংগ্রেস, ডিএমকে, সিপিআই, সিপিএম, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ বা আইইউএমএল, আসাদউদ্দিন ওয়াইসির অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন এবং কমল হাসানের মাক্কাল নিধি মায়াম।

CAA: "হোক বিতর্ক", মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধিকে অমিত শাহের চ্যালেঞ্জ

৯ জানুয়ারি আদালত নাগরিকত্ব আইনকে সাংবিধানিক ঘোষণা করার একটি আবেদনে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলে, দেশ এখন "কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে" এবং এখন সব প্রচেষ্টাই শান্তির লক্ষ্যে হওয়া উচিত। এই আদালতের কাজ একটি আইনের বৈধতা নির্ধারণ করা কিন্তু এটি সাংবিধানিক হিসাবে ঘোষণা করা আদালতের কাজ নয়", জানায় সুপ্রিম কোর্টের ৩ বিচারপতির বেঞ্চ। ওই বেঞ্চের নেতৃত্বে বিচারপতি বোবদে আছেন আর অন্য দুই বিচারপতি হলেন বি আর গাভাই এবং সূর্যকান্ত। শীর্ষ আদালত ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে এই আইন নিয়ে নোটিস জারি করে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চেয়েছে।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাসের পর থেকেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আছড়ে পড়েছে দেশে। যদিও এই আইনটির বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সভা সমাবেশ করছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। মঙ্গলবার লখনউতে সিএএ-র পক্ষ নিয়ে একটি সভায় যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই সভামঞ্চ থেকে রীতিমতো হুঙ্কার ছেড়ে তাঁকে বলতে শোনা যায় যে, যাই-ই হয়ে যাক না কেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশে প্রয়োগ করা হবেই।

২৭ জানুয়ারি বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস

ওই সভা থেকে বিরোধীদের উদ্দেশে তোপ দাগেন মোদি মন্ত্রিসভার প্রথম সারির মুখ অমিত শাহ। বিরোধীরা এই আইনের "প্রয়োজনীয়তা দেখতে পাচ্ছেন না কারণ তাঁদের চোখ ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির মুখোশে আটকা রয়েছে", বলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "এই কথা সকলকে জানিয়ে রাখি, এই আইনটি কোনওভাবেই প্রত্যাহার করা হবে না, যে যতই প্রতিবাদ করুন না কেন... আমরা বিরোধীদের ভয় পাই না, আমরা বিরোধীদের প্রতিবাদের মধ্যেই জন্মগ্রহণ করেছি"।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিরোধীদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।

.